শেয়ার বাজার

ইফতারে অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে কি খাবেন, কি খাবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

ইফতারে অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে কি খাবেন, কি খাবেন না

অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রমজান চলছে। এসময় অনেকেই ইফতারে একসঙ্গে ভাজাপোড়াসহ আরও অনেক খাবার খেয়ে পেটে গণ্ডগোল বাধিয়ে ফেলেন। এসময় বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা এড়াতে ইফতারের খাবার খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে। 

ইফতারিতে দই বা দই চিড়া খেতে পারেন। এতে সারাদিন অভুক্ত পেটে ঠান্ডা কিছু হজমক্রিয়া সচল রাখবে। এ ছাড়া অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। প্রতি ১০০ গ্রাম দইয়ে শক্তি থাকে ২৫৭ ক্যালরি।

তিনি বলেন, চিনি ছাড়া লাচ্ছি, কম লেবু দিয়ে পুদিনা পাতার জুস, টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা ও সামান্য লবণ দিয়েও স্মুদি করেও পান করা যেতে পারে। এ ধরনের পানীয় গ্যাস কমাতে কার্যকরী। 

অ্যাসিডিটি কমাতে ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না :   

  • ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল ও মোমো খাওয়া যেতে পারে। 
  • ইফতারের মেন্যুতে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবারও।  
  • ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।  
  • একসঙ্গে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ একসঙ্গে সব ধরনের খাবার হজম হতে পারে না। 
  • যাদের টক জাতীয় খাবারে অ্যাসিডিটি হয়, তারা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন। 

অ্যাসিডিটি কমাতে যা করা যেতে পারে :

  • ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নেয়া যেতে পারে। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করাও যেতে পারে। 
  • অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আদা কুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন। 
  • এ ছাড়া অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। 
Dummy Ad 1

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে রূপে-রঙে সাজ যেমন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে রূপে-রঙে সাজ যেমন হবে

JlecBD ডেস্ক: শীতের শেষ, বসন্ত কড়া নাড়ছে দরজায়। প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে নতুন রূপে। বসন্তকে বরণ করে নিতে ফ্যাশন প্রেমীরাও উন্মুখ। সাজে, পোশাকে বসন্তকে বরণ করে নিতে তাদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। আপনিই বা সেই তালিকা থেকে বাদ পড়বেন কেন। বসন্ত বরণের প্রস্তুতি কম-বেশি সবার মাঝেই থাকে।

বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস মিলে হয় বসন্ত ঋতু। দেশবাসী বেশ জাকজমকতার সঙ্গে পালন করে বসন্তের প্রথম দিন। রাত পোহালেই বাসন্তি রঙের পোশাক পরে বসন্ত বরণ করবে বাঙালিরা।

গতবারের মতো এবারও ভালোবাসা দিবসের দিনই পালিত হতে চলেছে বসন্ত। এদিন কে কোন পোশাক পরবেন কিংবা কীভাবে সাজবেন এ নিয়ে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সবাই উচ্ছ্বসিত থাকেন। এ যেন এক উৎসব।

বিগত কয়েক বছরে বসন্তের সাজ-ফ্যাশনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। আগে হলুদ, কমলা বা বাসন্তি রঙের পোশাকের চাহিদা বেশি ছিল। তবে এখন বাহারি রঙের পোশাকেও বসন্ত বরণ করা হয়।

যার মধ্যে লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, টিয়া, সি গ্রিন থেকে শুরু করে মাল্টি কালার কম্বিনেশনও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এবারের বসন্ত বরণে কেমন হবে আপনার সাজ-পোশাক-

১. বসন্ত বরণের পোশাক হিসেবে শাড়িকেই বেশি প্রাধান্য দেন নারীরা। তবে এবার শাড়ির পাশাপাশি ফ্যাশনে আরও আছে কুর্তি, স্কার্ট, সারারা, এমনকি জিনস-টপসও। আপনি পছন্দসই পোশাক পরতে পারেন। একরঙা শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ না মিললেও সমস্যা নেই।

২. ফুলের গয়না পরতে চাইলে শাড়ির সঙ্গে ভারী কোনো জুয়েলারি পরবেন না। গলায়, হাতে ও কানে গয়না হিসেবে পছন্দমতো যে কোনো ফুলই ব্যবহার করতে পারেন।

বর্তমানে ফুলের হেডব্যান্ডেরও চল বেড়েছে। এটি পরতে পারেন। হালকা ধাঁচের নকশার পোশাকের সঙ্গে ফুলের গয়না পরলে ফুলের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তবে কেউ কেউ চাইলে একটু ভারী নকশার শাড়ির সঙ্গে ফুল দিয়ে হালকাভাবেও সাজতে পারেন।

৩. এদিন শাড়ির সঙ্গে খোঁপা বা বেণী বেশ মানিয়ে যায়। খোঁপায় রাখতে পারেন গাঁদা ফুল। সঙ্গে লাল টিপ দিন কপালে। রঙিন ফুলের সাজে পাবেন বসন্তের আমেজ। চুল খোলা রাখলেও এক পাশে ফুল দিতে পারেন। চুলের জন্য বড় আকারের ফুল বেছে নিলে একটিই যথেষ্ট।

গয়নাও রাখুন হালকা ধাঁচের। আর ছোট আকারের হলে অবশ্য একাধিক ফুল নিতে পারেন। চুলের বেণীতে ফুল জড়ানো যেতে পারে নানাভাবে। ফুলের মালা কিংবা আটকে নিতে পারেন নানা আকারের ছোট-বড় ফুল। বেণীও সাজাতে পারেন ফুল দিয়ে।

আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

৪. মেকআপের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দেখে নিন। সাজে ন্যুড রং, বাদামি, লাল, মেরুন, গেরুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সাজে আনতে পারেন সবুজের ছোঁয়া। আর দিনের মেকআপে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

৫. দু’হাত ভর্তি করে বিভিন্ন রঙের কিংবা একরঙা কাচের চুরি পরুন। শুধু শাড়ি নয় বরং সালোয়ার কামিজ, সারারা কিংবা কুর্তির সঙ্গে কাচের চুরি বেশ মানিয়ে যায়।



মাছের মাথা খেলে কী কী হয়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

মাছের মাথা খেলে কী কী হয়?

মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ না হলে অর্ধেক দিন খাবার হজম করা মুশকিল হয় অনেকেরই। অনেকের আবার প্রতিদিনই মাছের কোনো না কোনো পদ রাখতে হয় পাতে।

তবে এর মধ্যে অনেকে আছেন যারা মাছের মাথাটা খেতে বেশি ভালবাসেন। মাছের মাথার স্বাদ রীতিমতো সুস্বাদু। তবে মাছের মাথা খাওয়া শরীরের জন্য কতটা ভালো?

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের মাথা থেকে প্রায় সবরকম পুষ্টিগুণই পাওয়া যায়। এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে আবার স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও বেশি থাকে।

আরও পড়ুন: স্তন্যদান নিয়ে ৭টি ভুল ধারণা এবং যেসব বিষয় আপনার জানা উচিৎ

মাছের মাথায় কোলেস্টেরল ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণও অনেকটাই কম। মাছের মাথা সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ। এতে তেমন কার্বোহাইড্রেট নেই। বরং প্রোটিন আছে অনেকটাই।

মাছের মাথা খাবেন কেন ?

মানসিক অবসাদ কমায়

মাছের মাথায় একটা বিশেষ ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটির নাম ডোকোসাহেক্সাইনোয়িক অ্যাসিড। এটি মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।

হার্টের রোগ দূর করে

হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে মাছের মাথা। এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ একেবারেই কম। তাই মাছের মাথা খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে।

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ বা মেন্টাল স্ট্রেস কমাতেও মাছের মাথার বড় ভূমিকা রয়েছে। ওমেগা থ্রি অ্যাসিডই এর কারণ।


প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

আসছে ভালোবাসার সপ্তাহ। আর কয়দিন পরেই এসে যাবে ভ্যালেন্টাইনস উইক। সামনেই ১৩ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয় কিস ডে। এদিন অনেকেই প্রিয় মানুষকে চুম্বন করেন। চুম্বনই হয়ে ওঠে ভালোবাসার প্রতীক।

এই চুম্বনে শারীরিক চাহিদার থেকে বিশ্বাসের অঙ্গিকারই বেশি জায়গা পায়। নতুন সম্পর্কে যাওয়া মানুষগুলোর কাছে দিনটি হয় একদম আলাদা অনুভূতির।

জানলে অবাক হবেন, চুম্বন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে চুম্বন। এ কথা অনেক আগেই দাবি করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুম্বন বা চুমু উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে।

গবেষণা বলছে, আধা ঘণ্টার চুম্বনে ৬৮ ক্যালোরি বার্ন হয়। এমনকি মার্কিন একদল গবেষকদের দাবি চুম্বন যদি বেশি তীব্র হয়, খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলে, তাহলে ৯০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরতে পারে।

চুম্বনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-

মাসিকের ব্যথা কমে

ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বনের ফলে শরীরে অ্যান্ডরফিন হরমোন বেড়ে যায়, যা মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

মাইগ্রেনের ব্যথাও কমে

ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুমু খেলে মস্তিষ্কে অ্যান্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা শরীরের ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে। চুমু খেলে মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক যন্ত্রণাও সহজেই কমে যেতে পারে।

মানসিক চাপ কমে

চুম্বনের সময় মানব মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে অবসাদ ও দুশ্চিন্তা কমে দ্রুত।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বন হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে চুম্বন।

অ্যালার্জির প্রকোপ কমে

বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি কমে যায়। শুধু তাই নয়, হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকোপও কমে।

ফুসফুস ভালো রাখে

চুম্বনের ফলে শক্তিশালী হয় ফুসফুসও। নিয়মিত চুম্বনে ফুসফুস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলে।

আরও পড়ুন: স্তন্যদান নিয়ে ৭টি ভুল ধারণা এবং যেসব বিষয় আপনার জানা উচিৎ

কঠিন রোগের ঝুঁকিও কমে

চুম্বনের সময় মুখের ৩৪টি পেশী ও ১১২টি পস্ট্রুয়াল পেশী সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে ফেসিয়াল পালসি, মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও চুম্বন উপকারী। কারণ চুম্বনের সময় মুখের ভেতর প্রচুর পরিমাণে লালা নিঃসরণ হয়। একই সঙ্গে মুখের ভেতরে নানা রকম উৎসেচক ক্ষরিত হয়।

সূত্র: জি নিউজ