শেয়ার বাজার

আগামী ৩১ দিন সতর্কতার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আগামী ৩১ দিন সতর্কতার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে: পলক

নির্বাচনকালীন সরকারের আগামী ৩৪ দিন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে এসে বিভাগের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং অধীন দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩৪ দিন আমাদের দৈনন্দিন কাজ, সবাইকে অনুরোধ করবো এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা সবাই সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। কারণ টেলিকম কমিউনিকেশন যদি চলমান না থাকে তাহলে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য সব কিছুই কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। আমাদের ডাক যদি চালু না থাকে তাহলে আমাদের যে লজিস্টিকস, আমাদের সব পণ্য আনা-নেওয়া করা, সেটাই কিন্তু দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে যাবে।

পলক বলেন, এখন আমরা দেখছি হরতাল-অবরোধের নামে একটা রাজনৈতিক দল, একটা রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে প্রতিদিন নিরীহ মানুষের ওপরে আক্রমণ করছে। একজন ট্রাকচালক মারা গেছেন। অসংখ্য গাড়ি পোড়াচ্ছে, রাস্তায় অবরোধ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে খুব সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডাক বিভাগকে চলমান রাখতে হবে সব পণ্য, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত চিঠিপত্র লেনদেন করা; আমাদের বিটিআরসিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অপরদিকে, আমাদের স্যাটেলাইট কমিউনকেশনকেও চালু রাখতে হবে বিনোদন, যোগাযোগ এবং যাতে আমাদের টেলিভিশন সেন্টারগুলো নির্বিঘ্ন কাজ করতে পারে।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো দৈনন্দিন কাজগুলো অত্যন্ত সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করবো। যেন নির্বাচনকালীন সময়ে আমাদের কোনো ধরনের যোগাযোগ এবং সেবা বিঘ্ন না ঘটে। আমাদের রাষ্ট্রীয়, সরকার এবং জনগণের কোনো সেবা যেন ব্যহত না হয়।’

Dummy Ad 1

ফেসবুকে খবর প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ, ২০২৪

ফেসবুকে খবর প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না

ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিডে খবরের প্রকাশকদের এখন থেকে আর অর্থ দেবে না ফেসবুক।  নিউজ ট্যাব ফিচারটিও শিগগিরই বন্ধ করছে মেটা।

আগামী এপ্রিল মাস থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার তরফ থেকে এমন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেসবুকে নিউজ ট্যাবে সংবাদ পরিবেশন বা প্রকাশের জন্য আর টাকা দেওয়া হবে না। ফেসবুক নিউজ বলে যে বিশেষ অপশনটি ছিল, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে নিউজ পাবলিশাররা কোনও নতুন অফার বা সুযোগ সুবিধা পাবেন না বলেও জানিয়েছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা।

মেটা বলছে, নিউজ ট্যাব বন্ধ করার কারণে যে অর্থ ও সম্পদ বেঁচে যাবে, সেটা এমন কোনো কাজে ব্যবহার করা হবে, যা মানুষ ফেসবুকে দেখতে চায়।

তবে এমন সিধান্ত কেন নিয়েছে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি? উত্তরে, মেটার তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসায়িক কারণ দেখানো হয়েছে। সেই সাথে বলা হয়, মানুষ ফেসবুকে সংবাদ ও রাজনৈতিক কনটেন্ট পেতে আসে না।

সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ফেসবুকে ইউজাররা যা দেখেন, তার ৩ শতাংশের কম হল নিউজ। এছাড়াও খবর পড়েন এমন ইউজারদের সংখ্যাও ফেসবুকে বেশ কম বলেই জানিয়েছে মেটা। 

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও জার্মানির জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা।সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই ৩দেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

এর আগে, গত বছর ব্রিটেন, ফ্রান্সেও এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেটার পক্ষ থেকে। নতুন করে তিনটি দেশে ফের একই নিয়ম চালু করার কিছু কারণ রয়েছে। বিনিয়োগের পাশাপাশি অন্য একটি কারণও দেখছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।‌ তা হল ফেসবুক নিউজ ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন। গত বছর, প্রায় ৮০ শতাংশ ইউজার নিউজ ট্যাবে গিয়ে খবর পড়া আগ্রহ কমে যায় অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেই ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ মেটার, এমনটাই অনেকের দাবি। তবে, তিন দেশেই ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ফিডে খবর দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছে মেটা।

এর আগে, ২০২৩ সালে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দিয়েছিল মেটা।

তবে, সংস্থাটি জানিয়েছে, ভিডিও কন্টেন্টের ক্ষেত্রে অ্যাড ও রেভিনিউ; বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য অপরিবর্তিত থাকবে।


হোয়াটসঅ্যাপ আসছে নতুন আপডেট একটি ফিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

হোয়াটসঅ্যাপ আসছে নতুন আপডেট একটি ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপে এখন যে কারও নাম দিয়েই সার্চ করা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার। যা ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করছে তেমনি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ নতুন একটি ফিচার আসছে।

এবার নতুন একটি ফিচার আসছে যার মাধ্যমে এখন হোয়াটসঅ্যাপ চালাতে দরকার হবে না কোনো ফোন নম্বর। এমনকি সার্চ করতেও ফোন নম্বরের প্রয়োজন হবে না। ইউজারনেম দিয়েই সার্চ করা যাবে। নতুন এই ফিচারের নাম হলো ইউজারনেম সার্চ ফিচার।

ওয়েবিটাইনফো অনুসারে সার্চ বার ব্যবহারকারীদের তাদের নির্বাচিত ইউজারনেম ব্যবহার করে পরিচিতিগুলো সন্ধান করতে সক্ষম করবে, যা ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ভাগ করে নেওয়ার বিকল্প হয়ে উঠবে। এছাড়া বেশ কিছু সুবিধা পাবেন এই ফিচারের মাধ্যমে। জেনে নিন সেগুলো-

ব্যবহারকারীদের জন্য অপশনাল ইউজারনেম কনফিগারেশন

 একটি ইউজারনেম সেট করার পছন্দটি ঐচ্ছিক এবং ব্যবহারকারীদের দ্বারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত৷ তারা যে কোনো সময় সহজেই তাদের বর্তমান ইউজারনেম মুছে ফেলতে বা পরিবর্তন করতে পারেন। এটি ব্যবহারকারীদের তাদের ফোন নম্বর প্রকাশ না করে, অন্যদের সঙ্গে সংযোগ করার নমনীয়তা প্রদান করে।

ইউজার নেম সার্চের মাধ্যমে উন্নত গোপনীয়তা

এই ফিচার ব্যক্তিদের তাদের ফোন নম্বর শেয়ার না করেও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়। ফলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের উপর আরও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব হয়।

সরল যোগাযোগ প্রক্রিয়া

ইউজারনেমের মাধ্যমে অনুসন্ধান বন্ধু, পরিবার বা অন্যান্য পরিচিতর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে। এটি স্পষ্টভাবে ফোন নম্বর চাওয়া এবং বিনিময় করার প্রয়োজনীয়তা দূর করে। ব্যবহারকারীরা এক্ষেত্রে তাদের ইউজারনেম শেয়ার করতে পারেন। যা অন্যদের জন্য অ্যাপের মধ্যে তাদের খুঁজে পাওয়া এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা আরও সুবিধাজনক করে তোলে।


ফিউচার আপডেট রিলিজ

নতুন এই ইউজারনেম সার্চ ফিচারের বিকাশ চলছে এবং এটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ভবিষ্যতের আপডেটের অংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


অনুমতি ছাড়া ওড়ানো যাবে না বিমান, ড্রোন : আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

অনুমতি ছাড়া ওড়ানো যাবে না বিমান, ড্রোন : আইএসপিআর

JlecBD ডেস্ক: অনুমতি ছাড়া আকাশে রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি, লেজার ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস উড্ডয়ন করছেন। এ ছাড়াও বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান-প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ছাড়াও বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা দেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আইএসপিআর আরও জানায়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd) প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে। এ ছাড়াও বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয় আইএসপিআরের পক্ষ থেকে।