শেয়ার বাজার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা আদালতের

লেখক ই জেন ক্যারলের করা মানহানি মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জরিমানা করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের একটি জুরি ক্যারলকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ দেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তে ক্যারল খুশি হলেও ট্রাম্প চটেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার এই মামলায় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা থাকলেও বিচারকের সঙ্গে ট্রাম্পের বাকবিতণ্ডা এবং ট্রাম্পকে তার সাক্ষ্যদানের সময় কী বিষয়ে কথা বলতে দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই অনেক সময় ব্যয় করেন বিচারক ও আইনজীবীরা। পরে এই মামলার শুনানি একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নির্ধারণ করা হয়। ওইদিনের শুনানিতে ট্রাম্পকে জরিমানা করেন

শুক্রবার বিকেলে এ রায়ে পৌঁছাতে সাতজন পুরুষ ও দুইজন নারীর একটি জুরি তিন ঘণ্টারও কম সময় নেন।


২০১৯ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। তখন ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ক্যারলকে মিথ্যাবাদী বলেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে মানহানি হয়েছে দাবি করে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ক্যারল।  মানহানির ওই মামলায় আবারও জরিমানা গুণতে হচ্ছে ট্রাম্পকে।

শুক্রবারের রায়ের পরে এক বিবৃতিতে ক্যারল বলেছেন, ‘এটি প্রতিটি নারীর জন্য একটি বিজয় যারা ছিটকে পড়ার পরও ওঠে দাঁড়ায় এবং  প্রতিটি নিপীড়কের জন্য একটি বিশাল পরাজয় যারা একজন নারীকে ছোট করার চেষ্টা করেছে।’

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের

এদিকে, সর্বশেষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। মামলাটিকে একটি ‘উইচ হান্ট’ এবং রায়টিকে ‘নিতান্তই হাস্যকর!’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


একাধিক মামলা এবং চারটি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। এতদসত্ত্বেও চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিউ হ্যাম্পশায়ারে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি, আইওয়া ককাসেও জিতেছেন।


Dummy Ad 1

আল-আকসা মসজিদ
আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর, ২০২৩

আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ?

মক্কা ও মদিনার পর জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর ফিলিস্তিন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলিম আসেন এই মসজিদ প্রাঙ্গণে। মসজিদটি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়।

গত কয়েক বছর ধরে আল আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।কিন্তু এই এলাকাটি এত স্পর্শকাতর কেন? এর জন্য ফিরে তাকাতে হবে এর ইতিহাসের দিকে।

আল আকসা চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থাপনা। যার কোনটি মুসলমানের জন্য, কোনটি ইহুদিদের জন্য আবার কোনটি খ্রিস্টানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সবগুলো্ স্থাপনার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে তিনটি ধর্মের ইতিহাস।

আল আকসা কোথায় অবস্থিত?

১৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে অবস্থিত আল -আকসা প্রাঙ্গণে রয়েছে আল-আকসা মসজিদ, যা কিবলি মসজিদ নামেও পরিচিত। এছাড়াও আছে সোনালী গম্বুজবিশিষ্ট ‘ডোম অফ দ্য রক’, যা জেরুসালেমের সবচেয়ে স্বীকৃত একটি ল্যান্ডমার্ক এবং এই দুটিই পবিত্র হিসেবে বিবেচিত।

পূর্ব জেরুসালেমের পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত আল-আকসা মুসলিমদের কাছে ‘হারাম আল-শরীফ’ নামে পরিচিত এবং ইহুদিদের কাছে পরিচিত ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে। এখানে ১৫টি গেট ছিল, যেদিক দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করতো জেরুজালেমের ওল্ড সিটি থেকে আসা ধর্মানুরাগীরা ।

যদিও এই গেটের মাত্র ১০টি এখন ব্যবহৃত হয় এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইসরায়েলি সেনা ও পুলিশ।

আল-আকসায় প্রথম ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর, পরে ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে এখানে প্রথম বড় আকারে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। দু'দফা ভুমিকম্পে দুবার ধ্বংস হয়ে গেলে তা পরে পুন:নির্মাণ করা হয়। কয়েকবার সংস্কার কাজও করা হয়। জেরুসালেমের ওল্ড সিটির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত আল-আকসার ‘ডোম অফ দ্য রক’ শহর জুড়ে দৃশ্যমান। বাইরের দেয়ালসহ এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার বর্গমিটারের এই সীমানায় রয়েছে মসজিদ, নামাজের ঘর, উঠান ও ধর্মীয় বিভিন্ন স্থাপনা।

আল আকসা অর্থ কী?

আরবি ভাষায়, আল-আকসার দুটি অর্থ রয়েছে: ‘সবচেয়ে দূর’, যা মক্কা থেকে এর দূরত্বকে বোঝায়। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ‘সর্বোচ্চ’ হিসেবেও মুসলিমদের কাছে এর মর্যাদা ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

আল আকসা মসজিদটি 'মসজিদুল আকসা' বা 'বাইতুল মুকাদ্দাস' নামে পরিচিত মুসলিমদের কাছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, নবী মুহাম্মদ মিরাজের রাতে কাবা শরিফ থেকে প্রথমে আল আকসায় এসেছিলেন এবং মিরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীদের সঙ্গে নামাজের সময় ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।

আল আকসা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এই প্রাঙ্গণের যেমন ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে এর পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি ও জাতীয়তার প্রতীকও এটি। সোনালী গম্বুজের ‘ডোম অফ দ্য রক’ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে স্বীকৃত এবং এই স্থানে প্রার্থনা করতে আসতে পারা একটি বড় সুযোগ বলে মনে করেন মুসলিমরা।

বর্তমান সীমানাগুলো তৈরি হবার আগের বছরগুলোতে, সেই পুরনো আমলে মুসল্লিরা পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও সেই সফরে জেরুসালেমকেও অন্তর্ভুক্ত করতেন ।

আল-আকসার বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণ এখনও হাজার হাজার ধর্মানুরাগীকে আকৃষ্ট করে, যারা প্রতি শুক্রবার জামাতে নামাজের জন্য জড়ো হন।

আল-আকসা প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। মিরাজের রাতে এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন নবী মুহাম্মদ (সা:)। মক্কায় হজ ও ওমরা পালনের আগে আল আকসা ছিল মুসলিমদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, ‘টেম্পল মাউন্টেই’ তাদের পয়গম্বর আব্রাহাম তার পুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য ইহুদিদের পয়গম্বর আব্রাহাম ইসলাম ধর্মে নবী ইব্রাহিম হিসেবে পরিচিত।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, এখানেই ছিল ইহুদিদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। তারা মনে করে, তিন হাজার বছর আগে রাজা সোলেমান এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিল। যেটি ধ্বংস করেছিল ব্যাবিলনীয়রা।

আর দ্বিতীয় উপাসনালয়টি ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল যা একই সাথে ধ্বংস হয়। সেই উপাসনালয়ের শুধুমাত্র পশ্চিম দিকের দেয়ালটিই এখনো টিকে আছে এবং এটিই ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান।

ইহুদিদের মতে, আল আকসায় ‘ফাউন্ডেশন স্টোন’ বা বিশ্বের ‘ভিত্তি পাথর’ এর অবস্থান। যেখান থেকে বিশ্বের সৃষ্টি শুরু হয়েছিল বলে তারা বিশ্বাস করে।

অন্যদিকে খ্রিস্টানরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এটাই সেই জায়গা যেখানে যীশু খ্রিস্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন আর এখানকার গুহাতেই তার দেহ রাখা হয়েছিল।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে জেরুজালেম ও পশ্চিমতীর দখল করে নেবার আগে এটি নিয়ন্ত্রণ করতো জর্ডান। এখন পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েল অধিকৃত হলেও আল-আকসা বা টেম্পল মাউন্ট এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করে জর্ডান-ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান।

‘ডোম অফ দ্য রক’

জেরুজালেমের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ল্যান্ডমার্ক রয়েছে আল আকসায় এবং ইসলামিক যুগের প্রারম্ভিক পর্যায়ের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে এই প্রাঙ্গণে।

ধর্মীয় ভবন, বিভিন্ন ধরনের গম্বুজ, মিনার, স্তম্ভের ঐতিহাসিক কাঠামো ছাড়াও রয়েছে ৩০টি পানির উৎস, যার মধ্যে অজু করার জন্য ব্যবহৃত কূপও রয়েছে।

ইসলামি স্থাপত্যের প্রাচীন নমুনার দেখা মেলে আল আকসায়। আল আকসার দেয়ালের অভ্যন্তরে রয়েছে মিম্বার। এবং মামলুক ও আইয়ুবী যুগের ঐতিহাসিক বিদ্যালয়ের নিদর্শনও আছে এখানে।

আরবি ভাষায়, ‘ডোম অফ দ্য রক’কে ‘কুব্বাত আল-সাখরা’ বলা হয় যেটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।

মক্কার আগে মুসলিমরা এই স্থানকে কিবলা হিসেবে ব্যবহার করতেন অর্থাৎ এর দিকে ফিরেই নামাজ পড়তেন তারা।

উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের নির্দেশে ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয় অষ্টকোণ বিশিষ্ট এই স্থাপনা ‘ডোম অফ দ্য রক’।

'হারাম আল শরীফ' বা 'টেম্পল মাউন্টের' উপর অবস্থিত সোনালী গম্বুজটি ইসলামী স্থাপত্যের অন্যতম একটি নিদর্শন।

এর মধ্যখানে রয়েছে একটি পাথর, যাকে কেন্দ্র করেই এই স্থাপনা নির্মিত। এজন্যই একে বলে 'কুব্বাত আল-সাখরা’ বা ডোম অফ দ্য রক (পাথরের গম্বুজ)।

ইহুদিদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই পাথর হলো ফাউন্ডেশন স্টোন যা মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু। আর ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী ‘ডোম অফ দ্য রকের’ ভেতরে রয়েছে সেই পাথর- যেখান থেকে ইসলামের নবী মুহাম্মদ মিরাজে গিয়েছিলেন (ঊর্ধ্বাকাশে গিয়েছিলেন) বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন।

ওয়েস্টার্ন ওয়াল

আল-আকসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ওয়েস্টার্ন ওয়াল, যা আল-বুরাক প্রাচীর নামেও পরিচিত।

মরোক্কোন গেট ও প্রফেট গেট বা বাব আল নাবি গেটের মাঝখানে রয়েছে প্রাচীরটি এবং এই এলাকায় একটি ছোট মসজিদও রয়েছে যা বুরাক মসজিদ নামে পরিচিত, যেটা ১৩০৭ থেকে ১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।

প্রায় ২০ মিটার লম্বা ও ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রাচীরটি নিয়ে মুসলিমদের বিশ্বাস হলো -নবী মুহাম্মদ মিরাজে যাবার আগে আল-বুরাক নামে পরিচিত একটি ডানাওয়ালা ঘোড়ার মতো প্রাণীকে বেঁধে রেখেছিলেন এখানে।

অন্যদিকে টেম্পল মাউন্টকে ঘিরে থাকা ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ ইহুদিদের কাছে ‘পৃথিবীর ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে স্বীকৃত ও পবিত্র স্থান। চুনাপাথর দিয়ে বানানো প্রাচীন এই দেয়ালটি 'প্লেস অফ উইপিং' বা 'কান্নার জায়গা' নামেও পরিচিত।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে যে এটি হেরোডিয়ান উপাসনালয়ের শেষ অবশিষ্ট কাঠামো, যা রাজা হেরোড দ্য গ্রেটের সময় ২০৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্প্রসারিত হয়। রোমানরা ৭০ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংস করেছিল এটা।

প্রতি বছর, কয়েক হাজার ইহুদি ওয়েস্টার্ন ওয়ালে জড়ো হন এবং এই দেয়ালটি ধরে প্রার্থনা করেন ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা। দেয়ালের ফাঁক ফোকরে দেখা যাবে অসংখ্য টুকরো টুকরো কাগজ গুঁজে রাখা। সেগুলোর মধ্যে লেখা থাকে এখানে আসা মানুষজনের প্রার্থনা। তারা বিশ্বাস করে এই প্রাচীর হলো সেই জায়গা যেখানে ঈশ্বর সবসময় উপস্থিত থাকেন।

আল কিবলি মসজিদ

আল আকসা মসজিদ কোনও একক মসজিদ নয়। আল আকসা মসজিদ মানে- কিবলি মসজিদ, মারওয়ানি মসজিদ (কুব্বাত-আল-সাখরা) ও বুরাক মসজিদের সমন্বয়।

রূপালি-গম্বুজ বিশিষ্ট আল কিবলি মসজিদটি আল-আকসার দক্ষিণ প্রাচীরের দিকে রয়েছে এবং এটি এই প্রাঙ্গণে মুসলমানদের নির্মিত প্রথম ভবন। এটা এখানকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি এবং এখানে মুসল্লিরা নামাজ পড়েন একজন ইমামের নেতৃত্বে।

মুসলমানরা ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে যখন জেরুজালেমে প্রবেশ করে, তখন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর বিন আল-খাত্তাব এবং তার সঙ্গীরা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। তখন কিন্তু এলাকাটি অবহেলিত ছিল।

এটা প্রথমে একটা সাধারণ ভবন ছিল, কাঠের গুঁড়ির ওপর ভিত্তি করে যেটার কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মসজিটির যে কাঠামো দেখা যায় তা প্রথম নির্মিত হয়েছিল উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ানের আমলে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে।

বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মসজিদটি, যা পরে পুনঃনির্মাণ করা হয়। কয়েকবার সংস্কার কাজও করা হয়। এর শেষ সংস্কার কাজটি হয়েছিল অটোমান আমলে, সে সময়ে সুলতান সুলেমান মসজিদ প্রাঙ্গণের বেশ কয়েকটি সাইট পুনরুদ্ধার করেছিলেন এবং সেখানে কার্পেট ও নানা ধরনের লণ্ঠন স্থাপন করেছিলেন।

বর্তমানে আল-কিবলি মসজিদের নয়টি প্রবেশপথ রয়েছে। পাথর ও মার্বেলযুক্ত স্তম্ভের কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। পাথরের স্তম্ভগুলো প্রাচীন, বিশ শতকের গোড়ার দিকে যে সংস্কার কাজ হয়েছিল তখন মার্বেলগুলো যুক্ত করা হয়।

আশি মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৫ মিটার প্রস্থের এই মসজিদটিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

ফিলিস্তিনিদের কাছে গুরুত্ব

ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের চেয়েও আল আকসাকে সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র মনে করেন ফিলিস্তিনিরা। যেখানে তারা জমায়েত হয়ে আনন্দ উদযাপন করতে পারেন বা শোক করতে পারেন।

অনেক ফিলিস্তিনি ছোটবেলা থেকে মসজিদে নিয়মিত আসেন এবং তাদের কাছে আল আকসা দেশের সবচেয়ে স্বীকৃত প্রতীক।

রমজান মাসে অনেকেই মসজিদে আসেন রোজা ভাঙার জন্য এবং শুক্রবার এখানে নামাজ আদায় করেন। যদিও ইসরায়েলি বাহিনীর বিধিনিষেধের ওপর নির্ভর করে ফিলিস্তিনিদের আসা যাওয়া।

মসজিদটির প্রতি ফিলিস্তিনিদের যে ভক্তি ও আনুগত্য সেটাকে হুমকি হিসেবে মনে করে ইহুদি কট্টরপন্থীরা যারা এই জায়গায় থার্ড টেম্পল বা ইহুদিদের তৃতীয় উপাসনালয় তৈরি করতে চায়।

ফিলিস্তিনিদের প্রথম জাদুঘর, ‘ইসলামিক মিউজিয়াম’ এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৩ সালে, যেখানে বিরল প্রত্নতাত্ত্বিক ও শৈল্পিক নিদর্শন রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে কুরআনের পাণ্ডুলিপিও।

সহিংসতার কেন্দ্র আল আকসা কেন?

আল আকসা প্রাঙ্গণটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান- তিন ধর্মের মানুষের কাছেই পবিত্র স্থান। যুগ যুগ ধরে এই এলাকা ঘিরেই চলছে বিবাদ। বলা যায় ঐতিহাসিকভাবে এটি বিবাদের ইস্যু।

ইসরায়েলি সরকারের সাথে সমঝোতা অনুযায়ী নানা বিধিনিষেধ ও শর্তপূরণের মাধ্যমে - শুধুমাত্র মুসলিমরাই আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকে প্রার্থনা করতে পারেন।

অন্যদিকে খ্রিস্টান ও ইহুদিরা আল আকসায় শুধু পর্যটক হিসেবে প্রবেশ করতে পারবেন। সপ্তাহে পাঁচ দিন তাদের জন্য আল আকসা খোলা এবং দিনে চার ঘণ্টা সময় পাবেন ওই এলাকা ঘুরে দেখার জন্য।

জেরুসালেমে ধর্ম ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে আল আকসা প্রাঙ্গণ সংঘর্ষ- সহিংসতার একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

ইহুদি দর্শনার্থীরা নিয়ম অমান্য করে আল আকসায় প্রার্থনা করেছে, কেউ প্রকাশ্যে কেউবা মুসলিমের বেশে। নানান সময়ে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞায় বিক্ষোভ সংঘর্ষ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।

আল-আকসায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের এক বিতর্কিত সফরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় 'ইন্তিফাদা' বা গণঅভ্যুত্থান - যাতে ৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

সম্প্রতি আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের সাথে ফিলিস্তিনিদের আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। ফিলিস্তিনে সর্বশেষ এই সহিংসতার ঘটনা এমন সময়ে ঘটে যখন মুসলিমরা রমজান মাস এবং ইহুদিরা পাসওভার হলিডে পালন করছিল।

ইহুদি চরমপন্থীরা তাদের পাসওভার দিবস উপলক্ষে সেখানে একটি ছাগল জবাই করতে পারে - এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিরা রমজানের নামাজের পর সেখানে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।

খ্রিস্ট ধর্মের শুরুর দিকে এবং রোমানরা ওই স্থানে ইহুদিদের টেম্পল ধ্বংস করে দেওয়ার আগে ইহুদিরা সেখানে ছাগল জবাই করতো।

দুই হাজার বাইশ সালের এপ্রিল মাসেও আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলি পুলিশ তখন জানিয়েছিল শুক্রবার নামাজের পর মসজিদ চত্বর থেকে ফিলিস্তিনিরা ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান ওয়েস্টার্ন ওয়ালের দিকে পটকা ও পাথর ছুঁড়ে মারার পর পুলিশ আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এমন সময়ে ওই সংঘাতের ঘটনা ঘটে যখন মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস, ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ‘পাসওভার ডে’ ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার একই সাথে পালিত হচ্ছিল।

নয়দিনব্যাপী চলা 'পাসওভার' উৎসবের সময় আল আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ অনেক বেড়ে যায়।

এই সময় এমনিতেই আল আকসা প্রাঙ্গণে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে।

এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সহিংসতার পর হামাস জেরুজালেমকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে এবং তার জের ধরে ইসরায়েলের সাথে সংঘাত শুরু হয় যা ১১ দিন ধরে অব্যাহত থাকে।

এই জায়গাটি এতই স্পর্শকাতর যে এখানে কোনও সহিংস ঘটনা শেষ পর্যন্ত আরো একটি ইন্তিফাদা ডেকে আনবে কিনা - এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেন না।


গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের-আইসিজে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের-আইসিজে

JlecBD আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তবে গাজায় ইসরালের সামরিক অভিযান বন্ধের যে আদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা চেয়েছিল, তাতে সায় দেয়নি জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত।

ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। শুক্রবারের (২৬ জানুয়ারি) এই রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বাহিনী গাজায় আর গণহত্যা চালাবে না ও ‘কথিত’ গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।

শুক্রবার গাজা উপত্যকায় গণহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার রুল জারি করেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। এতে গাজায় গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেননি।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দেওয়া অন্তবর্তীকালীন রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু বলেন, গাজায় যাতে গণহত্যা না ঘটে সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছেন আদালত। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে ইসরায়েলকেই।

রায়ে আরও বলা হয়, গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দিতে হবে ও গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে। এছাড়া ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো ও গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আইসিজে তার অন্তবর্তীকালীন রায়ে আরও বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার যে অভিযোগ তুলেছে, সেসব অভিযোগের সঙ্গে কিছু বিষয়ের মিল রয়েছে। এ কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ মামলা চলবে।

আরও পড়ুন: গাজার ক্ষুধার্ত মায়েদের বুকে দুধ নেই, অনাহারে লাখ লাখ শিশু

আইসেজি’র বিচারক জে দোঙ্গু এর আগে বলেছিলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায় দেওয়ার ক্ষমতা এই আদালতের রয়েছে ও ইসরায়েলের অনুরোধে আমরা এই মামলা খারিজ করে দেবো না।

গাজায় নির্বচারে হামলা ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গত বছরের শেষদিকে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুতে আদালতে মামলাটির দুই দিনের শুনানি হয়।

শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন। এছাড়া জেনোসাইড (গণহত্যা) কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের সুরক্ষার বিষয়টিও যাতে নিশ্চিত করা হয়।

দখলদার ইসরায়েল আদালতকে এই মামলা সরাসরি খারিজ করে দিতে বলেছিল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, তারা আশা করছেন, জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত এই মিথ্যা অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করবেন।

কিন্তু আইসিজের এই রায়ে ইসরায়েলের সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে। উল্টো আইসিজের ১৭ জনের বিচারক প্যানেলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। শুধু গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কার্যকলাপ ও পদক্ষেপ দ্রুত বন্ধের আদেশ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা যা চেয়েছিল তার বেশিরভাগই পূরণ হয়েছে রায়ে। 

সূত্র: আল জাজিরা


এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা

JlecBD আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবাসন সংকট মোকাবিলায় এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা। দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার স্থানীয় একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি সচল রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য অভিবাসীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল কানাডা। তবে সাম্প্রতিক সময় উত্তর আমেরিকার দেশটিতে আবাসন সংকট বেড়ে যাওয়ার জন্য অভিবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হচ্ছে। এ নিয়ে বেশ হওয়ায় সমালোচনার মুখে রয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।

সিটিভি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কানাডীয় অভিবাসন মন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যায় সীমাবদ্ধতা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।

কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিরক্তিকর। এটি সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

তবে কানাডীয় সরকার কী পরিমাণ বিদেশি ছাত্র কমানোর পরিকল্পনা করছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মিলার। এ বিষয়ে জানতে তার মুখপাত্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সরকারি তথ্যমতে, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসাসহ কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল আট লাখেরও বেশি, যা ২০১২ সালে ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৫ হাজার জন।

মার্ক মিলারের সাক্ষাৎকারটি রোববার (১৩ জানুয়ারি) সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কাজের অনুমতি পাওয়া তুলনামূলক সহজ হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কানাডা।

দেশটির লিবারেল সরকার গত আগস্টেই বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনার কথা সামনে এনেছিল। তবে সেসময় অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেছিলেন, সরকার এই পথ অনুসরণ করবে কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে, গত ডিসেম্বরে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য খারাপ খবর দিয়েছিল কানাডা। দেশটিতে পড়তে যাওয়ার জন্য খরচ একলাফে দ্বিগুণ করেছিল ট্রুডো সরকার। আগের তুলনায় এখন ব্যাংকে দ্বিগুণ অর্থ দেখাতে হচ্ছে কানাডায় পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের।