শেয়ার বাজার

আরব আমিরাত
রমজান মাসে কর্মীদের চাপমুক্ত রাখতে কমছে কর্মঘণ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

রমজান মাসে কর্মীদের চাপমুক্ত রাখতে কমছে কর্মঘণ্টা!

পবিত্র রমজান মাসে বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য কাজের সময় কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রমজান মাসে কাজের সময় দুই ঘণ্টা কমানো হবে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজান মাস উপলক্ষে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের ধরন অনুসারে নির্দিষ্ট সময় কমানোর বিকল্প রয়েছে। পাশাপাশি যে কাজ ঘরে বসে করা যায় সেগুলোর বিষয়ে নমনীয় হওয়ার পরিকল্পনাও তাদের আছে।

আমিরাতের বেসরকারি খাতের কর্মীরা সাধারণত দিনে আট থেকে নয় ঘণ্টা কাজ করে। রমজান মাসে এই সময় দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কমানো হবে। কমানোর পর এই সময়সূচির বাইরে কেউ অতিরিক্ত কাজ করলে তা ওভারটাইম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এর জন্য কর্মীরা অতিরিক্ত মজুরি পাবেন।

দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্টের (আইএসিএডি) প্রকাশিত হিজরি ক্যালেন্ডার অনুসারে, রমজান সম্ভবত ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হবে।

পবিত্র মাসে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি ধর্মীয় সংস্কৃতি অনুশীলনে মুসলিমদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে কর্মঘণ্টা কমানো রোজাদার ও যারা রোজা থাকে না, উভয় কর্মীর জন্য প্রযোজ্য।

ফেডারেল অথরিটি ফর গভর্নমেন্ট হিউম্যান রিসোর্সেস (এফএএইচআর) ফেডারেল কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে অফিসিয়াল কাজের সময় নির্ধারণ করে একটি সার্কুলার জারি করেছে।

Dummy Ad 1

সৌদি আরবে কর্ম ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সৌদি আরবে কর্ম ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বেড়েছে

সৌদি আরবে নারী কর্মশক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা ২০১৬ সালের ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে মোট মানবসম্পদের ৩৬ শতাংশ হয়েছে।

সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে, ফলে উপকৃত হচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। ইতোমধ্যে দেশটির অর্থনীতিতে সেই উদ্যোগের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের গবেষণায় দেখা গেছে, সৌদি আরবে নারী কর্মশক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা ২০১৬ সালের ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে মোট মানবসম্পদের ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এই অগ্রগতি ভিশন-২০৩০ এর ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।

সৌদির সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ উদ্যোগের লক্ষ্য নারী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।

এছাড়াও, সৌদি আরবে নারী শিক্ষারও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০২০ সালে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রায় ৩২ শতাংশ নারী কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১৭ সাল যা ছিল ২৬ শতাংশ।

এদিকে ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংক (এফএবি) ও ওয়েলথব্রিফিং প্রকাশিত এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, নারীদের সম্পদ বৃদ্ধি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনছে।

'উইনিং উইমেন ইন মেনা: হাউ ওয়েলথ ম্যানেজারস ক্যান হেল্প ফারদার ফিমেল এমপাওয়ারমেন্ট' শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি দায়ী।

এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সৌদি আরবে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এই অঞ্চলে প্রতি তিনটি নতুন ব্যবসার মধ্যে একটির উদ্যোক্তা নারী।

এফএবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জাকুর বলেন, 'গত ২০ বছরে আমি অনেক নারীকে এই অঞ্চলের পারিবারিক ব্যবসাকে শীর্ষে নিয়ে যেতে দেখেছি। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা মূলধন বিনিয়োগের আগে অনেকের মতামত শোনেন। তারা প্রায়ই কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করেন, ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও ভালো আয়ের দিকে পরিচালিত হয়।'


বিজয়ের মাসে প্রথম ৮ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ৫৯ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিজয়ের মাসে প্রথম ৮ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ৫৯ কোটি ডলার

JlecBD: দেশের মধ্যে ডলার বাজারের অস্থিরতা কোনোভাবেই কাটছে না। উল্টো সংকট আরও বাড়ছে। বৈদেশিক এ মুদ্রার অভাবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংকট নিরসনে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও কোনো উদ্যোগ কাজে আসছে না।

তবে আশার দিকও রয়েছে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আইএমএফ লোনের দ্বিতীয় কিস্তি আর এডিবির লোন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এতে রিজার্ভ কিছুটা বাড়বে। বিজয়ের মাসে আরও ইতিবাচক হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। ডিসেম্বরের আটদিনে এসেছে ৫৩ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয়। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ডিসেম্বরের প্রথম আটদিনে ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) পাঁচ হাজার ৮৪৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

আলোচিত আটদিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

অন্যদিকে বিদায়ী নভেম্বরে মোট ১৯৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৫ কোটি ডলার কম। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৯৭ কোটি ডলার। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ কোটি ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন দুই হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।