শেয়ার বাজার

বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

বিএনপিকে বাংলাদেশের ডামি বিরোধী দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দলটির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, তারা শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। তারা আন্দোলন করবে, সেই আন্দোলনে জনতার ঢল নামবে, এসব শুনে ঘোড়াও হাসে। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ভুয়া বানিয়ে ফেলছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল বলেন, বিএনপির এখন আর কোনো আশা নেই। নির্বাচন না করে তারা কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই বুঝতে পারবে। বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী যারা ট্রেনে-বাসে আগুন দেওয়া, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপ্রতির বাড়িতে হামলা, এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গেছে। সৎ সাহস থাকলে এসব মামলা তারা আইনি প্রক্রিয়ায় ফেস করুক। যারা অপরাধ করেনি আইনি প্রক্রিয়ায় তারা মুক্ত হয়ে আসবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। আর কোনো ডামি দলের দরকার নেই। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই। আশা হারিয়ে ফেলেছে। সবার মধ্যে এখন হতাশা। তাদের উত্তাল আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।

২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সারাদেশে কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এ মুহূর্তে কোনো আশা নেই। কারণ, নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসানীতিও নেই। তাদের এখন আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়। তাদের আশাটা আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের এখন কালো পতাকার মিছিল, এটা হলো শোক পালনের মিছিল। কালো পতাকা তো শোকের চিহ্ন, তারা তাহলে নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে ‘আমরা পরাজয় বরণ করছি’।

তিনি আরও বলেন, কোন দেশে অপরাধ করে শাস্তি হবে না। আমেরিকার কথা আমরা ছেড়ে দেবো? এটা কোনো কথা? তাহলে ট্রাম্পের বিচার কেন হচ্ছে না? ৯১টি চার্জে ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে না। সেই দেশ আমাদের কীভাবে বলে- অপরাধীকে ছেড়ে দিতে হবে? আমাদের জেলে এত লোক নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন ১১ থেকে ১২ হাজার লোক জেলে আছে। যারা কি না অপরাধ করে জেলে গেছে। এখন তারা (বিএনপি) জাতিসংঘকে দিয়েও বলাচ্ছে। লবিং ভালোই করে। লবিংয়ের ওস্তাদ এই বিএনপি।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন চালান, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি-রোজগারে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ, ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন, অগ্নিসন্ত্রাস করবেন, এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অনেক ভোগান্তি এদেশের মানুষ সহ্য করেছে, অবরোধের নামে আপনারা মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। এসব অপকর্ম করলে শাস্তি পেতেই হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলনে জনগণ তো দূরে, আপনাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেবে না। আপনাদের নেতাকর্মীরাও এই আন্দোলনে আসবে না। তারা সবাই হতাশ।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যার্টাজী এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

Dummy Ad 1

বাইরের কারও ইন্ধনে চলছে জাপাকে দুর্বল করার চেষ্টা: চুন্নু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

বাইরের কারও ইন্ধনে চলছে জাপাকে দুর্বল করার চেষ্টা: চুন্নু

JlecBD ডেস্ক: বাইরের কারও ইন্ধনে জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

নির্বাচনে ভরাডুবি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা যখন মহাসচিব ও চেয়ারম্যানকে দায়ী করছেন তখন এ আশঙ্কার কথা জানান চুন্নু। এর আগে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিশেষ সভা করেন জাপার পরাজিত প্রার্থীরা। সেখানে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য জাপা মহাসচিব ও চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন তারা।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গণমাধ্যমকে চুন্নু বলেন, ‘নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল পাইনি। সেই বিষয়ে আমার ও চেয়ারম্যানের মধ্যে দায়দায়িত্ব আছে। সেই দায়দায়িত্ব নিয়ে আমরা কথা বলতে পারতাম। আমরা ঘরের মধ্যে আলোচনা করতে পারতাম। ফোরামে আলোচনা করতে পারতাম, কিন্তু যেটা করছে সেটা আমার মনে হয় বাইরে থেকে কারও ইন্ধন আছে। পার্টিকে দুর্বল করার জন্য, কারও ইন্ধন আছে। না হলে এ ধরনের কথা বলার কোনো যুক্তি নেই। কারা ইন্ধন দিচ্ছে এটা এখনই বলতে পারবো না। এটা এখনই বলা মুশকিল, অনুমানের ওপর বলছি।’

ভোটে জাপাকে কেউ অর্থ দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ আমাদের ভোট করতে টাকা দেয়নি। ব্যবসায়ীরাও দেয়নি। কেউ একটা পয়সা দিয়েছে, অসম্ভব।

চুন্নু বলেন, আমরা পরাজিত প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তার আগেই তারা ফরাসি বিপ্লবের মতো বিপ্লব আরম্ভ করে দিয়েছে।

দলের ভাঙনের গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তিনবার চারবার ভাঙছে। বিএনপিও অনেক বার ভাঙছে এটা চলমান প্রক্রিয়া। একটা দল ট্রেনের মতো যাচ্ছে। সেখান থেকে কোনো কোনো যাত্রী নেমে যায়, নতুন যাত্রী ওঠে। এটা কোনো বিষয় নয়। দল ভাঙছে না, কোন জেলার সভাপতি সেক্রেটারি আসছে, প্রেসিডিয়াম মেম্বার সংখ্যাগরিষ্ঠ কেউ বিবৃতি দেয়নি। নির্বাহী সদস্যরাও বিবৃতি দেয়নি। সাংগঠনিক ভাঙা একটা প্রক্রিয়া। কতিপয় প্রার্থী যারা ভেবেছে আমরা টাকা পেয়েছি, ওদের টাকা দেইনি। এটাই কারণ, অন্য কোনো কারণ নেই। এখানে ভাঙা ভাঙির কোনো বিষয় নেই।



বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারাবিশ্বে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় আর বিএনপি-জামায়াত এ হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনীসহ বিশ্বের বহু জায়গায় এমন কি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এ হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এ ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।

মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদের ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুনসন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।



আমরা সরকারও মানছি না, রাজপথও ছাড়ছি না: মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আমরা সরকারও মানছি না, রাজপথও ছাড়ছি না: মান্না

JlecBD ডেস্ক: সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে পারবে না বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মৌচাক মোড়ে ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, এই সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে পারবে না। কারণ এরাই সিন্ডিকেট, আর সিন্ডিকেটই সরকার।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। দেশের জনগণকে এই সরকারের হাত থেকে মুক্ত করেই আমরা ফিরবো। ঢাকা মহানগরের সব থানা থেকে শুরু করে সারাদেশে আমরা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। পাশাপাশি শেখ হাসিনা সরকারের অবৈধ ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার কর্মসূচিও থাকবে।

তিনি জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হবে। ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ফার্মগেট, খামারবাড়ি এবং ২৩-২৪ তারিখে খিলগাঁওয়ে নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি হবে। ২০-২২ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের কর্মসূচি থাকবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এর মানে পরিষ্কার, আমরা তোমাকে মানছি না, রাজপথ ছাড়ছি না। তোমাকে যেতে হবে।

মান্নার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারসহ নেতারা।

মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার নেই, টাকা নেই। সরকারের কাছেও টাকা নেই।