শেয়ার বাজার

তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি
চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি

দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে।‌ আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ‌একই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সতর্ক করতে দেশের চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

তিনি বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের ভিত্তিতে চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য এটি জারি করা হয়েছে।

এ সময়ে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকবে এবং জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তিও বেশি লাগবে। তাপপ্রবাহ এখন তীব্র আকার ধারণা না করলেও মানুষের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে।’ বলেন তিনি।

ওমর ফারুক বলেন, মানুষ বাইরে যখন বের হবে, তখন তার জানা থাকলো আবহাওয়া পরিস্থিতি এ রকম এবং সেই ধরনের নিরাপত্তা নিয়েই যেন বের হয়। এজন্যই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

আগামী ৮ এবং ৯ এপ্রিল তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, তবে ১০ থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তাপমাত্রা আগামী দু’এক দিনও আরও কিছুটা বেড়ে ৪০ ডিগ্রি স্পর্শ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আপাতত বৃষ্টি খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। সিলেট অঞ্চলে যে বৃষ্টি হচ্ছে সেটি অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের মধ্যে শুধু সিলেটে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

Dummy Ad 1

রাজনৈতিক সহিংসতায় সংকট বাড়বে অর্থনীতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর, ২০২৩

রাজনৈতিক সহিংসতায় সংকট বাড়বে অর্থনীতিতে

সিসিএন ডেস্কঃ  গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সমকালকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক কালের রাজনীতি সবাইকে এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে, সরকারও অর্থনীতির সমস্যার দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছে না। এর কারণে অর্থনীতি যতটা খারাপ হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে দায়িত্বশীলদের মনোযোগ না দেওয়া, সংকটকে অবজ্ঞা করা ও অবহেলার কারণে।’ ভরসার জায়গা রেমিট্যান্সেও চোট লেগেছে। সেপ্টেম্বরে ৪১ মাসের সর্বনিম্ন ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে চলতি মাসে কিছুটা বেড়েছে রেমিট্যান্স। যদিও তা আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি নয়। বিদেশি বিনিয়োগ গত অর্থবছরে কিছুটা বাড়লেও, তাতে অন্যান্য খাতের ঘাটতি দূর হওয়ার মতো নয়।

চলমান অবস্থাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ ও স্থিতিশীলতা পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক উত্তরণ ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে উত্তরণ না হলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া জটিল থেকে জটিলতর হবে। লক্ষ্য করছি, রাজনীতি এত বেশি আচ্ছন্ন করছে যে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে আর কোনো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেবে না। এটা হোক মূল্যস্ফীতি বা মুদ্রার বিনিময় হার বিষয়ে বা শুল্ক সম্পর্কিত, অথবা খেলাপি ঋণ আদায় করে সম্পদ আহরণের বিষয়ে। এই অবহেলা ও গড়িমসির কারণে সার্বিকভাবে অর্থনীতি জিম্মি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ পরিস্থিতি নতুন নয়। অভিজ্ঞতা বলছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব পড়ে। এমনিতেই অর্থনীতি নাজুক অবস্থায়। যে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তারও সঙ্গিন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখছি, এটাই সবচেয়ে বেশি দুঃখের বিষয়।

রপ্তানির অনুপাতে আমদানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় ডলার সংকটে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অর্থনীতিতে কঠিন সময় চলছে। অর্থনীতির সব সূচকেই অবনতির মুহূর্তে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা সংহিসতায় রূপ নিয়েছে। এতে ক্ষতি আরও ব্যাপক হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

তারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন ঘিরে কোনো সমঝোতা না হলে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচনের আগে সহিংসতা এড়াতে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শর্তহীন আলাপ-আলোচনাকেই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ মনে করছেন তারা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এতদিন যে অস্থিরতা ছিল, তা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। এতে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হবে। দেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। মোট কথা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নিশ্চিত করেই আরও অবনতি হবে।’

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীর নয়াপল্টনের আশপাশ এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপি কর্মীদের হামলায় নিহত হয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া নিহত হন এক যুবদল নেতা। মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে রোববার দেশজুড়ে হরতাল করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো। সেদিন প্রাণ গেছে অন্তত তিনজনের।

আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। বিরোধী দলগুলো সর্বাত্মক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল তা প্রতিরোধের কথা বলছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে তারা।

২০১৩ এবং ২০১৫ সালেও একই পরিস্থিতি হয়েছে। সেই সময়ে হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাত বিঘ্নিত হয়েছে আগুন সন্ত্রাসে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী সে সময়ে অন্তত ৫ হাজার যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছিল হরতাল-অবরোধের ডাক দেওয়া বিএনপি ও জামায়াত।

এবার পরিস্থিতি একই দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৩ ও ২০১৫ সালে অর্থনীতি সবল ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থাকে আরও টালমাটাল করেছে।

বাংলাদেশে গত দুই বছরে ৪৮ বিলিয়ন থেকে কমে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের কাছাকাছি নেমে এসেছে। আইএমএফের কাছে ধার করতে হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমদানির জন্য ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ডলারের সংকট চলছে কয়েক মাস ধরেই।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ নাকাল। রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরুর তিন দিনে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা হয়েছে। দামে লাগাম টানতে না পেরে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। একই অবস্থা ডিমের ক্ষেত্রে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে গত দুই মাসে একবারও বিক্রি হয়নি পেঁয়াজ, আলু, ডিমের মতো নিত্যপণ্য। অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি চাষ। সবজির বাজারে অনেক দিন ধরেই আগুন। কাঁচা পেঁপে ছাড়া অন্য সবজি ৮০ টাকা কেজির কমে মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এবং অর্থনীতি যেন আরও কঠিন পরিস্থিতিতে না পড়ে, সে জন্য প্রাকৃতজনের জেগে ওঠা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার। তিনি সমকালকে বলেছেন, ‘সবাই সহিষ্ণু আচরণ করুক। সবাই আলোচনায় বসুক। শর্তমুক্ত হয়ে বসুক। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে।’


ডিজিটাল ভূমি জরিপ কিভাবে হবে? পুরনো জরিপ বাতিলের অর্থ কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডিজিটাল ভূমি জরিপ কিভাবে হবে? পুরনো জরিপ বাতিলের অর্থ কী?

বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল জরিপ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সংসদে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবে। এই ডিজিটাল জরিপ কিভাবে হবে? তাছাড়া পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবার অর্থ কী?

ভূমিমন্ত্রী দাবি করছেন, ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা কমে আসবে। ফলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও হয়রানিও কমবে। ডিজিটাল পদ্ধতি বা ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ভূমির জরিপ পরিচালনাকে ডিজিটাল সার্ভে বলা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে খুব সহজেই জমি পরিমাপ করা যাবে এবং একই সাথে জমির মালিকানা ও মাপের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এই অঞ্চলে প্রথম ভূমি জরিপ শুরু হয়েছিল ১৮৮৮ সালে কক্সবাজার জেলার রামু থেকে। ওই জরিপের নামকরণ করা হয় সিএস জরিপ। এই জরিপ শেষ হয় ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায়। এরপর ধাপে ধাপে আরএস, এসএ, পিএস এবং সবশেষ বিএস জরিপ সম্পন্ন হয়। পুরনো পদ্ধতির জরিপে ফিতা টেনে দিয়ে জমির মাপ নিয়ে ম্যাপ তৈরি করা হতো।বেশ কয়েকটি জরিপ পরিচালনার পরও ভূমির জটিলতা কাটেনি।

মঙ্গলবার সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল, ২০২৩’ পাশের আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সার্ভে পর্যায়ক্রমে হবে, এগুলো আসবে। আর ইতোমধ্যে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে সব বাতিল। এটা আমি সংসদে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করতে চাই।’ ফলে চলমান বিএস জরিপ যে অবস্থায় রয়েছে সেই অবস্থাতেই বাতিল হবে কী-না সে বিষয়টি মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়নি। তবে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, যখন কোন জমির ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হবে, তখন আগের জরিপ বাতিল হয়ে যাবে। ডিজিটাল জরিপ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে জরিপ চলেছে সেটা বহাল থাকবে।

ইতোমধ্যে পটুয়াখালী ও বরগুনাতে ডিজিটাল জরিপের পাইলট প্রোগ্রাম চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ধামরাইয়ে এই ডিজিটাল জরিপের কাজ চলছে বলে অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সফল হলে এই জরিপের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে ডিজিটাল জরিপের সক্ষমতা অর্জনে গত বছর এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ বছর মেয়াদি ডিজিটাল সার্ভের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত জমির মানচিত্র ও রেকর্ড সমন্বয় করা হবে। এতে ভূমি মালিক ওয়েবসাইটে গেলে ম্যাপ ও খতিয়ান দুটি একসাথে পেয়ে যাবেন। এজন্য ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হচ্ছে। সকল ডাটা ক্লাউড বেইজ সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোন উড়িয়ে জমির পূর্ণ ছবি ধারণ করা হবে। স্যাটেলাইট ইমেজিং-এর মাধ্যমে জমির অবস্থান ও মাপ নিশ্চিত করা হবে।

স্যাটেলাইট ইমেজ কিনে সেটা মৌজা ম্যাপের সাথে সমন্বয় করে ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি করা হবে। এর ফলে কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় ও বনভূমি রক্ষাসহ জমির পরিকল্পিত ব্যবহার করাও সম্ভব হবে। এছাড়া ইটিএস এর মাধ্যমে জমির নির্ভুল পরিমাপ করতে বা প্লট ভাগ করা হবে। প্লট টু প্লট জরিপ সম্পন্ন হলে সরকারি ও বেসরকারি মালিকানার তথ্যটি সহজেই জানা যাবে।এ ধরণের জরিপে জমির পরিমাণ, জমির আইলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, আকার ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ মাপ সম্পর্কে জানা যাবে এবং পরিমাপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। জরিপ অধিদপ্তর বলছে, একবার ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হলে প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরনের ভূমির বিচ্যুতি ছাড়া মাঠে গিয়ে বার বার জরিপ করার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান একসাথে পাওয়া যাবে।

ভূমি জরিপ অধিদপ্তর আশা করছে এতে ভূমি ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন হবে, আদালতের মামলা কমবে, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে ভূমি জরিপ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত কোন এলাকায় ডিজিটাল জরিপ শুরু করার আগে সেখানকার পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে না হলে মাইকিং করে এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হয় এবং ব্যাপক জনসংযোগ করা হয়। এর মাধ্যমে মূলত সেখানকার জমির মালিকদের জানানো হয়। তারা যে নিজ নিজ জমির সীমানা চিহ্নিত করেন এবং জমির মালিকানার কাগজপত্র যেমন - দলিল, নামজারি ও খাজনা পরিশোধ কাগজপত্র হালনাগাদ অবস্থায় কাছে রাখেন। এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির জমির তথ্য যাচাই বাছাই করা হবে। কোন সমস্যা না থাকলে মালিকানার তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করা হবে। পুরনো পদ্ধতির জরিপে দেখা যেতো একটি খতিয়ানের একাধিক মালিক রয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেই সুযোগ আর থাকছে না।


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ঝটিকা অভিযান; হাইওয়ে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ঝটিকা অভিযান; হাইওয়ে পুলিশ

এমএ আলম, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উপর দিয়ে ঢাকা টু চট্রগ্রাম হাইওয়ে মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে ফুটপাতে গাড়ী পার্কিং, অবৈধ স্থাপনা ও ভ্রাম্যমান দোকান উচ্ছেদে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে হাইওয়ে পুলিশ।

মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং যাত্রী সাধারণের চলাচলে ভোগান্তি কমাতে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় বাজার এবং মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজার এবং মহাসড়কের দু’পাশে  অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে থানার ওসি লোকমান হোসেন।

এসময় সাংবাদিকদের চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে চৌদ্দগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে এবং বাজার অংশে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা, গাড়ী পার্কিং ও ভ্রাম্যমান দোকান উচ্ছেদে এই আভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

 এসময় তিনি আরো বলনে, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুনরায় যাতে দোকানপাট বসতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি দিন মনিটরিং করা হবে। আর মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।