JlecBD আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবাসন সংকট মোকাবিলায় এবার বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কানাডা। দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার স্থানীয় একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
অর্থনীতি সচল রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য অভিবাসীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল কানাডা। তবে সাম্প্রতিক সময় উত্তর আমেরিকার দেশটিতে আবাসন সংকট বেড়ে যাওয়ার জন্য অভিবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হচ্ছে। এ নিয়ে বেশ হওয়ায় সমালোচনার মুখে রয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
সিটিভি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কানাডীয় অভিবাসন মন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যায় সীমাবদ্ধতা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।
কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিরক্তিকর। এটি সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
তবে কানাডীয় সরকার কী পরিমাণ বিদেশি ছাত্র কমানোর পরিকল্পনা করছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মিলার। এ বিষয়ে জানতে তার মুখপাত্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সরকারি তথ্যমতে, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসাসহ কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল আট লাখেরও বেশি, যা ২০১২ সালে ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৫ হাজার জন।
মার্ক মিলারের সাক্ষাৎকারটি রোববার (১৩ জানুয়ারি) সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
কাজের অনুমতি পাওয়া তুলনামূলক সহজ হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কানাডা।
দেশটির লিবারেল সরকার গত আগস্টেই বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনার কথা সামনে এনেছিল। তবে সেসময় অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেছিলেন, সরকার এই পথ অনুসরণ করবে কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য খারাপ খবর দিয়েছিল কানাডা। দেশটিতে পড়তে যাওয়ার জন্য খরচ একলাফে দ্বিগুণ করেছিল ট্রুডো সরকার। আগের তুলনায় এখন ব্যাংকে দ্বিগুণ অর্থ দেখাতে হচ্ছে কানাডায় পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের।