শেয়ার বাজার

তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি
চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি

দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে।‌ আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ‌একই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সতর্ক করতে দেশের চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

তিনি বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের ভিত্তিতে চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য এটি জারি করা হয়েছে।

এ সময়ে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকবে এবং জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তিও বেশি লাগবে। তাপপ্রবাহ এখন তীব্র আকার ধারণা না করলেও মানুষের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে।’ বলেন তিনি।

ওমর ফারুক বলেন, মানুষ বাইরে যখন বের হবে, তখন তার জানা থাকলো আবহাওয়া পরিস্থিতি এ রকম এবং সেই ধরনের নিরাপত্তা নিয়েই যেন বের হয়। এজন্যই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

আগামী ৮ এবং ৯ এপ্রিল তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, তবে ১০ থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তাপমাত্রা আগামী দু’এক দিনও আরও কিছুটা বেড়ে ৪০ ডিগ্রি স্পর্শ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আপাতত বৃষ্টি খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। সিলেট অঞ্চলে যে বৃষ্টি হচ্ছে সেটি অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মধ্যে শুধু সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

Dummy Ad 1

রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষি বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৪

রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষি বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার এবং ৬১তম ব্যাচ কারারক্ষি ও মহিলা কারারক্ষি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১০ মার্চ) সকাল ৯ টায় কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রাজশাহীতে ১৩তম ডেপুটি জেলার এবং ৬১তম ব্যাচ কারারক্ষি ও মহিলা কারারক্ষি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারা মহা পরিদর্শক আনিসুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, কারাগারে বসে এখন কয়েদিরা বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন। বন্দীদের শ্রম কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে সরকার কারা অভ্যন্তরে কয়েদীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাদের উৎপাদিত এসব পণ্য বিক্রয়ের লভ্যাংশের অর্ধেক কারাবন্দী হস্তশিল্পীদের দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কারাগারের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দীদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে ও অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।

কারাগারে যেনো কেউ জঙ্গি কার্যক্রম বা নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন না করতে পারে সেদিকে নজর রাখতেও নির্দেশনা দেন ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ও ডেপুটি জেলারদের র‍্যাংক ব্যাচ প্রদান করা হয়।

এবারের ১৩তম ডেপুটি জেলার এবং ৬১তম ব্যাচ কারারক্ষি ও মহিলা কারারক্ষি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ১১ জন ডেপুটি জেলার, ৩৪১ জন কারারক্ষি এবং ২৯ জন মহিলা কারারক্ষি অংশ গ্রহণ করেন। 

বুনিয়াদি এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি গত ২০সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১০মার্চ সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। এতে কমান্ড্যান্ট কালাম হোসেনের তত্ত্বাবধায়নে ডেপুটি জেলার হিসেবে ১১ জন, কারারক্ষি হিসেবে ৩৪১ জন ও মহিলা কারারক্ষি হিসেবে ২৯ জন প্রশিক্ষন নেন।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কারা মহাপরিদর্শক এএসএম আনিসুল হক, কমান্ড্যান্ট কামাল হোসেন, প্রধান প্রশিক্ষক ওবায়দুর রহমান, কোর্স কো-অর্ডিনেটর নিজাম উদ্দিন,প্যারেড কমান্ডার ফারুক হোসেন, সিনিয়র প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন, প্রশিক্ষক হাবলু বাদশা,উপ-প্রশিক্ষক শ্রী সুরজিত চন্দ্র সরকার প্রমুখ।



খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি

JlecBD: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা ১১ মামলায় শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার এসব মামলায় অভিযোগ গঠন ও মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

অধিকাংশ মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় ও এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে কেরানীগঞ্জ কারাগারের নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি ও অপর ১০ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস পাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ ও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ওই ঘটনায় পরের দিন ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। অপরদিকে ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। খালেদা জিয়া ছাড়া এসব মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।


"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪

"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েন এ আদালত পরিচালনা করেন। তার সঙ্গে আছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

এদিকে, এসময় একই অভিযোগে ধানসিঁড়ি নামে আরেকটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সিঁড়ির সামনে মালামাল রাখায় সেভা হাউজ নামে একটি ভবনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই ভবনটি সাততলা।

দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত গুলশান-২ নম্বর এলাকায় অভিযান চলে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে অভিযানে নেমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বেইলি রোডে বন্ধ থাকা সুলতানস ডাইন ও নবাবী ভোজ নামের রেস্টুরেন্ট দুটি সিলগালা করে রাজউক। এছাড়া স্কাই ভিউ নাইটেঙ্গল টাওয়ার নামের ৮ তলা রেস্টুরেন্ট ভবন পরিদর্শন করেন তারা। সেখানে তারা দেখতে পান ৩ মিটার সিঁড়ির বদলে সেখানে রয়েছে ৩ ফিট সিঁড়ি। সঙ্গে রয়েছে ছোট্ট একটি লিফট। এছাড়া ভবনটিতে কোনো ফায়ার এক্সটিংগুইসার দেখা যায়নি। পরে সেখানে ফায়ার সার্ভিস ‘ভবনটি অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ লিখে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়।

এছাড়া সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত রেস্টুরেন্টে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। এসব অভিযানে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ১৬ জনকে আটক এবং ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে করা কয়েকটি রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলাও হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত, যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা।