শেয়ার বাজার

স্তন্যদান নিয়ে ৭টি ভুল ধারণা এবং যেসব বিষয় আপনার জানা উচিৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ আগস্ট ২০২৩

স্তন্যদান নিয়ে ৭টি ভুল ধারণা এবং যেসব বিষয় আপনার জানা উচিৎ

কর্মস্থলে যেন নারীরা তাদের শিশুসন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন, সেজন্য আরও বেশি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বুকের দুধ খাওয়ানোর হার যেন বাড়ানো যায়, সেজন্যে বার্ষিক প্রচারাভিযানের সময় জাতিসংঘ এই আহ্বান জানায়।

জাতিসংঘ বলছে, যেসব শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় না, এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তাদের মৃত্যুর আশংকা যারা কেবল বুকের দুধ খায় তাদের তুলনায় ১৪ গুন বেশি। জাতিসংঘ বেতন-সহ মাতৃ-কালীন ছুটি চালু, বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কাজের মাঝে বিরতি, এবং কর্মস্থলে বুকের দুধ খাওয়াতে মায়েদের জন্য পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে।

স্তন্যদান নিয়ে এখনো অনেক মিথ বা ভুল ধারণা চালু আছে, যা শুনে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ দেয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানো নিয়ে বহুল প্রচলিত কিছু ধারণা যে আসলে একদম ভুল, দুজন বিশেষজ্ঞ তা ব্যাখ্যা করেছেন আমাদের কাছে। এদের একজন ক্যাটরিওনা ওয়েইট, যিনি ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি এন্ড গ্লোবাল হেলথের অধ্যাপক এবং উগান্ডার কাম্পালায় মেকরিয়ার ইউনিভার্সিটি কলেজ অব হেলথ সায়েন্সের ফেলো। অপরজন অ্যালেস্টেয়ার সাটক্লিফ, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনারেল পিডিয়াট্রিক্সের অধ্যাপক।

মিথ ১: বুকের দুধ খাওয়ালে সাধারণত স্তনে ব্যথা এবং স্তনবৃন্তে ঘা হয়

প্রফেসর ওয়েইট: এর উত্তর দেয়া একটু কঠিন। বুকের দুধ খাওয়ানোর শুরুর দিকে কিছু অস্বস্তি হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক, এবং এতে অভ্যস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত শুরুতে স্তনবৃন্তে কালশিটে পড়া কিংবা যন্ত্রণা হওয়া একদম স্বাভাবিক। কিন্তু বুকের দুধ খাওয়ানোর কারণে আসলে স্তনে ব্যথা বা যন্ত্রণা হয় না। যদি কারও এমন হয় তাহলে মনে করতে হবে স্তনবৃন্তে হয়তো কোন ইনফেকশন বা সংক্রমণ হয়েছে, অথবা এটি ঠিকভাবে শিশুর মুখে দেয়া হচ্ছে না। শুরুতে কিছুটা অস্বস্তি হলে সেটা একেবারেই স্বাভাবিক, এবং নতুন মায়েদের এই বিষয়টার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে কারও যদি বেশ ব্যথা বা যন্ত্রণা হয়, সেটি নিয়ে ডাক্তার, নার্স বা ধাত্রীর সঙ্গে কথা বলা উচিৎ।

মিথ ২: একেবারে শুরুতেই স্তন্যদান শুরু না করলে পরে আর করা যায় না

প্রফেসর সাটক্লিফ: স্তন্যদানে মায়েদের উৎসাহিত করে এমন যে কোন কিছুই আসলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নানা দিক দিয়ে উপকারী। মানুষের আচরণের ওপর কঠোর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কৃত্রিম বিধিনিষেধ আরোপ করার এই ব্যাপারটার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে এটা ঠিক যে জন্মের পরপরই শিশুকে যদি মা স্তন্যদান শুরু করেন তার অনেক উপকারিতা আছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুষ্টি। স্তন্যদান শুরু করার আরেকটা উপকারিতা হচ্ছে এটি ইউটেরাস বা জরায়ুর সংকোচন প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করে। আর এর ফলে সন্তান প্রসব পরবর্তীকালে জরায়ুতে যে রক্তক্ষরণ হয়, সেটি থামানো বা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া সন্তান প্রসবের পর প্রথম কয়েকদিন মায়ের শরীরে কোলোস্ট্রাম নামে প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি পদার্থ তৈরি হয়। এটি খুবই সমৃদ্ধ একটি উপাদান যা স্তন্যদান প্রক্রিয়া শুরুতে অবদান রাখে।

৩: বুকের দুধ খাওয়ালে কোন ঔষধ খাওয়া যায় না

প্রফেসর ওয়েইট: বিশ্বের যে কোন জায়গাতেই মায়েরা সাধারণত এই প্রশ্নটাই প্রথম করেন। তারা জানতে চান, ‘যে কোন ঔষধ কি আমার শিশুর জন্য নিরাপদ?’ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক ঔষধই আসলে খুবই কম মাত্রায় শিশুর কাছে পৌঁছায়। কোন ডাক্তার যদি বলে আপনাকে ঔষধ খেতে হবে, তখন তাকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন। কিন্তু এমন সম্ভাবনাই বেশি যে এই ঔষধ নিরাপদে আপনি গ্রহণ করতে পারেন। একজন শিশুর আসলে সবচেয়ে বেশি দরকার একজন সুস্থ-সবল মা। সংক্রমণ, ডিপ্রেশন বা সাধারণ ব্যথা-বেদনার জন্য সাধারণত যেসব ঔষধ খেতে হয়, সেগুলো খুব সম্ভবত নিরাপদ।

স্তন্যদান করলে যেসব ঔষধ গ্রহণ করা যাবে না, সেগুলোর সংখ্যা আসলে খুবই কম। সাধারণত ক্যান্সার বা এরকম কোন গুরুতর নির্দিষ্ট রোগের ঔষধ এগুলো। এছাড়া অন্য কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ব্যবহারের আগে এর ঝুঁকি এবং উপকারিতা ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখতে হয়। স্তন্য-দানকারী কোন মাকে যখন কোন ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়, তখন তিনি যেন এই ঔষধের ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা যায় এমন কিছু ঔষধের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, যেমন ঠাণ্ডা বা ফ্লুর ঔষধ- কারণ এর মধ্যে এমন উপাদান থাকে যা বুকের দুধ কমিয়ে দিতে পারে। আর হার্বাল বা ভেষজ ঔষধের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ, কারণ আপনি আসলে জানেন না এর মধ্যে কী আছে। এসব ঔষধ কিন্তু ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।

৪: কেবল সাধারণ খাবার খাওয়া উচিৎ এবং বুকের দুধ দেয়ার আগে মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিৎ

প্রফেসর ওয়েইট: স্তন্যদানের সময় খাওয়া যাবে না এরকম কোন খাবার আসলে নেই। তবে আপনার বুকের দুধে ঠিক কী পুষ্টি উপাদান থাকবে, তা নির্ভর করে আপনি কী ধরণের খাবার খাচ্ছেন তার ওপর।

তবে কিছু কিছু খাবারের বেলায় মা হয়তো একটি প্যাটার্ন দেখতে পাবেন। যেমন আমার একটি সন্তানের বেলায় আমি খেয়াল করেছিলাম, যতবারই আমি কমলার মতো কোন টক ফলের জুস খাচ্ছি, আমার বাচ্চার মেজাজ খিটখিটে হয়ে উঠছে। আপনি কি খাবার খেলে আপনার সন্তান কিরকম আচরণ করছে সেরকম একটি প্যাটার্ন আপনি অনেক সময় খেয়াল করতে পারেন। কিন্তু আসলে এরকম কোন খাবার নেই যেটা আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকর, বা যেটা আপনার পরিহার করা উচিৎ।

 ৫: আপনি বুকের দুধ খাওয়াতে চাইলে কখনোই ফর্মুলা দুধ খাওয়াতে পারবেন না

প্রফেসর ওয়েইট: এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। তবে মায়ের স্তনে কী পরিমাণ দুধ তৈরি হবে সেটা নিয়ন্ত্রিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ভিত্তিতে। নারীর দেহের গঠন আসলে এত চমৎকারভাবে তৈরি যে শিশুর জন্য এটি যথেষ্ট দুধ তৈরি করতে পারে। শিশু যখন স্তনবৃন্ত চুষতে থাকে, সেটি নারীর শরীরের হরমোনকে যতটুকু দুধ দরকার, ততটুকু দুধ তৈরি করতে সংকেত দেয়। কাজেই একজন মা, তিনি একেবারেই একটি ছোট শিশু, বড় শিশু নাকি যমজ সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছেন – তার শরীরে সেই অনুপাতে যথেষ্ট দুধ তৈরি হবে।

আর শিশুকে ফর্মুলা দুধ দেয়া শুরু করলে, নারীদেহে এই সংকেত এবং দুধ উৎপাদন চক্রে একটা ব্যাঘাত ঘটে। তখন নারীর শরীর যথেষ্ট সংকেত পায় না যে তার শিশুর আরও দুধ দরকার। কোন মায়ের বুকে যখন যথেষ্ট দুধ আসে না, এবং তিনি শিশুকে ফর্মুলা দুধ দিতে শুরু করেন, তাতে হয়তো একটা সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাবে, কিন্তু এর ফলে সমস্যাটা কিন্তু আরও গুরুতর রূপ নেবে।

আবার কোন নারীর যখন রাতে ঘুম হচ্ছে না, বা অসুস্থ, কিংবা ভীষণ ক্লান্ত, তখন তার সঙ্গী হয়তো শিশুকে কিছু ফর্মুলা দুধ দিচ্ছেন, যাতে করে শিশুর মা কিছুটা বিশ্রাম পান। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই নারী আবার স্তন্যদান শুরু করতে পারবেন না। কাজেই ফর্মুলা দুধ দিলে স্তন্যদান বন্ধ হয়ে যাবে এটা পুরোপুরি ঠিক নয়। তবে ফর্মুলা দুধ দিলে তা স্তন্যদানের ক্ষেত্রে খুব সহায়ক হয় না।

৬: অসুস্থ অবস্থায় বুকের দুধ খাওয়ানো ঠিক নয়

প্রফেসর সাটক্লিফ: না, এটাও একটা মিথ। কেবল যদি কোন নারীর এইচআইভি বা হেপাটাইটিস হয়, তখনই কেবল শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো নিষেধ। কারণ বুকের দুধের মাধ্যমে এসব ভাইরাস শিশুর দেহে সংক্রমিত হতে পারে। এরকম ঘটনা আগে ঘটতে দেখা গেছে। মা যদি অসুস্থও থাকেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি সন্তানকে বুকের দুধ দিয়ে যেতে পারেন, কারণ মায়ের শরীরে এমন এন্টিবডি তৈরি হয়, যা সন্তানকেও সুরক্ষা দেয়। এরকম ঘটনা খুবই বিরল যে কোন মায়ের রোগ স্তন্যদানের মাধ্যমে তার শিশুর দেহে সংক্রমিত হয়েছে।

৭: এক বছরের বেশি ধরে স্তন্যদান করলে শিশুকে দুধ ছাড়ানো কঠিন

প্রফেসর ওয়েইট: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ হচ্ছে সন্তানকে ছয় মাস পর্যন্ত কেবল বুকের দুধই খাওয়ানো উচিৎ। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দিলেও যতদিন ইচ্ছে বুকের দুধ দেয়া চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। বুকের দুধ কখন বন্ধ করতে হবে তার কোন বাঁধা-ধরা সময় নেই। যুক্তরাজ্যের মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে বেশিরভাগ শিশুকেই এক হতে দুই বছর বয়সের মধ্যে বুকের দুধ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে, যেমন উগান্ডায় দুই হতে তিন বছর বয়স পর্যন্ত কিন্তু শিশুকে বুকের দুধ দেয়া হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যতটা সময় ধরে শিশুকে কেবল বুকের দুধ দেয়ার সুপারিশ করে, তত দীর্ঘ মাতৃ-কালীন ছুটি মায়েরা সাধারণত পান না, এটা সারা দুনিয়া জুড়েই একটা সমস্যা।

Dummy Ad 1

প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

আসছে ভালোবাসার সপ্তাহ। আর কয়দিন পরেই এসে যাবে ভ্যালেন্টাইনস উইক। সামনেই ১৩ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয় কিস ডে। এদিন অনেকেই প্রিয় মানুষকে চুম্বন করেন। চুম্বনই হয়ে ওঠে ভালোবাসার প্রতীক।

এই চুম্বনে শারীরিক চাহিদার থেকে বিশ্বাসের অঙ্গিকারই বেশি জায়গা পায়। নতুন সম্পর্কে যাওয়া মানুষগুলোর কাছে দিনটি হয় একদম আলাদা অনুভূতির।

জানলে অবাক হবেন, চুম্বন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে চুম্বন। এ কথা অনেক আগেই দাবি করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুম্বন বা চুমু উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে।

গবেষণা বলছে, আধা ঘণ্টার চুম্বনে ৬৮ ক্যালোরি বার্ন হয়। এমনকি মার্কিন একদল গবেষকদের দাবি চুম্বন যদি বেশি তীব্র হয়, খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলে, তাহলে ৯০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরতে পারে।

চুম্বনের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-

মাসিকের ব্যথা কমে

ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বনের ফলে শরীরে অ্যান্ডরফিন হরমোন বেড়ে যায়, যা মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

মাইগ্রেনের ব্যথাও কমে

ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুমু খেলে মস্তিষ্কে অ্যান্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা শরীরের ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে। চুমু খেলে মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক যন্ত্রণাও সহজেই কমে যেতে পারে।

মানসিক চাপ কমে

চুম্বনের সময় মানব মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে অবসাদ ও দুশ্চিন্তা কমে দ্রুত।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বন হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে চুম্বন।

অ্যালার্জির প্রকোপ কমে

বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি কমে যায়। শুধু তাই নয়, হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকোপও কমে।

ফুসফুস ভালো রাখে

চুম্বনের ফলে শক্তিশালী হয় ফুসফুসও। নিয়মিত চুম্বনে ফুসফুস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলে।

আরও পড়ুন: স্তন্যদান নিয়ে ৭টি ভুল ধারণা এবং যেসব বিষয় আপনার জানা উচিৎ

কঠিন রোগের ঝুঁকিও কমে

চুম্বনের সময় মুখের ৩৪টি পেশী ও ১১২টি পস্ট্রুয়াল পেশী সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে ফেসিয়াল পালসি, মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও চুম্বন উপকারী। কারণ চুম্বনের সময় মুখের ভেতর প্রচুর পরিমাণে লালা নিঃসরণ হয়। একই সঙ্গে মুখের ভেতরে নানা রকম উৎসেচক ক্ষরিত হয়।

সূত্র: জি নিউজ


বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে রূপে-রঙে সাজ যেমন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে রূপে-রঙে সাজ যেমন হবে

JlecBD ডেস্ক: শীতের শেষ, বসন্ত কড়া নাড়ছে দরজায়। প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে নতুন রূপে। বসন্তকে বরণ করে নিতে ফ্যাশন প্রেমীরাও উন্মুখ। সাজে, পোশাকে বসন্তকে বরণ করে নিতে তাদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। আপনিই বা সেই তালিকা থেকে বাদ পড়বেন কেন। বসন্ত বরণের প্রস্তুতি কম-বেশি সবার মাঝেই থাকে।

বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস মিলে হয় বসন্ত ঋতু। দেশবাসী বেশ জাকজমকতার সঙ্গে পালন করে বসন্তের প্রথম দিন। রাত পোহালেই বাসন্তি রঙের পোশাক পরে বসন্ত বরণ করবে বাঙালিরা।

গতবারের মতো এবারও ভালোবাসা দিবসের দিনই পালিত হতে চলেছে বসন্ত। এদিন কে কোন পোশাক পরবেন কিংবা কীভাবে সাজবেন এ নিয়ে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সবাই উচ্ছ্বসিত থাকেন। এ যেন এক উৎসব।

বিগত কয়েক বছরে বসন্তের সাজ-ফ্যাশনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। আগে হলুদ, কমলা বা বাসন্তি রঙের পোশাকের চাহিদা বেশি ছিল। তবে এখন বাহারি রঙের পোশাকেও বসন্ত বরণ করা হয়।

যার মধ্যে লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, টিয়া, সি গ্রিন থেকে শুরু করে মাল্টি কালার কম্বিনেশনও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এবারের বসন্ত বরণে কেমন হবে আপনার সাজ-পোশাক-

১. বসন্ত বরণের পোশাক হিসেবে শাড়িকেই বেশি প্রাধান্য দেন নারীরা। তবে এবার শাড়ির পাশাপাশি ফ্যাশনে আরও আছে কুর্তি, স্কার্ট, সারারা, এমনকি জিনস-টপসও। আপনি পছন্দসই পোশাক পরতে পারেন। একরঙা শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ না মিললেও সমস্যা নেই।

২. ফুলের গয়না পরতে চাইলে শাড়ির সঙ্গে ভারী কোনো জুয়েলারি পরবেন না। গলায়, হাতে ও কানে গয়না হিসেবে পছন্দমতো যে কোনো ফুলই ব্যবহার করতে পারেন।

বর্তমানে ফুলের হেডব্যান্ডেরও চল বেড়েছে। এটি পরতে পারেন। হালকা ধাঁচের নকশার পোশাকের সঙ্গে ফুলের গয়না পরলে ফুলের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তবে কেউ কেউ চাইলে একটু ভারী নকশার শাড়ির সঙ্গে ফুল দিয়ে হালকাভাবেও সাজতে পারেন।

৩. এদিন শাড়ির সঙ্গে খোঁপা বা বেণী বেশ মানিয়ে যায়। খোঁপায় রাখতে পারেন গাঁদা ফুল। সঙ্গে লাল টিপ দিন কপালে। রঙিন ফুলের সাজে পাবেন বসন্তের আমেজ। চুল খোলা রাখলেও এক পাশে ফুল দিতে পারেন। চুলের জন্য বড় আকারের ফুল বেছে নিলে একটিই যথেষ্ট।

গয়নাও রাখুন হালকা ধাঁচের। আর ছোট আকারের হলে অবশ্য একাধিক ফুল নিতে পারেন। চুলের বেণীতে ফুল জড়ানো যেতে পারে নানাভাবে। ফুলের মালা কিংবা আটকে নিতে পারেন নানা আকারের ছোট-বড় ফুল। বেণীও সাজাতে পারেন ফুল দিয়ে।

আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে চুমু দিলে কী কী হয় জানলে অবাক হবেন

৪. মেকআপের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দেখে নিন। সাজে ন্যুড রং, বাদামি, লাল, মেরুন, গেরুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সাজে আনতে পারেন সবুজের ছোঁয়া। আর দিনের মেকআপে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

৫. দু’হাত ভর্তি করে বিভিন্ন রঙের কিংবা একরঙা কাচের চুরি পরুন। শুধু শাড়ি নয় বরং সালোয়ার কামিজ, সারারা কিংবা কুর্তির সঙ্গে কাচের চুরি বেশ মানিয়ে যায়।



পাকা চুলে তেল ব্যবহার করলে কি কালো হয়, কি বলছেন চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২৪

পাকা চুলে তেল ব্যবহার করলে কি কালো হয়, কি বলছেন চিকিৎসক

আজকাল অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া অনেক মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। তারা বিভিন্নভাবে পাকা চুল কালো ও ঘন করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে চুল যদি পেকে যায়, তাহলে কি শত চেষ্টায় আবার চুল কালো করা সম্ভব? হোক আর না হোক, চেষ্টা করতে সমস্যা নেই। এ জন্য সবাই চেষ্টা চালিয়ে যান।

চুল পেকে যাওয়াকে যারা মেনে নিতে পারেন না, তারাই মূলত চুল কালো করার চেষ্টা করেন। এ জন্য মাথায় বিভিন্ন ধরনের তেল ও উপকরণ ব্যবহার করেন। অনেকের ধারণা, মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে চুল কালো হবে। কিন্তু আসলেই কি তাই? সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। যেখানে ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আঁচল পন্থ এ ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

চুল পাকে কেন: বয়সের সঙ্গে নানা কারণেই চুলের ফলিকলের পিগমেন্ট কোষ নষ্ট হতে থাকে। এতে চুলের প্রাকৃতিক রংও হারিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে চুল সাদা বা পাকতে শুরু করে। আর এই পদ্ধতিকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কারো যদি বয়স ২০ হওয়ার আগেই চুলে পাক ধরে, তাহলে সতর্ক হতে হবে।

তেল ব্যবহারে কি পাকা চুল কালো হয়: পাকা চুলের সমস্যা কমাতে মাথায় বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করেন অনেকে। কেউ আবার পাকা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি তেলও ব্যবহার করেন। এ ব্যাপারে ডা. আঁচল জানান, মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হতে পারে। তবে পাকা চুল যে কালো হবে, সেটি নয়।

প্রসঙ্গত, চুল ভালো রাখতে সাধারণ কিছু নিয়ম মানা উচিত। নিয়মিত স্ক্যাল্প ক্লিনজিং, কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার এবং হেয়ার অয়েলিং করা যেতে পারে। পাশাপাশি হেয়ার স্প্যাও করাতে পারেন মাঝে মাঝে। তবে বেশি সমস্যা মনে করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।