শেয়ার বাজার

ঈদে দান-খয়রাতের আশায় মানুষ ঢাকায় আসে : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে দান-খয়রাতের আশায় মানুষ ঢাকায় আসে : ওবায়দুল কাদের

রাজধানী ঢাকায় এত ভিক্ষুক কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দান খয়রাতের আশায় ঈদের সময় মানুষ ঢাকা শহরে আসে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি-৩২ জনগণের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় করে তেলের দাম কিছু হলেও কমিয়েছি। তাছাড়া জিনিসপত্রের দাম আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

বিএনপির উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা বড় বড় কথা বলেন, মায়াকান্না করেন; তারা কি ভুলে গেছেন জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গের নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নাকি ৮০ শতাংশ আসামি নির্যাতিত। যারা অপরাধের জন্য জেলে যাচ্ছে, তাদের জন্য কেন বিএনপির এত মায়াকান্না?

রাজধানীতে নিরাপত্তার বিষয়ে কাদের বলেন, তারাবির নামাজের পর সারা রাত ধরে ঈদের শপিং চলে। এখনো কারও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে। তাদের এসব কথায় কান দেব না।

Dummy Ad 1

২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

২৬৩ সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন

JlecBD ডেস্ক: বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে এ কল্যাণ অনুদান অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সংক্রান্ত অনুমোদনের নথিতে স্বাক্ষর করেন। শিগগিরই সাংবাদিকদের এ কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করা হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে চলতি অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।


কিশোর গ্যাং
দুইদিনে গ্রেফতার ৭৫ জামিনে সুপারিশ করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ, ২০২৪

দুইদিনে গ্রেফতার ৭৫ জামিনে সুপারিশ করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে গত দুদিনে ৭৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি বলছে, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে বর্তমানে ধনীর সন্তানরাও জড়িয়ে যাচ্ছে। তারা মারামারিসহ হত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। কিশোর গ্যাংবিরোধী ধারাবাহিক অভিযান চলবে। তাদের জামিনের বিষয়ে কেউ সুপারিশ নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, দুদিনে ৭৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্বের কারণে সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাই, ইভটিজিং, হুমকি দেওয়া, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা পরিস্থিত সৃষ্টি করে। এ কাজগুলো তারা দলবদ্ধ হয়ে করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা নামে প্রভাব বিস্তার করে আসছে তারা।

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়োং স্টার, বিগবস, ডিস্কো বয়েজ, বন্ধুমহল, শীল বিষু গ্যাং, পারভেজ গ্রুপ, রুস্তম গ্রুপ, ইয়োং স্টার গ্রুপ, নাইনএমএম গ্রুপ, নাইন স্টার গ্রুপ, রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বল গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো মাদক, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছে। তাদের কিছু বড় ভাইয়ের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এমনকি তারা চুরি-ছিনতাই করে আসছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গত দুই বছরে ৩৪ জন কিশোর নিহত হয়েছে।


হারুন অর রশীদ আরও বলেন, একসময় মনে করতাম ভাসমান ও নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানরা কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িত হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যবিত্ত, ধনীদের আলালের ঘরে দুলালরাও কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের পোশাক, চুলের কাটিং চলাফেরা সবই ভীতিকর। এসব ধনীর সন্তানরা প্রথমে মাদকসেবন, পরে মাদক বিক্রিতেও জড়িয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তারা এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক বড় ভাই আবার কখনো কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে থেকে তারা হত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরদের ছত্রচ্ছায়ার অভিযোগ রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিন ৭৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সবাই কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িত থাকার কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।

কিশোর গ্যাং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, এখন যে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে। এসব কিশোর স্কুলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে মাদকসেবনের মতো উশৃঙ্খল জীবন-যাপন করছে। গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। তবে আমি মনে করি অভিভাকদের উচিত তার সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে তার খোঁজ রাখা। পাশাপাশি মা-বাবার উচিত সন্তানদের সময় দেওয়া। গ্রেফতার করে কিশোর গ্যাং দমন করা যাবে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।

কিশোর গ্যাংয়ের আশ্রয় দেওয়া বড় ভাইদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক বড় ভাইয়ের নাম পেয়েছি। এসব নাম তদন্ত করে দেখবো কারা কারা কিশোর গ্যাং সদস্যদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তবে আমি মনে করি এসব কিশোর গ্যাংয়ের নানা অপরাধ করার তথ্যতো কাউন্সিলররা জানেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা কিন্তু বড় বা রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি করে। মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ করে। কিশোর গ্যাংয়ের এমন দৌরাত্ম্যের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পরিবারের সদস্যদের কিশোর গ্যাং দমনে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর গ্যাংবিরোধী ধারাবাহিক অভিযান চলবে। এ বিষয়ে কেউ সুপারিশ নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ঝটিকা অভিযান; হাইওয়ে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ঝটিকা অভিযান; হাইওয়ে পুলিশ

এমএ আলম, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উপর দিয়ে ঢাকা টু চট্রগ্রাম হাইওয়ে মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে ফুটপাতে গাড়ী পার্কিং, অবৈধ স্থাপনা ও ভ্রাম্যমান দোকান উচ্ছেদে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে হাইওয়ে পুলিশ।

মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং যাত্রী সাধারণের চলাচলে ভোগান্তি কমাতে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় বাজার এবং মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজার এবং মহাসড়কের দু’পাশে  অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে থানার ওসি লোকমান হোসেন।

এসময় সাংবাদিকদের চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে চৌদ্দগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে এবং বাজার অংশে ফুটপাতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা, গাড়ী পার্কিং ও ভ্রাম্যমান দোকান উচ্ছেদে এই আভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

 এসময় তিনি আরো বলনে, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুনরায় যাতে দোকানপাট বসতে না পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি দিন মনিটরিং করা হবে। আর মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।