সৌদি আরবে নারী কর্মশক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা ২০১৬ সালের ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে মোট মানবসম্পদের ৩৬ শতাংশ হয়েছে।
সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে, ফলে উপকৃত হচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। ইতোমধ্যে দেশটির অর্থনীতিতে সেই উদ্যোগের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের গবেষণায় দেখা গেছে, সৌদি আরবে নারী কর্মশক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা ২০১৬ সালের ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে মোট মানবসম্পদের ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এই অগ্রগতি ভিশন-২০৩০ এর ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
সৌদির সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ উদ্যোগের লক্ষ্য নারী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।
এছাড়াও, সৌদি আরবে নারী শিক্ষারও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০২০ সালে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রায় ৩২ শতাংশ নারী কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১৭ সাল যা ছিল ২৬ শতাংশ।
এদিকে ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংক (এফএবি) ও ওয়েলথব্রিফিং প্রকাশিত এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, নারীদের সম্পদ বৃদ্ধি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনছে।
'উইনিং উইমেন ইন মেনা: হাউ ওয়েলথ ম্যানেজারস ক্যান হেল্প ফারদার ফিমেল এমপাওয়ারমেন্ট' শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি দায়ী।
এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সৌদি আরবে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এই অঞ্চলে প্রতি তিনটি নতুন ব্যবসার মধ্যে একটির উদ্যোক্তা নারী।
এফএবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জাকুর বলেন, 'গত ২০ বছরে আমি অনেক নারীকে এই অঞ্চলের পারিবারিক ব্যবসাকে শীর্ষে নিয়ে যেতে দেখেছি। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা মূলধন বিনিয়োগের আগে অনেকের মতামত শোনেন। তারা প্রায়ই কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করেন, ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও ভালো আয়ের দিকে পরিচালিত হয়।'