শেয়ার বাজার

জাপা কার্যালয়
সকালে রওশন পন্থিদের দখলে, দুপুরে তালা মারলেন কাদের পন্থিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সকালে রওশন পন্থিদের দখলে, দুপুরে তালা মারলেন কাদের পন্থিরা

জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয় দখলে নিয়ে সকালে ‘আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম’ শুরুর ঘোষণা দেন রওশনপন্থিরা। তবে রওশনপন্থিরা বের হয়ে যাওয়ার পর দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ফের নিজেদের দখলে নেন জিএম কাদেরপন্থিরা।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার পর কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডের পাঁচ তালাবিশিষ্ট ওই কার্যালয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। যদিও সেসময় দুইপক্ষের কোনো নেতাকর্মীকেই দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।

এর আগে, এদিন সকাল ৮টায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে থাকা দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রওশনপন্থি নেতাকর্মীরা। এর মাধ্যমে তারা ওই কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন। ফুল দেওয়া এবং মোনাজাত শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কার্যালয় পরিদর্শন এবং সেখানকার স্টাফদের খোঁজখবর নেন রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ।

এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অব্যাহতি পাওয়া চুন্নুর (মুজিবুল হক চুন্নু) চ্যালেঞ্জ প্রতিহত করেই শত শত নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে আমরা কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি। দেখি কে প্রতিহত করে? কার কত বুকের পাটা আছে, তা আগামীতেই প্রমাণ হবে।’

দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে অবস্থান শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন কাজী মামুনুর রশীদ ও রওশনপন্থি নেতাকর্মীরা।


এরপর দুপুর দুইটার দিকে জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে যান জাগো নিউজের এই প্রতিবেদক। এসময় দেখা যায়, এরশাদের প্রতিকৃতিতে নেই রওশনপন্থিদের দেওয়া ফুল। ভবনের সামনে ঝুলছে জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো বিশাল ব্যানার। তবে এসময় কার্যালয়ের সামনে দলটির কোনো পক্ষের নেতাকর্মীই চোখে পড়েনি।

দুই ঘণ্টারও বেশি সময় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলানো ছিল। কারা তালা ঝুলিয়েছেন, ফুল কারা সরিয়েছেন- এসব বিষয়ে বারবার জানতে চাইলেও কার্যালয়ে দায়িত্বে থাকা দুই নিরাপত্তাকর্মী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে কার্যালয়ের সামনে থাকা দোকানগুলোর কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই ফুল ছিল এরশাদের প্রতিকৃতির সামনে। জুমার নামাজের পর আর দেখা যায়নি। পরে খোঁজ করে পার্টি অফিসের পাশের এক ভবনের নিচতলায় কাজী মামুনুর রশীদের দেওয়া পুষ্পস্তবক পড়ে থাকতে দেখা যায়।এসব বিষয়ে জিএম কাদেরপন্থি নেতা ও জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া কয়েকজন এবং কিছু ভাড়াটে লোক সকালে এসেছিলেন। শুক্রবার বন্ধের দিন সকাল ৮টার দিকে তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। এরপর তারা কার্যালয়ের নিচ তলায় অবস্থিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কক্ষে ১০ থেকে ১২ মিনিট অবস্থান করেন। পরে কার্যালয়ের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান।’

আরও পড়ুন: বাইরের কারও ইন্ধনে চলছে জাপাকে দুর্বল করার চেষ্টা: চুন্নু

তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যে, জাতীয় পার্টি অফিস কে বা কারা দখলে নিয়েছে। এই সংবাদ অসত্য। জাতীয় পার্টি সারাদেশে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে এক ও ঐক্যবদ্ধ।’

জিএম কাদেরপন্থি কমিটির যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মোরশেদ আলম বলেন, ‘রওশনপন্থিরা অনধিকার প্রবেশ করেছেন। তারা পার্টি থেকে বহিষ্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত। তারা কাক ডাকা ভোরে সকাল আটটায় অফিসে এসে ফুল দিয়েছেন। এরপর ভেতরে এসে নিচতলায় ৫-৭ মিনিট অবস্থান করে চলে যান। মোটামুটি ২৫ মিনিটের মধ্যে পুরো কার্যক্রম শেষ করে চলে যান তারা।’

Dummy Ad 1

বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ সেলিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ সেলিমের

JlecBD ডেস্ক: বিএনপি-জামায়াতকে উগ্র সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন সরকারদলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এরা রাষ্ট্রের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রের শত্রু। সন্ত্রাসী, জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি করছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনিই এটা পারবেন। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীদের নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।

এ সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ও দেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য এ দাবি করছি। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। এরা যেন রাজনীতির নামে বাংলাদেশে খুন, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করতে না পারে। আর যাকেই ধরতে পারবেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনো দয়া-মায়া দেখানোর সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এরা জঙ্গি, সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা সংবিধানকে তোয়াক্কা করে না। যারা সংবিধান, নির্বাচন মানে না তারা আবার কী রাজনীতি করবে।

তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যকারীদের সন্ধানে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে বলেন, কারা এর পেছনে জড়িত ছিল তা বেরিয়ে আসবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে মারে তারা যেকোনো ঘটনা ঘটাতে পারে।

দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত শক্তি আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিশ্বের বড় সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করে। কীভাবে বাংলাদেশে অস্থিরতা বৃদ্ধি করা যায়, উন্নয়নের অব্যাহত ধারা বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ সেলিম বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে অগ্রসর হন তখন অতি বিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী... স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত ছিল। উগ্রপন্থি সিরাজ সিকদার, সর্বহারা হকিত্বোহা, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, লাল পতাকা বাহিনীর থানা লুট, ব্যাংক লুট, পাটের গুদামে আগুন, মানুষ হত্যা। ৭ জন সংসদ সদস্যকেও হত্যা করা হয়। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী ও জাসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে সশস্ত্র আক্রমণ করে। কর্নেল ওসমানী গণতন্ত্র বলে বুক ফাটিয়ে ফেলতো, সে খুনি মোশতাকের সামরিক উপদেষ্টা হয়। গণবাহিনীর প্রধান কর্নেল তাহের বাহিনী রেডিও স্টেশনে গিয়ে খুনিদের সমর্থন জানায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার গণবাহিনী-জাসদ এরা বৈজ্ঞানিক সমাজন্ত্রের কথা বলে বঙ্গবন্ধুকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর চারপাশে যে শক্তিগুলো ছিল সেখান থেকে ষড়যন্ত্র না হলে বঙ্গবন্ধুর গায়ে কেউ হাত দিতে পারতো না। বড় একটা চক্র বঙ্গবন্ধুর আশপাশে ঘুরে তাকে বিভ্রান্ত করেছে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী এখনো আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলে টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এসব বুদ্ধিজীবীরা সেদিন কোথায় ছিলেন?

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র এমপি বলেন, জিয়া ছিল আইএসআই-এর এজেন্ট। জিয়ার জন্ম পাকিস্তানে। তার পড়াশোনাও পাকিস্তানে। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালে আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে জিয়াকে বাংলাদেশ পোস্টিং দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধের জন্য বিএনপি-জামায়াত একের পর এক নাশকতা শুরু করে। লন্ডনে বসে তারেক জিয়া অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ তার জবাব দিয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়।



সরকার পতনের কর্মসূচি আবারও আসছে: বিএনপির ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সরকার পতনের কর্মসূচি আবারও আসছে: বিএনপির ফারুক

JlecBD ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সরকার পতনের কর্মসূচি আসবে, সবকিছুর হিসাব নেওয়া হবে। লড়াই করে বাংলাদেশের একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।’

স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। এজন্য বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর (খালেদা জিয়ার) এক ছটাক জায়গাজমিও নেই।’

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ আয়োজিত মানবনন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতো না, দিনের ভোট রাতে করতো না। যে নির্বাচন কমিশন দুই হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিকে তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘এত বছরেও সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি এই সরকার। অথচ তারা আইনের শাসন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেন। মানুষ এখন নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারে না। যারা আজ মেগা প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এই সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়।’

আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যখন গণমাধ্যম সোচ্চার হয় তখন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করে না- তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। যে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার- এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। সরকার জানে ব্যাংক লুট করতে, দুর্নীতি করতে।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। সরকার দিন দিন অবহেলিত হচ্ছে, তাদের পায়ের মাটি সরে যাচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।’

মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে

JlecBD: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ নাও করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক উপ-কমিটির এই মতবিনিময় সভা হয়।

জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশঙ্কা আছে, আমাদের দলের অনেকেরই আশঙ্কা আছে; দেশের জনগণের মধ্যেও এটা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। কিন্তু এটা চূড়ান্ত কথা হিসেবে এই মুহূর্তে আমরা বিবেচনায় আনতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘ডেমোক্রেসিতে অনেক কিছু সম্ভব। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বয়কট করা, ওয়াকআউট করা- এসব বিষয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সব জায়গাতেই আছে। কী হবে এটা তো এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, হলেও হতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমি কী করে বলবো তারা সরে যাবে। এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’