শেয়ার বাজার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা আদালতের

লেখক ই জেন ক্যারলের করা মানহানি মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জরিমানা করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের একটি জুরি ক্যারলকে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ দেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তে ক্যারল খুশি হলেও ট্রাম্প চটেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার এই মামলায় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা থাকলেও বিচারকের সঙ্গে ট্রাম্পের বাকবিতণ্ডা এবং ট্রাম্পকে তার সাক্ষ্যদানের সময় কী বিষয়ে কথা বলতে দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই অনেক সময় ব্যয় করেন বিচারক ও আইনজীবীরা। পরে এই মামলার শুনানি একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নির্ধারণ করা হয়। ওইদিনের শুনানিতে ট্রাম্পকে জরিমানা করেন

শুক্রবার বিকেলে এ রায়ে পৌঁছাতে সাতজন পুরুষ ও দুইজন নারীর একটি জুরি তিন ঘণ্টারও কম সময় নেন।


২০১৯ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়। তখন ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ক্যারলকে মিথ্যাবাদী বলেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে মানহানি হয়েছে দাবি করে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ক্যারল।  মানহানির ওই মামলায় আবারও জরিমানা গুণতে হচ্ছে ট্রাম্পকে।

শুক্রবারের রায়ের পরে এক বিবৃতিতে ক্যারল বলেছেন, ‘এটি প্রতিটি নারীর জন্য একটি বিজয় যারা ছিটকে পড়ার পরও ওঠে দাঁড়ায় এবং  প্রতিটি নিপীড়কের জন্য একটি বিশাল পরাজয় যারা একজন নারীকে ছোট করার চেষ্টা করেছে।’

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের

এদিকে, সর্বশেষ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। মামলাটিকে একটি ‘উইচ হান্ট’ এবং রায়টিকে ‘নিতান্তই হাস্যকর!’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


একাধিক মামলা এবং চারটি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। এতদসত্ত্বেও চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিউ হ্যাম্পশায়ারে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি, আইওয়া ককাসেও জিতেছেন।


Dummy Ad 1

আবারও ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি, ২০২৪

আবারও ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা

JlecBD ডেস্ক: ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। পেন্টাগন বলছে, সোমবার আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ একটি গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র এবং নজরদারির স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে যাতায়াতকারী ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বলছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করার চেষ্টা করছে তারা। পেন্টাগনের জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য লোহিত সাগরে উত্তেজনা হ্রাস করা এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা। ওই অঞ্চলে বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষা করার বিষয়ে আমরা দ্বিধা করব না।

গত ১১ জানুয়ারি হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে যৌথভাবে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য।

দুদেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইউএসএস আইজেনহাওয়ারের মার্কিন যুদ্ধবিমান সোমবারের হামলায় অংশ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওডি) জানিয়েছে, তাদের জোড়া ভয়েজার ট্যাঙ্কারের সহায়তায় চারটি আরএএফ টাইফুন মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে হামলায় অংশ নিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস হুথিদের অসহনীয় আক্রমণের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা হিসাবে এই হামলাকে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং এর কাছাকাছি অবস্থিত আল দাইলামি বিমান ঘাঁটি, তাইজ এবং বায়দা প্রদেশে হামলা চালানো হয়েছে।


গাজা যেন এক বিচ্ছিন্ন মৃত্যুপুরী!
বেঁচে যাওয়া মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নিত্যসামগ্রী পাচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বেঁচে যাওয়া মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নিত্যসামগ্রী পাচ্ছে না

JlecBD ডেস্ক: ইসরায়েলি হামলায় গাজা ধ্বংসপ্রায়। ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত।  ইসরায়েলের নির্দেশমতো উত্তর গাজা থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ দক্ষিণে সরে গেছে। রাফা সীমান্তে তাদের পরিণতি কী ঘটে বলা যাচ্ছে না। পানি, বিদ্যুত্ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন মৃত্যুপুরী এখন গাজা।

অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সংকট দিনে দিনে গভীরতর হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নিত্যসামগ্রী পাচ্ছে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ইসরায়েল গাজার সাধারণ মানুষকে অনাহারে থাকতে বাধ্য করছে যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ নাকবা। আরবি শব্দ যার অর্থ বিপর্যয়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি ভিটেমাটি থেকে উত্খাত হয় যা নাকবা পরিচিতি পায়। ইসরায়েলের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন মনে হয় আরেকটি নাকবার মাধ্যমে সংকট শেষ হবে। দেশটির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী আভি ডিচতার ডিসেম্বরে বলেছিলেন, গাজার বাস্তুচ্যুতি ২০২৩ সালের নাকবা হয়ে থাকবে। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীনদের মুখে নাকবা শব্দ তেমন একটা শোনা যায় না। দেশটির উগ্র ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা সম্প্রতি নাকবা শব্দ ব্যবহার করছেন। শব্দটা ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাভাবিক বলেই তারা মনে করেন। ’৪৮ সালের সেই ঘটনা তাদের জন্য বিপর্যয় ছিল না। ইসরায়েলের জন্য সীমানা সম্প্রসারণের সুযোগ। ডানপন্থি জায়নিস্ট পার্টি থেকে আসা অর্থমন্ত্রী বেজালেল সমোিরচ কয়েক বছর আগে পশ্চিম তীর অন্তর্ভুক্তিকরণের একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব দেন। বলা হয়েছিল সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা পূর্ণ নাগরিক না হয়ে হয় ইসরায়েলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবে অথবা অন্য কোথাও চলে যাবে। পূর্ণ নাগরিক না অর্থ স্থায়ী বসবাসের অধিকার বা ভোটাধিকার থাকবে না। পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিরা বর্তমানে সেই অবস্থায় আছে।

অনেকে বলছেন, গাজায় এখন যা হচ্ছে তা আসলেই নাকবাই। ১৯৪৮ সাল বা ১৯৬৭ সালে যা হয়েছিল বর্তমান পরিস্থিতি সম্মিলিতভাবে ঐ দুই ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই এ ব্যাপারে কিছু একটা করা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলের গাজা পুরোটা বা অংশবিশেষ দখলও তারা সমর্থন করেন না। যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষের অবশ্যই তাদের নিজ ভিটামাটিতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বলেছিলেন, গাজা অথবা পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের উত্খাত অথবা গাজার সীমা পুনর্নির্ধারণ যুক্তরাষ্ট্র কোনো অবস্থাতেই অনুমোদন করবে না। বাইডেন প্রশাসন যদি এই নীতিতে অনড় থাকে তবে তাদের ইসরায়েলকে এখনই বোঝানো উচিত।

১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল বিশাল ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে। বর্তমান যুদ্ধের তীব্রতা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। পুরো গাজায় এখন বসবাসের মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। সবশেষ দক্ষিণ গাজার রাফায় আরেকটি ট্র্যাজিডি তৈরি হচ্ছে বলে মনে হয়। ইসরায়েল চাইছে মিশর তাদের আশ্রয় দিক, বিশেষ করে সিনাই উপত্যকায় তাদের নিয়ে থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু মিশর এ ব্যাপারে সাফ না বলে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা যেন গাজায় তাদের ফেলে যাওয়া বাড়িঘরে ফিরতে পারে সেটা ইসরায়েলি সরকারকে নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এখনই বলা দরকার। বিশেষ করে উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষ ফিরতে পারবে কি না তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা রয়েছে। নাকবা শুধু ফিলিস্তিনিদের বসতভিটা থেকে উত্খাত করা নয় বরং তারা যেন হাতছাড়া হওয়া ভিটার ওপর দাবি তুলতে না পারে সেজন্য আইনি অস্ত্রও বটে। ১৯৫০ সালে ইসরায়েল অনুপস্থিত সম্পত্তি আইন প্রণয়ন করে বাস্তুচ্যুত লোকজনের ফেরার পথ আটকে দেয়। সেই থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য যে কোনো যুুদ্ধই স্থায়ী বাস্তুচ্যুতির খড়গ হয়ে ঝুলছে। যদিও ইসরায়েল কাগজে কলমে সম্প্রতি ট্রাস্টি করেছে কিন্তু সেটা কেবল অভিবাসী ইহুদিদের পুনর্বাসনের জন্যই। পরিত্যক্ত সম্পত্তিগুলোতে এক সময় শুরু হয় বসতি নির্মাণ। কিছুদিন আগে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের উত্খাত বৈধতা দিতে ইসরায়েল ঐ প্রয়োগ করেছিল।

বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী যদিও-বা ফিরতে পারে তারপরও প্রশ্ন থেকে যাবে পুনর্গঠন কীভাবে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ। ইসরায়েলের ১৬ বছরের অবরোধ এড়িয়ে সেখানে নির্মাণসামগ্রী পৌঁছান প্রায় অসম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো যেখানে বিপর্যয় ঠেকাতে কিছুই করেনি সেখানে আরেকটি নাকবা আটকাতে কী তারা ভূমিকা পালন করবে সেটাও একটি প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়।


পূর্ব ভূমধ্যসাগর এক বছরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু বেড়েছে দ্বিগুণ: জাতিসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

পূর্ব ভূমধ্যসাগর এক বছরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু বেড়েছে দ্বিগুণ: জাতিসংঘ

JlecBD আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অভিবাসন রুটে প্রাণ হারানো বা নিখোঁজ অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা গত এক বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অন্তত ৭১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় রুটে মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।

ইউএনএইচসিআরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে এই অভিবাসন রুটে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা ছিল ৩৪৩ জন। অর্থাৎ, গত বছর সেটি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অভিবাসন রুট পেরিয়ে ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৫৮৪। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ১২ হাজার ৭৫৮ জন।

গত বছর স্থলপথে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২২ সালে স্থলপথে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২২ জন। ২০২৩ সালে সেটি বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ১৬০ জন।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় রুটে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইপ্রাস ও গ্রিস। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এই রুটে ইউরোপে পৌঁছাতে চান। তবে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকে গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে ইতালি পৌঁছানোরও চেষ্টা করেন৷