JlecBD ডেস্ক: কুমিল্লায় ডিসেম্বর মাসে ৭ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনা ১০ টি এবং নারী- শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৩ টি। সিঁধেল চুরি, পশু চুরিসহ মোট ২৬ টি চুরি এবং মাদক আইনে ২১০টি মামলা সহ বিভিন্ন অপরাধে জেলায় মোট ৪১৬ টি মামলা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
রোববার ১৪ জানুয়ারী সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে ৪৬ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, ৩০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৬৮ জন। জেলায় ১১ টি বাল্য বিবাহ রোধ করা হয়েছে, একই সাথে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ৫ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং একজনকে কারাদ- প্রদান করা হয়। ডিসেম্বর মাসে ১৯৩টি গ্রাম আদালতে ৭৪৫ টি মামলা দায়ের ও ৮২৭ মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। মাদক ও চোরাচালান সংক্রান্ত মোট ১৭৯ টি মামলা দায়ের ও ৪৮ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক ওই মাসে ২৪১ টি মোবাইল কোর্ট ৪৭২টি মামলায় ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় সহ ২৮ জনকে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নিচু জমিতে বালু দ্বারা ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ১৫ টি অভিযানে ১০ টি মামলায় ৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে সভার শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও সফল করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা -৬ সদরের সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা -১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সবুর, জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিপিএম (বার),
সিভিল সার্জন ডা.নাসিমা আক্তার, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানগন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতিনিধি- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রধান, উপা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা ।
সভায় গোমতী নদীর পাড়ের মাটি কাটা,অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন , জিবির নামে চাঁদা উঠানো, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বাল্য বিবাহ, দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংসহ জেলার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।