শেয়ার বাজার

আগামী ঈদের আগে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

আগামী ঈদের আগে এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা 

সংস্কার শেষে দেশে ফিরছে সামিটের মালিকানাধীন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল। আগামী সোমবার মহেশখালীতে এই টার্মিনাল পৌঁছাবে। ঈদের আগেই যুক্ত হবে অপারেশনাল কাজে। এরমধ্য দিয়ে প্রায় ছয় মাস পর দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়- আমদানি করা এলএনজি কার্গো মহেশখালীতে স্থাপন করা দুই ভাসমান টার্মিনাল দিয়েই খালাস করা হয়। এর একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ‘এক্সিলেন্স’। অন্যটি দেশীয় সামিট প্রাইভেটের মালিকানাধীন ‘সামিট’। এ দুই টার্মিনালের রিগ্যাসিফিকেশন ক্যাপাসিটি দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।

গত ১ নভেম্বর সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয় এক্সিলেন্স কে। এতে দুই টার্মিনালের একটি দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দেয়। রান্নায় ভোগান্তি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনে যানবাহনের দীর্ঘ সারি, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বিঘœ ঘটতে শুরু করে।

এরমধ্যে গত ৭ জানুয়ারি সংস্কার শেষে মহেশখালীতে ফিরে এক্সিলেন্স। এরপর এই এলএনজি টার্মিনালের কমিশনিং শুরু হয়। ত্রুটি সারিয়ে গত ২২ জানুয়ারি থেকে এক্সিলেন্স টার্মিনাল দিয়ে ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। তবে একই সময়ে সংস্কারের জন্য সামিটের টার্মিনাল সিঙ্গাপুর পাঠানোয় গ্যাস সংকট রয়ে যায়।

এলএনজি টার্মিনাল দুটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা- রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। এই সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন- সামিটের টার্মিনালটি ফিরে এলে দুটি টার্মিনাল দিয়েই এলএনজি সরবরাহ শুরু করা যাবে। এতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। গ্যাস সংকট কমবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২২ জানুয়ারি সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে মহেশখালী ছেড়ে যায় সামিটের টার্মিনাল। এরপর সিঙ্গাপুরের সিট্রিয়াম বেনোই ইয়ার্ডে এই টার্মিনালের ড্রাই-ডকিং কাজ শুরু হয়। কাজ শেষে গত ২৬ মার্চ এটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আগামী ১ এপ্রিল এটি পৌঁছানোর কথা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আরপিজিসিএল’র উপ-মহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, সামিটের টার্মিনাল আগামী ১ এপ্রিল দেশে পৌঁছালে ৬-৭ এপ্রিলের মধ্যে অপারেশনাল কাজে যুক্ত হওয়ার কথা। এরমধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর দুটি টার্মিনালই চালু হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এক্সিলেন্স টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন ৬০০-৬৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। সামিটের টার্মিনাল অপারেশনাল কাজে যুক্ত হলে গ্যাস সরবরাহ প্রতিদিন ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে। যা গ্রীষ্ম মৌসুমে গ্যাসের তীব্র চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়লে পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট কমে আসবে বলে মনে করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (অপারেসন্স) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা দিনে ২৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছি। দুটি টার্মিনাল চালু হলে যা ২৯০-৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হবে বলে আশা করছি। এতে বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

Dummy Ad 1

ঈদে দান-খয়রাতের আশায় মানুষ ঢাকায় আসে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে দান-খয়রাতের আশায় মানুষ ঢাকায় আসে : ওবায়দুল কাদের

রাজধানী ঢাকায় এত ভিক্ষুক কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দান খয়রাতের আশায় ঈদের সময় মানুষ ঢাকা শহরে আসে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি-৩২ জনগণের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় করে তেলের দাম কিছু হলেও কমিয়েছি। তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

বিএনপির উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা বড় বড় কথা বলেন, মায়াকান্না করেন; তারা কি ভুলে গেছেন জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নাকি ৮০ শতাংশ আসামি নির্যাতিত। যারা অপরাধের জন্য জেলে যাচ্ছে, তাদের জন্য কেন বিএনপির এত মায়াকান্না?

রাজধানীতে নিরাপত্তার বিষয়ে কাদের বলেন, তারাবির নামাজের পর সারা রাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনো কারও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে। তাদের এসব কথায় কান দেব না।


২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন

JlecBD ডেস্ক: বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে এ কল্যাণ অনুদান অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সংক্রান্ত অনুমোদনের নথিতে স্বাক্ষর করেন। শিগগিরই সাংবাদিকদের এ কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করা হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে চলতি অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।


"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪

"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েন এ আদালত পরিচালনা করেন। তার সঙ্গে আছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

এদিকে, এসময় একই অভিযোগে ধানসিঁড়ি নামে আরেকটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সিঁড়ির সামনে মালামাল রাখায় সেভা হাউজ নামে একটি ভবনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই ভবনটি সাততলা।

দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত গুলশান-২ নম্বর এলাকায় অভিযান চলে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে অভিযানে নেমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বেইলি রোডে বন্ধ থাকা সুলতানস ডাইন ও নবাবী ভোজ নামের রেস্টুরেন্ট দুটি সিলগালা করে রাজউক। এছাড়া স্কাই ভিউ নাইটেঙ্গল টাওয়ার নামের ৮ তলা রেস্টুরেন্ট ভবন পরিদর্শন করেন তারা। সেখানে তারা দেখতে পান ৩ মিটার সিঁড়ির বদলে সেখানে রয়েছে ৩ ফিট সিঁড়ি। সঙ্গে রয়েছে ছোট্ট একটি লিফট। এছাড়া ভবনটিতে কোনো ফায়ার এক্সটিংগুইসার দেখা যায়নি। পরে সেখানে ফায়ার সার্ভিস ‘ভবনটি অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ লিখে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়।

এছাড়া সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত রেস্টুরেন্টে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। এসব অভিযানে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ১৬ জনকে আটক এবং ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে করা কয়েকটি রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলাও হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত, যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা।