শেয়ার বাজার

মাথায় বলের আঘাত লেগে হাসপাতালে মোস্তাফিজ, জানা গেল শারীরিক অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মাথায় বলের আঘাত লেগে হাসপাতালে মোস্তাফিজ, জানা গেল শারীরিক অবস্থা

JlecBD ডেস্ক: চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় মাথায় একটি বলের আঘাত লেগে মারাত্মক আহত হয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের (Comilla Victorians) পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।  সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাটার মাস্টার। রক্তাক্ত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিটি স্ক্যানের পর কুমিল্লার ফিজিও এমএস জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুস্তাফিজের অবস্থা অনেকটাই ভালো। বড় ধরনের ইনজুরির আশঙ্কা করা হলেও কেবল বাহ্যিকভাবেই আঘাত পেয়েছেন তিনি।

জাহিদুল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘অনুশীলনের সময় একটি বল মুস্তাফিজের মাথার পেছনের অংশে এসে লাগে। ফলে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। রক্তপাত বন্ধ করতে দ্রুত ব্যান্ডেজ করা হয়। এরপর নেয়া হয় ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে। সিটি স্ক্যান করার পর আমরা সন্তুষ্ট। তার অভ্যন্তরীণ কোনো ক্ষতি হয়নি, অভ্যন্তরীণ রক্তপাতও হচ্ছে না। তাকে এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

এবারের আসরে কুমিল্লার হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। ২৩.৯১ গড়ে তিনি শিকার করেছেন ১১ উইকেট। ৯ ম্যাচে কুমিল্লার পয়েন্ট ১৪। ৭ ম্যাচে জয়ের বিপরীতে ২ ম্যাচে হেরেছে তারা।

বিপিএলে আজ কোনো খেলা নেই। তবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে আজ (রোববার) সকালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে আসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্রিকেটাররা। সেখানেই নেটে বল করছিলেন মোস্তাফিজ।

একটি ডেলিভারি দিয়ে মোস্তাফিজ ফিরে যাচ্ছিলেন নিজের বোলিং মার্কে, আরেকটি ডেভিলারি দেয়ার জন্য। এ সময় কুমিল্লার প্রধান কোচ সালাউদ্দিন ডাক দেন তাকে। কোচের ডাকে সাড়া দিতে মাথা ঘুরিয়ে হাঁটতে শুরু করলেই অন্য নেট থেকে আশা একটি শট পেছনে থেকে মোস্তাফিজের মাথায় আঘাত করে।

সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন জাতীয় দলের এই বাঁ-হাতি কাটার মাস্টার। মাথা ফেটে রক্তও বের হতে দেখা যায়। দ্রুত দলের চিকিৎসকরা এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

Dummy Ad 1

ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেন নাসিম শাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেন নাসিম শাহ

ইনজুরির কারণে ভারত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে কাঁধের চোটে পড়ে জমজমাট এই আসরে খেলতে পারেননি এই ডানহাতি পেসার।

নাসিমের ইনজু্রি এতটাই জটিল ছিল যে, শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল তাকে। অবশেষে সফল অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরিভাবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তিনি।

নিজের ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে সুসংবাদটি দিয়েছেন নাসিম শাহ নিজেই। পোস্টে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও মেডিক্যাল টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই ২০ বছর বয়সী পেসার।

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নাসিম লিখেছেন, ‘আজ আমি ইংল্যান্ডে আমার পুনর্বাসন সম্পন্ন করেছি। এই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আমি পিসিবির প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। আমার মেডিকেল টিমের ডাঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, ফিজিও জর্জ আর্ল এবং ইংল্যান্ডে অ্যাডাম রাইটকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।’

চলতি বছরের এশিয়া কাপের আসর চলাকালীন সময়ে কাঁধের ইনজুরিতে পড়েছিলেন নাসিম শাহ। চোট থেকে সেরে উঠতে ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচার করানো হয় তার। নাসিম শাহ বিশ্বকাপে খেলতে না পারার কারণে তার অভাব হাড়েহাড়ে টের পায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল পাকিস্তান। অথচ এই পাকিস্তান বিশ্বকাপের আসর শুরু হওয়ার আগে আইসিসির র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ছিল।


কঠিন হবে ২০০ রানের লক্ষ্যও, মনে করে দুই দলই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

কঠিন হবে ২০০ রানের লক্ষ্যও, মনে করে দুই দলই

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে প্রায় ৪৯ ঘণ্টার বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে ঢাকা টেস্টের দেড় দিন। আজ ৯৮ ওভার খেলার কথা থাকলেও তৃতীয় দিনে মাঠে গড়িয়েছে মাত্র ৩২.৩ ওভার।

শুক্রবার দুপুর ১২ টায় খেলা শুরুর সময় বলে দেওয়া হলো, খেলা হবে বেলা বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। কিন্তু তা আর হয়নি। বেলা পৌনে তিনটায় আলোর স্বল্পতায় সেই যে খেলা বন্ধ হলো, আর শুরু করা গেলো না। মানে আজকের নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই ঘণ্টা খেলা হয়নি।

দেড় দিনের বেশি সময় বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় ধুয়েমুছে গেছে। বাকি আছে দুদিন। আকাশের মত উইকেটের অবস্থাও বিশেষ ভালো না। এ উইকেটে আসলে কত রানের লিড হতে পারে নিরাপদ? কিউইদের কত রানের চ্যালেঞ্জ দিলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের?

আজ দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থক সবার মনে ঘুরে ফিরে এ প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে। শুক্রবার দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো এ প্রশ্ন।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করা গ্লেন ফিলিপস আর বাংলাদেশের অফস্পিনার নাঈম হাসান দুজনের কাছেই রাখা হয়েছিল এ প্রশ্ন।

গ্লেন ফিলিপস মনে করেন, ১৮০ থেকে ২০০ রানের টার্গেট তাড়া করাই হবে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ কিউই অলরাউন্ডারের কথা, ‘সামনের দুদিন যদি উইকেটের চরিত্র পাল্টে না যায়, এমনই থাকে; তাহলে ২০০ রান করাও বেশ কঠিন।’

বাংলাদেশের অফস্পিনার নাঈম হাসানের আশা, তারা ২০০ থেকে ২২০ রানে লিড নিতে পারবেন। নাইমের কথা, ‘আমরা এখন ৩০ রানে এগিয়ে আছি। আশা করি এ লিডটা দুশো পেরিয়ে যাবে। যদি দুশো রানের বেশি লিড নেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে জিতবো ইনশাআল্লাহ।’

নিউজিল্যান্ড ৫৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমে আজ বাকি ৫ উইকেটে আরও ১২৫ রান যোগ করেছে। বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন গ্লেন ফিলিপস। বাংলাদেশের তিন স্পিনার তাইজুল, নাঈম ও মিরাজকে হাত খুলে খেলে চাপের মুখেও রান করেছেন ফিলিপস। ৭২ বল খেলে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে ৮৭ রান করেন এ ২৬ বছর বয়সী কিউই অলরাউন্ডার।

এখন দেখার বিষয়, ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে কাল শনিবার চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে থামে। বুক ভরা সাহস ও আস্থায় ফিলিপসের ভূমিকায় অবতীর্ন হন কে?


বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে: মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে: মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

JlecBD ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল মিনহাজুল আবেদিন উপাখ্যান। ১৯৯০ সালে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপে ও একই বছর অস্ট্রেলেশিয়া কাপে টিম বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেওয়া দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবসময়ের অন্যতম দক্ষ ও সেরা ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ থেকে আর জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক নন।

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভায় তার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে দেশের ক্রিকেটের আরেক উজ্জ্বল তারকা ও বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।

বলে রাখা ভালো, ক্লাব ক্রিকেট আশির দশকের শুরুতে আবাহনীতে এক সঙ্গে খেলেছেন লিপু আর নান্নু। লিপু ছিলেন আবাহনীতে নান্নুর প্রথম অধিনায়ক। একইভাবে ৮৬ সালে প্রথম এশিয়া কাপেও গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ক্যাপ্টেন্সিতেই খেলেছেন নান্নু।

জাতীয় দলে লিপুর পর অধিনায়কও হয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এবার নান্নুর বদলে প্রধান নির্বাচক হলেন লিপু। ২০১৬ থেকে টানা ৭ বছরের বেশি সময় প্রধান নির্বাচক ছিলেন নান্নু। তারও আগে প্রথম নির্বাচক হয়েছিলেন ২০১২ সালে। আজ সে নির্বাচক পদের ইতি নান্নুর। 

কিভাবে দেখছেন ব্যাপারটিকে? কেমন লাগছে? অনুভূতি কী?

এটা বিসিবির এখতিয়ার। বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে। আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। প্রধান নির্বাচক পদে ৭ বছর আর নির্বাচক পদে আরও ৫ বছর- মোট ১২ বছরের বেশি সময় আমি নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছি, সেটাও কম নয়।’

এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও অন্য কথা প্রসঙ্গে নান্নুর মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি আক্ষেপ। তার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না, মানে তিনি আর প্রধান নির্বাচক থাকছেন না, এ বিষয়ে তার সঙ্গে বোর্ডের নীতি-নির্ধারকদের কেউ কোনো কথা বলেননি।