শেয়ার বাজার

চিত্রনায়ক শাকিব খানের প্রতিষ্ঠানে শুভেচ্ছাদূত অপু বিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

চিত্রনায়ক শাকিব খানের প্রতিষ্ঠানে শুভেচ্ছাদূত অপু বিশ্বাস

JlecBD বিনোদন: আজ থেকে করপোরেট জগতে ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। আজ শনিবার ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে একেবারে ভিন্ন এক পরিচয়ে হাজির হয়েছেন শাকিব। এবার করপোরেট জগতে যাত্রা শুরু করলেন তিনি। কসমেটিকস উৎপাদনকারী আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড রিমার্ক–এর পরিচালক হয়েছেন শাকিব খান।

আগে থেকেই শাকিব খানের এ প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত তাঁর সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। এক বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটির দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা রিমার্কের হারল্যান স্টোরের উদ্বোধন করছেন তিনি। বরিশাল, ময়মনসিংহ, ফেনী, সাতক্ষীরা, জামালপুর, কুমিল্লা, ভোলাসহ দেশের আরও কিছু জায়গায় স্টোর উদ্বোধন করেছেন তিনি। গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীর আফতাবনগরের আবাসিক এলাকায় নিজের বুটিক হাউস ও রেস্টুরেন্টের সঙ্গে একটি হারল্যান স্টোরের মালিকানাও নেন অপু।

অপু বিশ্বাসের ব্যবসায়ী পরিচয়কেও স্বাগত জানিয়েছেন শাকিব খান। এ প্রসঙ্গে ১২ জানুয়ারির ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অপু বলেন, ‘আমার ওপর শাকিবের আস্থা, ভরসা অনেক বেশি। ও জানে, আমি কিছু করতে চাইলে সেটা নিশ্চয়ই পারব। তা ছাড়া আমার সব ভালো কাজ আর সফলতার পেছনে শাকিবের দোয়া, ভালোবাসা, আশীর্বাদ থাকে। তাই তাঁর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

প্রসঙ্গত, ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি ছিল শাকিব খান–অপু বিশ্বাস। হঠাৎ করেই ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় হঠাৎ প্রকাশ্যে আসেন এক টিভি অনুষ্ঠানে। তখনই জানান, শাকিব খানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে, জয় তাঁদেরই সন্তান। সেসময় এই চিত্রনায়িকা বলেছিলেন, শাকিবের আপত্তিতেই বিয়ে ও সন্তান হওয়ার খবর চেপে রেখেছিলেন তিনি।

পরে শাকিবও সেই বিয়ের কথা স্বীকার করে জানিয়েছিলেন, ২০০৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তখন গুঞ্জন ছিল, শাকিবের অন্য সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়া দেখে বিয়ে–সন্তানের খবর প্রকাশ করে দিয়েছিলেন অপু। এমন নানা আলোচনার মধ্যে নয় মাসের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে অপু–শাকিবের।

ছয় বছরের বেশি সময় আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও ঢাকাই সিনেমার নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শীর্ষ নায়ক শাকিব নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করেননি। বরং ছেলেকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। বিদেশে একসঙ্গে ঘোরাঘুরি ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের কাজ নিয়ে প্রচারও চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার অপুর যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠানে শাকিব খানের পরিচালক হিসেবে যুক্ত হওয়া তাঁদের সম্পর্কের উন্নতিরই আভাস।

এর মধ্যে গত বছর সাবেক স্ত্রী অপু এবং ছেলে জয়কে নিয়ে শাকিব খানের যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরে বেড়ানোর খবর সামনে আসে। ইনস্টাগ্রামে ছেলে আব্রাম খান জয়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে শাকিব তুলে ধরেন ছেলের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা। জয়–শাকিব–অপুর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের অনেক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ভক্ত–অনুরাগীরা দেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডায়ও জয়কে সঙ্গে নিয়ে শাকিব–অপুকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।

সন্তানকে নিয়ে ঘোরাঘুরির ব্যাপারটি শাকিব–অপুর ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীরা বেশ ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। অপু বিশ্বাসও বেশ কিছুদিন ধরে শাকিব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইতিবাচক কথা বলে আসছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে অপু এমনও বলছেন, ‘এই জীবনে তাঁর যা অর্জন, মা–বাবার পর এর পুরো কৃতিত্ব শাকিব খানের।’ অপু এ–ও জানিয়েছেন, ঈদে মুক্তি পাওয়া তাঁর ‘লাল শাড়ি’ ছবির শুটিংয়ে আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন শাকিব।

উল্লেখ্য, অপু বিশ্বাস ছাড়াও রিমার্ক গ্রুপের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত আছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়িকা পরীমণি, নুসরাত ফারিয়া ও বিদ্যা সিনহা মিম। এর সঙ্গে হারল্যান স্টোরের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে আছেন চিত্রনায়ক মামুনুন ইমন।

Dummy Ad 1

ইচ্ছে পূরণ না হওয়ায় কোন পথে হাঁটছে মাহিয়া মাহি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইচ্ছে পূরণ না হওয়ায় কোন পথে হাঁটছে মাহিয়া মাহি

ভেবেছিলেন নেত্রী হবেন, নির্বাচনে জেতার আগেই অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। হারতেই বিপাকে পড়ে কোন সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হলেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।

সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দাঁড়ান বাংলাদেশি অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। নির্দল প্রার্থী হয়ে রাজশাহী-১ আসন থেকে ট্রাক চিহ্নে নির্বাচন লড়েন। কিন্তু নায়িকার নেত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হল না। তবে নির্বাচনী প্রচারে নেমে ভোটারদের কাছে একের পর এক অঙ্গীকার করেছিলেন মাহিয়া মাহি। ভোটে জিতলে আর অভিনয় করবেন না বলেও ঘোষণা করে দেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে জিততে পারেননি মাহি। ফের অভিনয় জীবনেই ফিরতে চাইছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত এই নায়িকা।

নির্বাচনের জন্য বেশ ক’দিন রাজশাহীতে ছিলেন তিনি। তবে হারতেই ঢাকায় ফেরেন। সম্প্রতি মাহি বলেন, ‘‘আমি সংসদ অধিবেশন নির্বাচিত হলে, এলাকার মানুষের পাশে থাকা, রাজনৈতিক কর্মসূচি— নানা বিষয়ে ব্যস্ত থাকতে হত। তাই নির্বাচনী প্রচারের সময় বলেছিলাম, নির্বাচনের পর অভিনয় ছেড়ে দেব। আসলে অভিনয় করার সময়ই তো পেতাম না নির্বাচিত হলে। 

এখন এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নেওয়া ছাড়া তেমন কাজ নেই। আমি আগের মতো সুখে-দুঃখে তাঁদের পাশে থাকতে চাই। তার জন্য সপ্তাহে এক-দু’দিনই যথেষ্ট। বাকি দিন আর কী করব? ঠিক করেছি, বাকি দিনগুলোতে শুটিং-ডাবিং-অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকব।’’

অভিনয়ে ফিরতে চান মাহি খবর ছড়িয়ে পড়তেই নাকি চারটি ছবির প্রস্তাবও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে এখনও কোনও চিত্রনাট্যই চূড়ান্ত করতে পারেননি নায়িকা। মাহি বলেন, ‘‘আমি ছবিটিতে অভিনয় করব এটা নিশ্চিত। তবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরই সব কিছু জানাতে চাই।’’ তাঁর ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবিটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়।



‘অ্যানিমেল’–এর রণবীরের মতো পুরুষকে আপনি কি ভালোবাসবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘অ্যানিমেল’–এর রণবীরের মতো পুরুষকে আপনি কি ভালোবাসবেন?

JlecBD: এক নারী অন্তঃসত্ত্বা। তার প্রসববেদনা শুরু হয়েছে। এমন সময়ে মাথায় পিস্তল ধরে আছেন রণবীর কাপুর। তিনি ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার ‘হিরো’!

একের পর এক রেকর্ড ভেঙে বলিউডের বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সন্দীপ রেড্ডি ভাংগা পরিচালিত ও রণবীর কাপুর অভিনীত ছবি ‘অ্যানিমেল’। সিনেমাটি বাংলাদেশের দর্শকও দেখছেন সিনেমা হলে। মধ্যপ্রাচ্যে ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার যে সংস্করণ চলছে, বাংলাদেশেও সেই সংস্করণ সেন্সর পেয়েছে। ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় রণবীর কাপুরের চরিত্রের নাম ‘রণবিজয় সিং’। তিনি সিনেমার নায়ক। এখন আলোচনার বিষয় হলো, রণবীর ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় যে ধরনের পুরুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সে ধরনের পুরুষকে কি কোনো নারীর ভালোবাসা উচিত?

স্ত্রীর গলা চেপে ধরে, অকারণ নির্মম ও নৃশংসভাবে মানুষকে হত্যা করে—এই হলো হিরোর চরিত্র বিজয়! সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত রাগী, ইচ্ছেমতো যৌনাচারে লিপ্ত, বিধ্বংসী, নারীবিদ্বেষী একটা চরিত্র। নারীবিদ্বেষকে দেখানো হচ্ছে ‘আলফা মেল’ চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে এমন চরিত্রকে ‘পৌরুষের অধিকারী’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে, যার মধ্যে মানবিকতাবোধ এবং স্বাভাবিক মানুষের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত, সেসবের ছিটেফোঁটাও নেই। এ যেন আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে আদিমকালে ফিরে যাওয়া। অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এটা কি আদিকাল? আমরা কি জঙ্গলে বাস করি? উগ্র পুরুষতান্ত্রিক পুরুষ দর্শককে খুশি করে জঘন্যভাবে টাকা উপার্জনের সস্তা রাস্তা!’

সন্দ্বীপ রেড্ডি ভাংগা যখন বিজয় দেবরাকোন্ডা অভিনীত ‘অর্জুন রেড্ডি’ সিনেমার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন, তাঁর পুরুষ চরিত্রকে বলা হয়েছিল ‘ভায়োলেন্ট’, তখন তিনি বিনোদন সাংবাদিক অনুপমা চোপড়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ওরা (সমালোচনাকারীরা) ভায়োলেন্সের দেখেছে কী? পরের সিনেমায় আমি দেখাব, “ভায়োলেন্ট পুরুষ” কাকে বলে।’ সেটাই ঘটল। 

‘অ্যানিমেল’ সিনেমার মতো পুরুষতান্ত্রিক দুনিয়ার সিনেমা যেভাবে শারীরিকভাবে শক্তিশালী, অত্যন্ত রাগী, সহিংস, একরোখা, নিয়ন্ত্রণহীন চরিত্রগুলোকে নায়ক হিসেবে তুলে ধরে হাততালি কুড়াচ্ছে, সমাজে তা পৌরুষত্ব সম্পর্কে ভুল দিচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। 

একটি ভাইরাল ফেসবুক স্ট্যাটাসে রণবীরের সিনেমার সঙ্গে বাঙালি সংগীত তারকা অনুপম রায়ের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুপমের নানা পোস্ট, ছবি, ক্যাপশন, ভিডিও ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে বন্ধুর সঙ্গে প্রাক্তন স্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছেন না, তিনি ভালো নেই। তখন তাঁকে একপক্ষ অভিযুক্ত করছে এই বলে যে ‘অনুপম তো ম্যানলি না’। 

অনেকেই বলছেন, এর পেছনে রণবীরের এই চরিত্রটির মতো বলিউডের সিনেমার এই ধরনের ‘লার্জার দ্যান লাইফ’, ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ পুরুষ চরিত্রগুলোরও দায় রয়েছে।জ্বলন্ত সিগারেটও হয়ে উঠেছে পৌরুষের প্রতীক! হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের পরও গির্জার ভেতর বিজয়ের হাতে সিগারেট! যেন নিয়মকানুন, মানবিকতা, স্বাভাবিকতার কোনো বালাই–ই নেই।

সিনেমায় নারী চরিত্রগুলোকে অতিথি চরিত্র বললেও ভুল হবে না। পুরুষময় একটা চলচ্চিত্র, যেখানে কোনো পুরুষই আবার ‘স্বাভাবিক’ নয়। বাড়াবাড়ির চূড়ান্ত। শাহরুখ খানের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলছেন, ‘শাহরুখ খান রণবীর কাপুরের চেয়ে অনেক বড় মাপের অভিনেতা, কেননা, তাঁকে কোনো দিন মুখে নারীদের সম্মানের কথা বলে চূড়ান্ত নারীবিদ্বেষী সিনেমায় অভিনয় করে ক্যারিয়ার গড়তে হয়নি। এগুলো স্রেফ ভণ্ডামি!’

আদিমকালে মানুষ অনেকটা নগ্ন হয়ে বনজঙ্গলে শিকার করে বেড়াত। তাদের ভেতর পেশিশক্তিতে যে এগিয়ে থাকত, সে হতো ‘আলফা মেল’। নারীরা তাঁর সঙ্গে সন্তান উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিত। এই ধারণায় নৈতিকতা বা মৌলিক মানবিকতার কোনো স্থান নেই। সভ্যতা শুরুর আগের সেই ধারণাই ধার করা হয়েছে বিজয়ের চরিত্রায়নে। দুর্বল স্টোরিটেলিং ঢাকা হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত সহিংসতা, বিরক্তিকর আর প্রাপ্তবয়স্ক সব দৃশ্য দিয়ে। 

অথচ নেতৃত্বগুণের সঙ্গে পেশির সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক মেধার ও মননের। যাঁর মানবিক গুণাবলি কর্মের ভেতর দিয়ে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যায়, তিনিই হন মহানায়ক। একজন নারীর আদর্শ জীবনসঙ্গী তিনিই, যিনি তাঁর সেরা বন্ধু, গল্প করার মানুষ, আবেগীয় নির্ভরতার পরম জায়গা, যিনি আপনাকে প্রতিনিয়ত আপনার ‘সেরা ভার্সন’ হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেন, যিনি ক্ষমা করতে জানেন, দুঃসময়টা যাঁর কাঁধে ভর করে সহজে পার করে ফেলা যায়। কিন্তু সুস্থ–স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় দেখানো পুরুষেরা ‘বিগ নো’, ‘রেড ফ্ল্যাগ’।

সিনেপ্লেক্স থেকে ‘অ্যানিমেল’ দেখা বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এক নারী দর্শকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই সিনেমায় রণবীর কাপুরের মতো পুরুষ চরিত্রকে তিনি সঙ্গী হিসেবে চান কি না। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না। ও তো আসলে অসুস্থ। ছোটবেলায় বাবার ভালোবাসা, মনোযোগ, যত্ন কিছুই না পাওয়ার ফলে মানসিকভাবে বিগড়ে যাওয়া ভয়ংকর একটা চরিত্র। তার বেড়ে ওঠাটা যদি ঠিকভাবে হতো বা ট্রমাগুলো সারিয়ে তোলার জন্য যদি ঠিকভাবে মানসিক চিকিৎসা করা হতো, তাহলে হয়তো চরিত্রটা এমন হতো না। আমার মনে হয় এই সিনেমার পরিচালকও “অ্যানিমেল” সিনেমায় দেখানো পুরুষ চরিত্রের মতো মানসিকভাবে অসুস্থ। সিনেমায় নারীদের যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা এই সময়ে দাঁড়িয়ে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ‘আপনি যদি ভাবেন যে দুনিয়ায় আপনার স্বামীই সবচেয়ে খারাপ, তাহলে “অ্যানিমেল” দেখুন। ভালো লাগবে। মনে মনে শান্তি পাবেন।’