JlecBD ডেস্ক: কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক আবদুল মজিদকে সংবর্ধনা দিতে কুমিল্লার হোমন উপজেলার পঞ্চ গ্রামের (অর্থাৎ দৌলতপুর, আড়ালিয়কান্দি, আলগীরচর, দয়রাকান্দি ও মিঠাইভাঙ্গা) সকল শ্রেনী পেশার মানুষের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (০২ জানুয়ারী) বিকেলে দৌলতপুর আমেনা আলীম ষ্টেডিয়াম মাঠে জাঁকজমক পূর্ণ গন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর গ্রামের নুরুবাঘার সুযোগ্য সন্তান ও ইটালি প্রবাসী আনোয়ার বাঘা। উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রীত অতীথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোমনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুল।
এ সময় এলাকার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারাও তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এছাড়াও, এম পি মহোদয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পঞ্চ গ্রামের ইমরান বাঘা,সামাদ মেম্বার সহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ। আরও ফুলেল শুভেচছা জানান দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে শিক্ষক ইমাম উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম স্যার। আধ্যাপক মজিদ তাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় হোমনা-মেঘনা উপজেলার সকল ভোটার ও গ্রাম বাসিকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি হোমনা-মেঘনা উপজেলার চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসিদের উৎখাতে জিরুটলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন এবং সকলকে দ্রুত এসব অপকর্ম ছেড়ে ভালো হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, গণ মানুষের জয় হয়েছে। নির্বাচিত হওয়ায় এখন তার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। এলাকার উন্নয়নে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি প্রতি গ্রামে ও ইউনিয়নে সত্ ও সম্মানিত ব্যাক্তিদের সমন্নয়ে "শান্তি কমিটি" গঠনের আহ্বান জানান এবং উনার নিজের ইউনিয়ন থেকেই এই "শান্তি কমিটি" গঠনের উদ্যোগ- শুরু করার ঘোষণা দেন। তিনি জনগণকে বলেন আমি দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় আছি এবং প্রায় ২৫ বছর যাবত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু আমি আওয়ামীলীগ" মনোনীত প্রার্থী বা "নৌকা মার্কার"প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও আপনারা আমাকে ভালবেসে দলমত নির্বিশেষে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে "ট্রাক মার্কায়" ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
তাই আমি দলিয় উর্ধ্বে থেকে- সকলের এম পি হিসেবে নয়- আপনাদের সেবক হিসেবে আজীবন পাশে থাকতে চাই। উল্লেখ্যযে অধ্যাপক আবদুল মজিদ স্যার কুমিল্লার কোম্পানিগন্জের "বদিউল আলম কলেজের " গনিতের প্রভাষক ছিলেন। আশির দশক থেকেই পপি গাইড লিখে এবং পপি লাইব্রেরীর সত্তাধীকারী হিসেবে এলাকায় ও পুরো দেশজুড়ে জনপ্রিয় ছিলেন। পরর্বতীতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর "অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ ও হোমনয় নিজ স্রীর নামে রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হোমনা-মেঘনার অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে আসছেন। এলাকার মানুষের জন্য আজীবন কাজ করে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ, গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে ভিপুল ভোটে কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিমা আহমাদকে ১ হাজার ৯৬১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তিনি হোমনা উপজেলার একমাত্র ও প্রথম বিনোদন কেন্দ্র নিজ গ্রামে প্রতিষ্টা করেন। যা " আবদুল মজিদ বাগান বাড়ি" নামে পরিচিত। সেই বিনোদন কেন্দ্রে প্রতিদিন হোমনা তথা আসেপাশের উপজেলার হাজার হাজার ভ্রমণপ্রেমী শিশু, কিশোর ও বয়স্ক লোকজন এর আগমন ঘটে।
তাছাড়া তার সহধর্মিণী রেহানা মজিদ বর্তমানে হোমনা উপজেলার রানিং "উপজেলা চেয়ারম্যান"। স্বামী স্ত্রী একই উপজেলার "এম পি "ও "উপজেলা চেয়ারম্যান"।
এখন আব্দুল মজিদের গল্পটা সবার জানা। তাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও চলছে বিস্তর লেখালেখি। বলছেন, আব্দুল মজিদ একজন শিক্ষানুরাগী। জীবনের সময়টা ব্যয় করেছেন মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পেছনে। এখন তিনি সংসদে যাচ্ছেন, নিশ্চয়ই শিক্ষা নিয়ে তিনি বড় কোনো কাজ করবেন।
এসবের পাশাপাশি আব্দুল মজিদের পপি লাইব্রেরিটি কিন্তু এখনো আছে। সেই লাইব্রেরির পেইজ থেকেও প্রতিষ্ঠা আব্দুল মজিদকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে।