শেয়ার বাজার

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মোদীর চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মোদীর চিঠি

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শনিবার (২ মার্চ) ঢাকায় ভারতের হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

চিঠিতে ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আন্তরিক শোক প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদী বলেন, এই দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত। একই সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনা ও প্রার্থনা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে থাকবে।

Dummy Ad 1

কেশরহাটে অনুমোদনহীন সমিতির উচ্চ সুদে সর্বশান্ত অনেক পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৪

কেশরহাটে অনুমোদনহীন সমিতির উচ্চ সুদে সর্বশান্ত অনেক পরিবার

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে অনুমোদনহীন ব্যবসায়িক সমিতির আড়ালে চলছে উচ্চ হারে সুদের রমরমা ব্যবসা। সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে চালানো হচ্ছে এই সুদের কারবার। বড় অংকের সুদের কারণে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের দিনমজুরেরা হচ্ছেন সর্বশান্ত ।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, কেশরহাট পৌরসভার গোপইল গ্রামের সাজ্জাদ মাষ্টারের ছেলে রাজু। একসময় ছিলেন মুদি দোকানদার। মুদি ব্যবসার আড়ালে তিনি ফেন্সিডিলের ব্যবসাও করতেন এবং নকল সিগারেট ও ফেন্সিডিল’সহ বেশ কয়েকবার আটকও হয়েছিলেন মোহনপুর থানায়।

এরপর তিনি কোন সনদপত্র না নিয়েই কেশরহাটে ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সুদ বইয়ের মাধ্যমে রাজু তার অবৈধ দাদন ব্যবসাকে বৈধ দেখিয়ে মোহনপুর-কেশরহাটের সাধারন মানুষদের প্রতারিত করছেন। সাধারণ মানুষ প্রতারিত হলেও দিন দিন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে রাজু।

অতিরিক্ত সুদ আদায় এবং সরকারি আইন ভঙ্গ করলেও স্থানীয় সমবায় অফিস কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এবং অতিরিক্ত সুদ প্রদানের মাধ্যমে সর্বশান্ত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুদ কারবারিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেশরহাট বাজার সংলগ্ন মসজিদ মার্কেটে নামবিহীন অফিস খুলে সুদের ব্যবসা চালাচ্ছে এই ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’।

আরোও জানা যায়, সাফল্য সমবায় সমিতির পরিচালক রাজু মোড়া অংকের লাভে ও ব্যাংক চেকের বিনিময়ে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা দেন। সুদের ব্যবসা করে এখন সে কোটিপতি। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সাধারণ মানুষের কাছে সুদে দেওয়া রয়েছে তার।

ঋণ প্রদানে সমবায় সমিতির পরিচালক রাজু সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প ও ব্ল্যাক চেক বইয়ের পাতা এবং স্বাক্ষর করা ফাঁকা ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প রেখে দিচ্ছেন টাকা দেন তিনি। টাকা পরিশোধ করার পরও চেক বইয়ের পাতায় নিজেদের ইচ্ছা মত টাকা বসিয়ে আদালতে মামলা করে গ্রাহক হয়রানির বহু অভিযোগ রয়েছে এ সমিতির বিরুদ্ধে।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচালক রাজু দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ সমবায় অধিদপ্তরের সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করেই সদস্যদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুদ আদায়, সাদা চেক ও স্ট্যাম্প এর বিপরীতে ঋণ প্রদান করেন, এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

তথ্যনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার সমবায় অফিসের অধীনে নামে বেনামে অনেক সমিতি রয়েছে, এছাড়া সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত আরও শতাধীক সমিতি রয়েছে। যাদের অধিকাংশই চড়া সুদে ঋণ বিতরণ করে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম কেশরহাটে রাজুর ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান। সমবায় সমিতি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন না নিয়েও সমবায় অধিদপ্তরের কোন আইন কানুনই মানছে না প্রতিষ্ঠানটি।

কেশরহাট বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’এর পরিচালক রাজু লাভের ওপর এককালীন টাকা দিয়ে মাত্র এক মাস বা তিন মাস মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য করেন । এতে ঋণ নিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন সাধারণ অসহায় মানুষ।

আরোও এক ব্যবসায়ী কান্নাস্বরে জানান, রাজুর কাছে সুদে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা তাকে লাভ দিতেন। টাকা না দেওয়ার কারনে ওই সুদ ব্যবসায়ী তাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী এখন অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। ব্যবসা বন্ধ করে নিজের জমি জমা বিক্রি করে ওই সুদ ব্যবসায়ীর টাকা দিতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে।

শুধু তাই নই, রাজশাহীর সাহেব বাজারের আরোও এক ব্যবসায়ীর সাথেও প্রতারনা করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা চিট করে নিয়েছে এই সাফল্য সমবায় সমিতির পরিচালক রাজু। এরপর সেই ভুক্তভোগী কেশরহাট পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিছা দেলোয়ারা আঞ্জু জানান, কেশরহাটে ‘সাফল্য সমবায় সমিতির’ কোন নিবন্ধন নাই। যেহেতু নিবন্ধন নাই সেহেতু কেউ যদি তার কাছে প্রতারিত হয় তাহলে এর জন্য আমরা দায়ী নই।

মোহনপুর উপজেলার ইউএনও আয়েশা সিদ্দিকা জানান, আমার এ বিষয়ে জানা ছিলোনা। বিস্তারিত আমি খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে দেখবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হরিদাস মন্ডল জানান,এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ জানান, সাফল্য সমবায় সমিতির কোন ট্রেড সনদপত্র নেই। এ বিষয়ে আমি যতটুকু জানি রাজু একজন চিট। তার নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তির মোটা অংকের টাকা প্রতারনা করে নেওয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় তাকে আমি ডেকে এনে সময় সাপেক্ষে

পৌরসভাতেই মিমাংসা করে দেই। এই রাজুর খপ্পরে পরে যেন আর কেউ প্রতারিত না হয় সেইদিকে আমি খেয়াল রাখব।

এ বিষয়ে সাফল্য সমবায় সমিতির পরিচালক রাজুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।


ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪

ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা

ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা। নগরীর ৫ হাজার রেস্তোরাঁর মধ্যে অগ্নিনিরাপত্তা সনদ আছে হাজারখানেকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি বহুতল ভবনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ রেস্তোরাঁ থাকার কথা থাকলেও মানছে না কেউ। 

ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইনপিক ভবনটি পরোটাই ঠাসা রেস্তোরাঁ দিয়ে। ওঠা-নামার একমাত্র পথ লিফট। ভেতরে দুটি সিড়ি থাকলেও একটি বন্ধ গোডাউনে, অন্যটি দখলে সিলিন্ডারে। বারান্দা থাকলেও তা কাচে ঢাকা। এ যেন পুরোই বোমার কারখানা।

টুইনপিক ভবনের নকশা করেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। বেইলি রোড ট্রাজেডির পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে ভবনটি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান এই স্থপতি। নিজের সৃষ্টির এমন অবস্থা দেখে বিষ্মিত তিনি। দাবি করেন, অফিসের জন্য করা ভবন রেস্তোরাঁ বানিয়ে সব কিছুই পাল্টে ফেলেছেন ভবন মালিক ও ব্যবস্যায়ীরা।

মুস্তাফা খালিদ পলাশ বলেন, এটি ডিজাইন করেছিলাম বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে। আমি কোনোভাবেই সেটি কেমিক্যাল গুদাম হিসেবে ডিজাইন করেনি।

একই অবস্থা ধানমন্ডিসহ রাজধানীর বেশিরভাগ ভবনের। রাজধানীতে প্রকৃত অর্থে কেমন ভবন নির্মাণ হওয়া উচিত? এ প্রশ্নে এই স্থপনি জানান, সর্বোচ্চ ১০ ভাগ রেস্তোরাঁ থাকতে পারবে একটি সুউচ্চ বানিজ্যিক ভবনে।

তিনি বলেন, ভবনে রেস্টুরেন্ট দেয়ার ক্ষেতে একটি মাত্রা নিদির্ষ্ট করে দেয়া উচিত। ১০০ পার্স্টেন্ট কোনোভাবেই নয়। এই কালাচার আমি কোথাও দেখিনি। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। 

তাহলে এগুলো দেখবে কারা? সরকারের কয়েকটি সংস্থা এর তদারকির দায়িত্বে থাকলেও শুধু খাবারে ভেজালবিরোধি অভিযানেই সারা। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি ব্রি.জে. আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ বলছেন, সরকারি সংস্থার উদাশীনতা ও আইন না মানার প্রবনতা বাড়াচ্ছে সংকট।

রাজধানীর ৫ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁ থাকলেও ফায়ার সার্টিফিকেট আছে হাজার খানিকের। অন্যান্য সংস্থার অনুমোদনের ধারধারে না কেউ।


সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি’কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি’কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ

JlecBD ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে দাগনভূঁঞা থানায় যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আবুল হাসিম দাগনভূঁঞা থানায় যোগদানের পর থেকেই থানাধীন এলাকায় চুরি-ছিনতাই ইফটিজিং কিশোর গ্যাং মাদকসেবন ও মাদক ক্রয়- বিক্রয়ের সাথে জড়িত এবং  পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারসহ নানান অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন । 

তারাই ধারাবাহিকতায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোনাগাজী সার্কেল  দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম এর সার্বিক তত্তাবধানে এসআই/মোঃ ফখরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অদ্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২৪ ইং রাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৪টি সিআর সাজা প্রাপ্ত যাবৎ আত্নগোপনে থাকা আসামি মর্ডান ব্রীক ফিল্ডের মালিক মোঃ ছালেহ উদ্দিন ছালু’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় দাগনভূঁঞা থানা পুলিশের একটি চৌকস ট্রিম। 

এই বিষয়ে দাগনভূঁঞা থানার ওসি আবুল হাসিম সাংবাদিকদের জানান গ্রেফতারকৃত আসামি সাজা এড়াতে দীর্ঘদিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে আছেন।গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক অদ্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২৪ ইং বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে।