শেয়ার বাজার

নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩১ জনের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩১ জনের কারাদণ্ড

JlecBD: নাশকতার মামলায় জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ৩১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পৃথক দুটি আদালত এসব রায় ঘোষণা করেন।

পল্টন থানার মামলায় মাসুদ-মজনুসহ ১০ জনের কারাদণ্ড

১০ বছর আগের পল্টন থানার নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ১০ জনকে দুই বছর ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও মজনু ছাড়াও মামলার সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদল নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম, মো. এরশাদুল, জোনাইদ, আব্দুল কাদের খন্দকার, মো. দুলাল হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির রওশন ও মিজানুর রহমান টিপু।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর ৪৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করেন

নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড

অপরদিকে ১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা নাশকতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ঢাকা সিটির সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুজ্জামানসহ বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

এ মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, লুৎফর রহমান, শাহীন ওরফে গান্ডু শাহীন, তরিকুল ইসলাম ওরফে ঝন্টু, আমিনুল ইসলাম জাকির, গোলাম কিবরিয়া শিমুল, বিল্লাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সাইফুল আলম নীরব ও আনোয়ার রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাবুল নামে এক ট্যাক্সিচালক ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহাখালী থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে কারওয়ান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত ৮টার দিকে কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন তার গাড়ি থামিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।

এ ঘটনায় ট্যাক্সিচালক বাবুল তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গুলশান থানার মামলায় বিএনপির ১১ জনের কারাদণ্ড

এদিকে পাঁচবছর আগে গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে পৃথক তিন ধারায় সাড়ে চার বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাস, ১৪৭ ও ৪২৭ ধারায় দুই বছর করে চার বছরের সাজা দেন বিচারক। সব ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। ফলে আসামিদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন মো. মামুন চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, অসীম ওরফে অসীম আকরাম, নুরুল ওরফে নূর হোসেন, মো. শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন, আমিনুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রান্ত, জয়নাল, মীর মোহাম্মদ স্বপন। তারা সবাই বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে অসীম ওরফে অসীম আকরাম ও মো. শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকার গুলশান এলাকায় বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হন। তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে মামলায় অভিযোগ করে পুলিশ। ঘটনার দিন ২৩ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

Dummy Ad 1

বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব সচল করার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব সচল করার সুপারিশ

জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটি এবং কিশোর-কিশোরী ক্লাবকে সচল করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধে সরকারি এবং বেসরকারি সংগঠনের কার্যক্রম ও তথ্যসমূহের মধ্যে সমন্বয় করে একটি শক্তিশালী এবং একক ডেটাবেইজ তৈরি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে নারী-নির্যাতন রোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম ও ব্লাস্ট যৌথভাবে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেখানে এসব সুপারিশ করেন বক্তারা।

সভায় ‘নারী-নির্যাতন রোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম’ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)-এর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের ১৬ দিনব্যাপী পক্ষে আমরা আছি। এসময় এ বিষয়ে কথা বলা খুবই সময়পোযোগী। প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া ১০টি প্রকল্পের মধ্যে একটি হলো বাল্যবিবাহ রোধ করা। ২০৩০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষের সবখানে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো বাল্যবিবাহ রোধ করা। সেই লক্ষ্যে আমাদের কিশোর-কিশোরী ক্লাবে সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং আত্মরক্ষামূলক দক্ষতা শেখানো হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ১০৯-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সব জেলায় সেবাসমূহ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাকিয়া আফরোজ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন অধিশাখা) এবং প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সালেহা বিনতে সিরাজ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপ-সচিব এসপিএস স্পেশালিস্ট, (এটুআই) খন্দকার মনোয়ার মোরশেদ।

সভাপতির বক্তব্যে ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম বলেন, সরকারকে তার কাজে সহায়তা করার জন্য এবং দেশের সব পর্যায়ে সরকারের এ কার্যক্রম পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্লাস্ট সরকারের সঙ্গে কাজ করে আসছে।

ব্লাস্টের অ্যাডভোকেসি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ প্রকল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম অফিসার রাইসুল ইসলাম এবং সভার উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন ব্লাস্টের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি ও কমিউনিকেশন) মাহবুবা আক্তার।


হাইকোর্টে ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর, ২০২৩

হাইকোর্টে ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

আগামী রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫২টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা দেওয়ার নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমি এতদ্বারা নির্দেশ করিতেছি যে, আগামী ২৯ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বেঞ্চগুলো গঠন করা হলো। ’

নোটিশে ৫২ একক ও দ্বৈত বেঞ্চের নাম বিচারিক এখতিয়ারসহ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ১৯টি একক বেঞ্চ রয়েছে।


সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পালন করেন।

বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তার পিতা। তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।