শেয়ার বাজার

সরকার পতনের কর্মসূচি আবারও আসছে: বিএনপির ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সরকার পতনের কর্মসূচি আবারও আসছে: বিএনপির ফারুক

JlecBD ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সরকার পতনের কর্মসূচি আসবে, সবকিছুর হিসাব নেওয়া হবে। লড়াই করে বাংলাদেশের একদলীয় শাসন বিদায় করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।’

স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। এজন্য বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর (খালেদা জিয়ার) এক ছটাক জায়গাজমিও নেই।’

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ আয়োজিত মানবনন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতো না, দিনের ভোট রাতে করতো না। যে নির্বাচন কমিশন দুই হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিকে তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘এত বছরেও সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি এই সরকার। অথচ তারা আইনের শাসন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেন। মানুষ এখন নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারে না। যারা আজ মেগা প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এই সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়।’

আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যখন গণমাধ্যম সোচ্চার হয় তখন গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয় সরকার। যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করে না- তাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। যে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার- এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। সরকার জানে ব্যাংক লুট করতে, দুর্নীতি করতে।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। সরকার দিন দিন অবহেলিত হচ্ছে, তাদের পায়ের মাটি সরে যাচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।’

মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Dummy Ad 1

বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি বাংলাদেশে ডামি বিরোধী দল: ওবায়দুল কাদের

বিএনপিকে বাংলাদেশের ডামি বিরোধী দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দলটির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, তারা শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। তারা আন্দোলন করবে, সেই আন্দোলনে জনতার ঢল নামবে, এসব শুনে ঘোড়াও হাসে। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ভুয়া বানিয়ে ফেলছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল বলেন, বিএনপির এখন আর কোনো আশা নেই। নির্বাচন না করে তারা কত বড় ভুল করেছে তা অচিরেই বুঝতে পারবে। বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মী যারা ট্রেনে-বাসে আগুন দেওয়া, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপ্রতির বাড়িতে হামলা, এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গেছে। সৎ সাহস থাকলে এসব মামলা তারা আইনি প্রক্রিয়ায় ফেস করুক। যারা অপরাধ করেনি আইনি প্রক্রিয়ায় তারা মুক্ত হয়ে আসবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিএনপি হচ্ছে ডামি দল। আর কোনো ডামি দলের দরকার নেই। ওরা ডামি হয়ে গেছে। শোকে শোকে পাথর হয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের ঘুম নেই। আশা হারিয়ে ফেলেছে। সবার মধ্যে এখন হতাশা। তাদের উত্তাল আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।

২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সারাদেশে কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এ মুহূর্তে কোনো আশা নেই। কারণ, নিষেধাজ্ঞাও নেই, ভিসানীতিও নেই। তাদের এখন আশায় আশায় দিন চলে যায়, রাত পোহায়। তাদের আশাটা আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের এখন কালো পতাকার মিছিল, এটা হলো শোক পালনের মিছিল। কালো পতাকা তো শোকের চিহ্ন, তারা তাহলে নিজেরাই জাতিকে বলে দিচ্ছে ‘আমরা পরাজয় বরণ করছি’।

তিনি আরও বলেন, কোন দেশে অপরাধ করে শাস্তি হবে না। আমেরিকার কথা আমরা ছেড়ে দেবো? এটা কোনো কথা? তাহলে ট্রাম্পের বিচার কেন হচ্ছে না? ৯১টি চার্জে ট্রাম্পের বিচার হচ্ছে না। সেই দেশ আমাদের কীভাবে বলে- অপরাধীকে ছেড়ে দিতে হবে? আমাদের জেলে এত লোক নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন ১১ থেকে ১২ হাজার লোক জেলে আছে। যারা কি না অপরাধ করে জেলে গেছে। এখন তারা (বিএনপি) জাতিসংঘকে দিয়েও বলাচ্ছে। লবিং ভালোই করে। লবিংয়ের ওস্তাদ এই বিএনপি।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন চালান, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন, মানুষের রুটি-রোজগারে বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ, ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন, অগ্নিসন্ত্রাস করবেন, এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এসব ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অনেক ভোগান্তি এদেশের মানুষ সহ্য করেছে, অবরোধের নামে আপনারা মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। এসব অপকর্ম করলে শাস্তি পেতেই হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলনে জনগণ তো দূরে, আপনাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেবে না। আপনাদের নেতাকর্মীরাও এই আন্দোলনে আসবে না। তারা সবাই হতাশ।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, নির্মল কুমার চ্যার্টাজী এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।


ফরিদপুরের মধুখালীতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল, ২০২৪

ফরিদপুরের মধুখালীতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরের মধুখালীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হায়দার আলী মোল্লার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহব্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ,কে এম কিবরিয়া স্বপন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহব্বায়ক আলী আসরাফ নান্নু, মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ সতেজ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি আব্দুল আলীম মানিক,  কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাফুজুর রহমান মাফুজ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব  শাহারির শিথিল, জেলা বিএনপির ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কায়েস, মধুখালী উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক এস এম মুক্তার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম ইনামুল,  মধুখালী উপজেলা জামাতে ইসলামির আমির মাওঃ আলীমুজ্জামান, মধুখালী কৃষকদলের আহব্বায়ক মেহেদী হাসান মুন্নু সদস্য সচিব শেখ তানভীর আহম্মেদ শিমুল  মধুখালী উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বান আকরাম হোসেন  পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমাম হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জহুরুল ইসলাম লিটনসহ এসময় উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাত্রদল যুবদল কৃষকদল শ্রমিকদল তাতীঁদল সেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


নির্বাচনের পরপরই নিত্যপণ্যের দাম বহুগুণ বেড়েছে: ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনের পরপরই নিত্যপণ্যের দাম বহুগুণ বেড়েছে: ইসলামী আন্দোলন

JlecBD ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘প্রহসনের ডামি নির্বাচন ও ডামি মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বহুগুণ বেড়েছে। শীতকালীন সবজি, আমনের মৌসুমে প্রতি কেজি চালে ৫ থেকে ৮ টাকা বৃদ্ধি সাধারণ ও খেটে খাওয়া জনগণকে শঙ্কিত করে তুলেছে।’

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভরা মৌসুমেও চাল ও সবজির মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা জনগণকে পীড়া দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। বাজারে আমনের নতুন চাল উঠেছে। উঠেছে নতুন আলু, নতুন পেঁয়াজ, শীতের শাকসবজি। স্বাভাবিকভাবে দাম কমার কথা। প্রতি বছর তা-ই ঘটে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে এখন অর্থনীতির কোনো সাধারণ সূত্রই যেন কাজ করছে না বাজারে।’