বিএনপিকে বাংলাদেশের ডামি বিরোধী দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দলটির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, তারা শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। তারা আন্দোলন করবে, সেই আন্দোলনে জনতার ঢল নামবে, এসব শুনে ঘোড়াও হাসে। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ভুয়া বানিয়ে ফেলছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল বলেন, বিএনপির এখন আর কোনো আশা নেই। নির্বাচন না করে তারা কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই বুঝতে পারবে। বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী যারা ট্রেনে-বাসে আগুন দেওয়া, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপ্রতির বাড়িতে হামলা, এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গেছে। সৎ সাহস থাকলে এসব মামলা তারা আইনি প্রক্রিয়ায় ফেস করুক। যারা অপরাধ করেনি আইনি প্রক্রিয়ায় তারা মুক্ত হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। আর কোনো ডামি দলের দরকার নেই। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই। আশা হারিয়ে ফেলেছে। সবার মধ্যে এখন হতাশা। তাদের উত্তাল আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।
২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সারাদেশে কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এ মুহূর্তে কোনো আশা নেই। কারণ, নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসানীতিও নেই। তাদের এখন আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়। তাদের আশাটা আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের এখন কালো পতাকার মিছিল, এটা হলো শোক পালনের মিছিল। কালো পতাকা তো শোকের চিহ্ন, তারা তাহলে নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে ‘আমরা পরাজয় বরণ করছি’।
তিনি আরও বলেন, কোন দেশে অপরাধ করে শাস্তি হবে না। আমেরিকার কথা আমরা ছেড়ে দেবো? এটা কোনো কথা? তাহলে ট্রাম্পের বিচার কেন হচ্ছে না? ৯১টি চার্জে ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে না। সেই দেশ আমাদের কীভাবে বলে- অপরাধীকে ছেড়ে দিতে হবে? আমাদের জেলে এত লোক নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন ১১ থেকে ১২ হাজার লোক জেলে আছে। যারা কি না অপরাধ করে জেলে গেছে। এখন তারা (বিএনপি) জাতিসংঘকে দিয়েও বলাচ্ছে। লবিং ভালোই করে। লবিংয়ের ওস্তাদ এই বিএনপি।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন চালান, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি-রোজগারে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ, ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন, অগ্নিসন্ত্রাস করবেন, এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অনেক ভোগান্তি এদেশের মানুষ সহ্য করেছে, অবরোধের নামে আপনারা মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। এসব অপকর্ম করলে শাস্তি পেতেই হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলনে জনগণ তো দূরে, আপনাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেবে না। আপনাদের নেতাকর্মীরাও এই আন্দোলনে আসবে না। তারা সবাই হতাশ।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যার্টাজী এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।