শেয়ার বাজার

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা  বুধবার

JlecBD ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

Dummy Ad 1

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে

JlecBD: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ নাও করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক উপ-কমিটির এই মতবিনিময় সভা হয়।

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশঙ্কা আছে, আমাদের দলের অনেকেরই আশঙ্কা আছে; দেশের জনগণের মধ্যেও এটা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। কিন্তু এটা চূড়ান্ত কথা হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা বিবেচনায় আনতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘ডেমোক্রেসিতে অনেক কিছু সম্ভব। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বয়কট করা, ওয়াকআউট করা- এসব বিষয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সব জায়গাতেই আছে। কী হবে এটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমি কী করে বলবো তারা সরে যাবে। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’


বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

বিএনপিকে বাংলাদেশের ডামি বিরোধী দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দলটির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, তারা শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। তারা আন্দোলন করবে, সেই আন্দোলনে জনতার ঢল নামবে, এসব শুনে ঘোড়াও হাসে। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ভুয়া বানিয়ে ফেলছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল বলেন, বিএনপির এখন আর কোনো আশা নেই। নির্বাচন না করে তারা কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই বুঝতে পারবে। বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী যারা ট্রেনে-বাসে আগুন দেওয়া, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপ্রতির বাড়িতে হামলা, এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গেছে। সৎ সাহস থাকলে এসব মামলা তারা আইনি প্রক্রিয়ায় ফেস করুক। যারা অপরাধ করেনি আইনি প্রক্রিয়ায় তারা মুক্ত হয়ে আসবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। আর কোনো ডামি দলের দরকার নেই। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই। আশা হারিয়ে ফেলেছে। সবার মধ্যে এখন হতাশা। তাদের উত্তাল আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।

২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সারাদেশে কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এ মুহূর্তে কোনো আশা নেই। কারণ, নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসানীতিও নেই। তাদের এখন আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়। তাদের আশাটা আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের এখন কালো পতাকার মিছিল, এটা হলো শোক পালনের মিছিল। কালো পতাকা তো শোকের চিহ্ন, তারা তাহলে নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে ‘আমরা পরাজয় বরণ করছি’।

তিনি আরও বলেন, কোন দেশে অপরাধ করে শাস্তি হবে না। আমেরিকার কথা আমরা ছেড়ে দেবো? এটা কোনো কথা? তাহলে ট্রাম্পের বিচার কেন হচ্ছে না? ৯১টি চার্জে ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে না। সেই দেশ আমাদের কীভাবে বলে- অপরাধীকে ছেড়ে দিতে হবে? আমাদের জেলে এত লোক নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন ১১ থেকে ১২ হাজার লোক জেলে আছে। যারা কি না অপরাধ করে জেলে গেছে। এখন তারা (বিএনপি) জাতিসংঘকে দিয়েও বলাচ্ছে। লবিং ভালোই করে। লবিংয়ের ওস্তাদ এই বিএনপি।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন চালান, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি-রোজগারে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ, ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন, অগ্নিসন্ত্রাস করবেন, এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অনেক ভোগান্তি এদেশের মানুষ সহ্য করেছে, অবরোধের নামে আপনারা মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। এসব অপকর্ম করলে শাস্তি পেতেই হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলনে জনগণ তো দূরে, আপনাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেবে না। আপনাদের নেতাকর্মীরাও এই আন্দোলনে আসবে না। তারা সবাই হতাশ।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যার্টাজী এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।


বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ সেলিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ সেলিমের

JlecBD ডেস্ক: বিএনপি-জামায়াতকে উগ্র সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন সরকারদলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এরা রাষ্ট্রের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রের শত্রু। সন্ত্রাসী, জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি করছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনিই এটা পারবেন। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীদের নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।

এ সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ও দেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য এ দাবি করছি। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। এরা যেন রাজনীতির নামে বাংলাদেশে খুন, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করতে না পারে। আর যাকেই ধরতে পারবেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো দয়া-মায়া দেখানোর সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা জঙ্গি, সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা সংবিধানকে তোয়াক্কা করে না। যারা সংবিধান, নির্বাচন মানে না তারা আবার কী রাজনীতি করবে।

তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যকারীদের সন্ধানে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে বলেন, কারা এর পেছনে জড়িত ছিল তা বেরিয়ে আসবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে মারে তারা যেকোনো ঘটনা ঘটাতে পারে।

দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত শক্তি আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিশ্বের বড় সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে। কীভাবে বাংলাদেশে অস্থিরতা বৃদ্ধি করা যায়, উন্নয়নের অব্যাহত ধারা বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ সেলিম বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে অগ্রসর হন তখন অতি বিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী... স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত ছিল। উগ্রপন্থি সিরাজ সিকদার, সর্বহারা হকিত্বোহা, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, লাল পতাকা বাহিনীর থানা লুট, ব্যাংক লুট, পাটের গুদামে আগুন, মানুষ হত্যা। ৭ জন সংসদ সদস্যকেও হত্যা করা হয়। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী ও জাসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে সশস্ত্র আক্রমণ করে। কর্নেল ওসমানী গণতন্ত্র বলে বুক ফাটিয়ে ফেলতো, সে খুনি মোশতাকের সামরিক উপদেষ্টা হয়। গণবাহিনীর প্রধান কর্নেল তাহের বাহিনী রেডিও স্টেশনে গিয়ে খুনিদের সমর্থন জানায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার গণবাহিনী-জাসদ এরা বৈজ্ঞানিক সমাজন্ত্রের কথা বলে বঙ্গবন্ধুকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে যে শক্তিগুলো ছিল সেখান থেকে ষড়যন্ত্র না হলে বঙ্গবন্ধুর গায়ে কেউ হাত দিতে পারতো না। বড় একটা চক্র বঙ্গবন্ধুর আশপাশে ঘুরে তাকে বিভ্রান্ত করেছে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী এখনো আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলে টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এসব বুদ্ধিজীবীরা সেদিন কোথায় ছিলেন?

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র এমপি বলেন, জিয়া ছিল আইএসআই-এর এজেন্ট। জিয়ার জন্ম পাকিস্তানে। তার পড়াশোনাও পাকিস্তানে। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালে আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে জিয়াকে বাংলাদেশ পোস্টিং দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের জন্য বিএনপি-জামায়াত একের পর এক নাশকতা শুরু করে। লন্ডনে বসে তারেক জিয়া অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ তার জবাব দিয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়।