শেয়ার বাজার

আবারও ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

আবারও ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা

JlecBD ডেস্ক: ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। পেন্টাগন বলছে, সোমবার আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ একটি গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র এবং নজরদারির স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে যাতায়াতকারী ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বলছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করার চেষ্টা করছে তারা। পেন্টাগনের জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য লোহিত সাগরে উত্তেজনা হ্রাস করা এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা। ওই অঞ্চলে বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করার বিষয়ে আমরা দ্বিধা করব না।

গত ১১ জানুয়ারি হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে যৌথভাবে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য।

দুদেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইউএসএস আইজেনহাওয়ারের মার্কিন যুদ্ধবিমান সোমবারের হামলায় অংশ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওডি) জানিয়েছে, তাদের জোড়া ভয়েজার ট্যাঙ্কারের সহায়তায় চারটি আরএএফ টাইফুন মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে হামলায় অংশ নিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস হুথিদের অসহনীয় আক্রমণের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা হিসাবে এই হামলাকে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং এর কাছাকাছি অবস্থিত আল দাইলামি বিমান ঘাঁটি, তাইজ এবং বায়দা প্রদেশে হামলা চালানো হয়েছে।

Dummy Ad 1

এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা

JlecBD আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবাসন সংকট মোকাবিলায় এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা। দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার স্থানীয় একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি সচল রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য অভিবাসীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল কানাডা। তবে সাম্প্রতিক সময় উত্তর আমেরিকার দেশটিতে আবাসন সংকট বেড়ে যাওয়ার জন্য অভিবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হচ্ছে। এ নিয়ে বেশ হওয়ায় সমালোচনার মুখে রয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।

সিটিভি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কানাডীয় অভিবাসন মন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যায় সীমাবদ্ধতা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।

কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিরক্তিকর। এটি সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

তবে কানাডীয় সরকার কী পরিমাণ বিদেশি ছাত্র কমানোর পরিকল্পনা করছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মিলার। এ বিষয়ে জানতে তার মুখপাত্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সরকারি তথ্যমতে, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসাসহ কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল আট লাখেরও বেশি, যা ২০১২ সালে ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৫ হাজার জন।

মার্ক মিলারের সাক্ষাৎকারটি রোববার (১৩ জানুয়ারি) সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কাজের অনুমতি পাওয়া তুলনামূলক সহজ হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কানাডা।

দেশটির লিবারেল সরকার গত আগস্টেই বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনার কথা সামনে এনেছিল। তবে সেসময় অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেছিলেন, সরকার এই পথ অনুসরণ করবে কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে, গত ডিসেম্বরে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য খারাপ খবর দিয়েছিল কানাডা। দেশটিতে পড়তে যাওয়ার জন্য খরচ একলাফে দ্বিগুণ করেছিল ট্রুডো সরকার। আগের তুলনায় এখন ব্যাংকে দ্বিগুণ অর্থ দেখাতে হচ্ছে কানাডায় পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের।


সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানপন্থি ১৮ যোদ্ধা নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানপন্থি ১৮ যোদ্ধা নিহত

JlecBD ডেস্ক: সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর-এএফপির। 

মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং তেহরান-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালানোর পরপরই পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৮ ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়েছেন দেইর এজ্জোর এলাকায়।

এদিকে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি তেহরান। ধারণা করা হচ্ছে, এসব হামলার কারণে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেসব খতিয়ে দেখছে তারা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, তারা ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কুদস বাহিনীসহ ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এসব স্থান ইরানের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কুদস ফোর্স ইরান সমর্থিত কোনো আধাসামরিক গোষ্ঠী নয়, এটি সরাসরি ইরানি সেনাবাহিনীর একটি অফিসিয়াল শাখা।


তাই এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে বলছে যে, তারা ইরাক ও সিরিয়ায় বা ওই সীমান্তে ইরানি সেনাবাহিনীকে টার্গেট করেছে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ঘটনায় ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া হামলায় অংশ নেওয়া যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে হামলা চালিয়েছে এবং এটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়। কারণ অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের সামরিক সম্পদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে তেহরান।

আরও পড়ুন: ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ৮৫ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হন। জর্ডানে ওই হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় তিনজন নিহত ছাড়াও আহত হন আরও ২৫ জন সেনা সদস্য। ওই হামলার কঠোর প্রতিশোধ হিসেবেই ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র।


ইরাকে বিমান ঘাঁটিতে হামলা
ইরাকে বিমান ঘাঁটিতে হামলা, মার্কিন সেনা আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি, ২০২৪

ইরাকে বিমান ঘাঁটিতে হামলা, মার্কিন সেনা আহত

JlecBD ডেস্ক: ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ওই বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়।

হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে একজন ইরাকি কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিজেদের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স বলে দাবি করা একটি গ্রুপ ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি অনুসারে, এই গ্রুপটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে প্রকাশ্যে এসেছে। ইরাকে পরিচালিত বেশ কয়েকটি ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়েছে বলে জানানো হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু হামলার দাবি করেছে এই গোষ্ঠী। গত কয়েক বছরে আল আসাদ ঘাঁটিতে বারবার হামলা চালানো হয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আটকানো সম্ভব হলেও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।

গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলা বেড়ে গেছে। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং এর মিত্ররা লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করতে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।

শনিবার মার্কিন বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হুথিদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের স্থানে হামলা চালিয়েছে।