শেয়ার বাজার

২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

JlecBD: ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

রায়ের পর রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাইকোর্টের আজকের রায় যুগান্তকারী। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করবেন।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বিনা পয়সায় প্রতিবন্ধীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত সপ্তাহে ২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। গত ১৭ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটায় বিভিন্ন উপজেলায় ১১৪ সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী কোটায় কেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেন আদালত।

এর আগে ১১৪ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।  একই বিষয়ে পরে ১৭১ জন পৃথক আরও তিনটি রিট দায়ের করেন।

রিটে সম্প্রতি ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটা থেকে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। মো. মাহাবুব শেখ, মো. আবু জাহিদ, ফাহিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, পার্থ প্রতীম, শাজাহান শেখ, মো. মনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুল ইসলাম, বৃষ্টি রানি রায়, মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও মো. নূর আলমসহ বিভিন্ন জেলার মোট ২৪৫ প্রতিবন্ধী প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।

Dummy Ad 1

বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব সচল করার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব সচল করার সুপারিশ

জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি এবং কিশোর-কিশোরী ক্লাবকে সচল করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধে সরকারি এবং বেসরকারি সংগঠনের কার্যক্রম ও তথ্যসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে একটি শক্তিশালী এবং একক ডেটাবেইজ তৈরি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে নারী-নির্যাতন রোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম ও ব্লাস্ট যৌথভাবে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেখানে এসব সুপারিশ করেন বক্তারা।

সভায় ‘নারী-নির্যাতন রোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম’ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)-এর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের ১৬ দিনব্যাপী পক্ষে আমরা আছি। এসময় এ বিষয়ে কথা বলা খুবই সময়পোযোগী। প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া ১০টি প্রকল্পের মধ্যে একটি হলো বাল্যবিবাহ রোধ করা। ২০৩০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষের সবখানে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো বাল্যবিবাহ রোধ করা। সেই লক্ষ্যে আমাদের কিশোর-কিশোরী ক্লাবে সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং আত্মরক্ষামূলক দক্ষতা শেখানো হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ১০৯-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সব জেলায় সেবাসমূহ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাকিয়া আফরোজ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন অধিশাখা) এবং প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সালেহা বিনতে সিরাজ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপ-সচিব এসপিএস স্পেশালিস্ট, (এটুআই) খন্দকার মনোয়ার মোরশেদ।

সভাপতির বক্তব্যে ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম বলেন, সরকারকে তার কাজে সহায়তা করার জন্য এবং দেশের সব পর্যায়ে সরকারের এ কার্যক্রম পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্লাস্ট সরকারের সঙ্গে কাজ করে আসছে।

ব্লাস্টের অ্যাডভোকেসি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ প্রকল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম অফিসার রাইসুল ইসলাম এবং সভার উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন ব্লাস্টের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি ও কমিউনিকেশন) মাহবুবা আক্তার।


হাইকোর্টে ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর, ২০২৩

হাইকোর্টে ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

আগামী রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫২টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা দেওয়ার নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমি এতদ্বারা নির্দেশ করিতেছি যে, আগামী ২৯ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বেঞ্চগুলো গঠন করা হলো। ’

নোটিশে ৫২ একক ও দ্বৈত বেঞ্চের নাম বিচারিক এখতিয়ারসহ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৯টি একক বেঞ্চ রয়েছে।


বিএনপির ১১ জনের কারাদণ্ড গুলশান থানার মামলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএনপির ১১ জনের কারাদণ্ড গুলশান থানার মামলায়

JlecBD: পাঁচ বছর আগে গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে পৃথক তিন ধারায় সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস, ১৪৭ ও ৪২৭ ধারায় দুই বছর করে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। সকল ধারার সাজা একইসাথে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। ফলে আসামিদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. মামুন চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, অসীম ওরফে অসীম আকরাম, নুরুল ওরফে নূর হোসেন, মো. শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন, আমিনুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রান্ত, জয়নাল, মীর মোহাম্মদ স্বপন। তারা সবাই বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে অসীম ওরফে অসীম আকরাম ও মো. শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকার গুলশান এলাকায় বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হন। তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে মামলায় অভিযোগ করে পুলিশ। এ ঘটনার দিন ২৩ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।