শেয়ার বাজার

বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে: মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে: মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

JlecBD ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল মিনহাজুল আবেদিন উপাখ্যান। ১৯৯০ সালে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপে ও একই বছর অস্ট্রেলেশিয়া কাপে টিম বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেওয়া দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবসময়ের অন্যতম দক্ষ ও সেরা ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ থেকে আর জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক নন।

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভায় তার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে দেশের ক্রিকেটের আরেক উজ্জ্বল তারকা ও বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।

বলে রাখা ভালো, ক্লাব ক্রিকেট আশির দশকের শুরুতে আবাহনীতে এক সঙ্গে খেলেছেন লিপু আর নান্নু। লিপু ছিলেন আবাহনীতে নান্নুর প্রথম অধিনায়ক। একইভাবে ৮৬ সালে প্রথম এশিয়া কাপেও গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্যাপ্টেন্সিতেই খেলেছেন নান্নু।

জাতীয় দলে লিপুর পর অধিনায়কও হয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এবার নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক হলেন লিপু। ২০১৬ থেকে টানা ৭ বছরের বেশি সময় প্রধান নির্বাচক ছিলেন নান্নু। তারও আগে প্রথম নির্বাচক হয়েছিলেন ২০১২ সালে। আজ সে নির্বাচক পদের ইতি নান্নুর। 

কিভাবে দেখছেন ব্যাপারটিকে? কেমন লাগছে? অনুভূতি কী?

এটা বিসিবির এখতিয়ার। বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। প্রধান নির্বাচক পদে ৭ বছর আর নির্বাচক পদে আরও ৫ বছর- মোট ১২ বছরের বেশি সময় আমি নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছি, সেটাও কম নয়।’

এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও অন্য কথা প্রসঙ্গে নান্নুর মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি আক্ষেপ। তার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না, মানে তিনি আর প্রধান নির্বাচক থাকছেন না, এ বিষয়ে তার সঙ্গে বোর্ডের নীতি-নির্ধারকদের কেউ কোনো কথা বলেননি।

Dummy Ad 1

ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেন নাসিম শাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেন নাসিম শাহ

ইনজুরির কারণে ভারত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে কাঁধের চোটে পড়ে জমজমাট এই আসরে খেলতে পারেননি এই ডানহাতি পেসার।

নাসিমের ইনজু্রি এতটাই জটিল ছিল যে, শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল তাকে। অবশেষে সফল অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরিভাবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তিনি।

নিজের ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে সুসংবাদটি দিয়েছেন নাসিম শাহ নিজেই। পোস্টে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও মেডিক্যাল টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই ২০ বছর বয়সী পেসার।

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নাসিম লিখেছেন, ‘আজ আমি ইংল্যান্ডে আমার পুনর্বাসন সম্পন্ন করেছি। এই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আমি পিসিবির প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। আমার মেডিকেল টিমের ডাঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, ফিজিও জর্জ আর্ল এবং ইংল্যান্ডে অ্যাডাম রাইটকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।’

চলতি বছরের এশিয়া কাপের আসর চলাকালীন সময়ে কাঁধের ইনজুরিতে পড়েছিলেন নাসিম শাহ। চোট থেকে সেরে উঠতে ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচার করানো হয় তার। নাসিম শাহ বিশ্বকাপে খেলতে না পারার কারণে তার অভাব হাড়েহাড়ে টের পায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল পাকিস্তান। অথচ এই পাকিস্তান বিশ্বকাপের আসর শুরু হওয়ার আগে আইসিসির র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিল।


শেষ মুহূর্তে রিশাদ-ঝড়, সিরিজ বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০২৪

শেষ মুহূর্তে রিশাদ-ঝড়, সিরিজ বাংলাদেশের

লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ২৩৬ রানের। কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে তানজিদ হাসান তামিম খেলে দিলেন ৮১ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংস। তারপরও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল টাইগাররা। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। কিন্তু মিরাজ আউট হওয়ার পর আবারও শঙ্কা। সেই শঙ্কা কেটে গেলো রিশাদ হোসেনের শেষ সময়ের টর্নেডো এক ইনিংসে।

১৮ বলে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ গড়ে দিয়েছেন লোয়ার অর্ডারের রিশাদ। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেট আর ৫৮ বল হাতে রেখে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।

১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিক-মিরাজ ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি। ৪০ বলে ২৫ করে আউট হন মিরাজ। মুশফিকের সঙ্গে তখন বলতে গেলে স্বীকৃত ব্যাটার আর কেউ নেই। শঙ্কা তাই তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু রিশাদ আরও একবার ব্যাট হাতে চমক দেখান। মাঠে নেমেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান এই লেগস্পিনার। ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

২৩৬ রানের লক্ষ্য বেশ সহজই। রয়ে সয়ে খেলতে পারলে অনায়াসেই জয় তুলে নেয়া সম্ভব। সৌম্য সরকারের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামা তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে জয়ের স্বপ্নটাও বাংলাদেশের বেশ চওড়া হচ্ছিলো। কিন্তু অহেতুক ছক্কা মারতে গিয়ে সেঞ্চুরি মিস করেন তানজিদ তামিম। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৮১ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় ৮৪ রান করেন এই ওপেনার।

এর আগে ওপেনিংয়ে এনামুল হক বিজয় এবং তানজিদ তামিম মিলে জুটিটা ভালোই গড়ে তুলেছিলো। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভেঙে দেন লাহিরু কুমারা। তার বল অফসাইডে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বিজয়। অনেক উঁচুতে লাফিয়ে উঠে ক্যাচটি ধরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। ২২ বলে ১২ রান করেন বিজয়।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আজও হতাশ করলেন। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করে দলকে জেতানোর পর টানা দুই ম্যাচ ব্যর্থ হলেন। আজ মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি।

মিডল অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক তাওহিদ হৃদয় জুটি বাধেন তানজিদ তামিমের সঙ্গে। ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। ২২তম ওভারের ৪র্থ বলে লাহিরু কুমারার বাউন্স হয়ে আসা বলে খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন হৃদয়। ৩৬ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওপর আস্থা ছিল সবার। কিন্তু লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত একটি বলকে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৪ বলে মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের এই স্তম্ভ।

শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার লাহিরু কুমারা ৪৮ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। দুটি উইকেট শিকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার।

এর আগে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জেনিথ লিয়ানাগে একাই খেলেন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার। ১০১ রান করেন তিনি। এছাড়া ৩৭ রান করেন চারিথ আশালঙ্কা, ২৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৩৫/১০ (জানিথ লিয়ানাগে ১০১*, চারিথ আসালাঙ্কা ৩৭, কুশল মেন্ডিস ২৯; তাসকিন আহমেদ ৩/৪২, মোস্তাফিজুর রহমান ২/৩৯, মেহেদি হাসান মিরাজ ২/৩৮, রিশাদ হোসেন ১/৫১)

বাংলাদেশ: ৪০.২ ওভারে ২৩৭/৬ (তানজিদ হাসান তামিম ৮৪, তাওহিদ হৃদয় ২২, মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫, মুশফিকুর রহিম ৩৭*, রিশাদ হোসেন ৪৮*; লাহিরু কুমারা ৪/৪৮)


ক্রিকেট
তিন সংস্করণে নতুন অধিনায়ক নাজমুল, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তিন সংস্করণে নতুন অধিনায়ক নাজমুল, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ

JlecBD ডেস্ক: তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নতুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন। 

আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে বড় এই দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

এত দিন সাকিব আল হাসান তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন। গত অক্টোবরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর একদিনও অধিনায়ক থাকবেন না। তবে শুধু ওয়ানডের কথা বলেছিলেন, নাকি সব সংস্করণের—তা পরিষ্কার ছিল না। বিশ্বকাপে সাকিবের চোটের কারণে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন।

পরে সাকিবের অনুপস্থিতিতে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও নাজমুল অধিনায়কত্ব করেন। অধিনায়ক ছিলেন এর পরপরই নিউজিল্যান্ড সফরেও। নাজমুলের নেতৃত্বে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জেতে। নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হারায় বাংলাদেশ, পরে জেতে একটি টি–টোয়েন্টিতেও। 

নতুন অধিনায়কের সঙ্গে নতুন নির্বাচক কমিটিও পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। আগের নির্বাচক কমিটি থেকে আবদুর রাজ্জাক অবশ্য আছেন নতুন কমিটিতেও। আগের কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। মিনহাজুল আবেদীনের বদলে প্রধান নির্বাচক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেনের নাম। কমিটির তৃতীয় সদস্য হিসেবে নতুন এসেছেন হান্নান সরকার, এতদিন যিনি জুনিয়র নির্বাচক কমিটির সদস্য ছিলেন।