শেয়ার বাজার

বিএনপির মিছিলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফেলেই গ্রেফতার: ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

বিএনপির মিছিলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফেলেই গ্রেফতার: ডিএমপি

বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে ওয়ারেন্টভুক্ত কোনো আসামি যোগ দিলে তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের আমরা গ্রেফতার করছি। আজ বিএনপির প্রোগ্রাম রয়েছে, সেখানে ওয়ারেন্টভুক্ত কোনো আসামি আসলে তাদের গ্রেফতারে আমাদের ব্যপক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রোগ্রামে কোনো আসামি এসেছে কিন্তু আমরা ধরিনি, এমন নয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সবসময়ই তাদের কর্মসূচি পালন করছে। রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে আমরা বাধা দিচ্ছি না।’

আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও ‘অবৈধ সংসদ’ বাতিলের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছে দলটি।

নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল-আরামবাগ মোড় ঘুরে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

Dummy Ad 1

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো ১০ গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো ১০ গুণ

JlecBD ডেস্ক: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। নারী সদস্যের ক্ষেত্রে জামানত ৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ২৮তম কমিশন সভায় ইসি এ অনুমোদন দেয়। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নারী সদস্যদের নির্বাচনী ব্যয় এক লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় একটির বেশি শব্দযন্ত্র (মাইক) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্রের (মাইকের) ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি হতে পারবে না।

জাহাংগীর আলম বলেন, পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচরণার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাঁচজনের অধিক কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না। প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি ৩টি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস রাখা যাবে না। শব্দদূষণ প্রতিরোধে শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের অতিরিক্ত হতে পারবে না। প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার করা যাবে না।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক। সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।


বঙ্গবন্ধু ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক ভিভিআইপি ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক ভিভিআইপি ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসাবে উদযাপিত হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপনে আগামীকাল দেশের সকল সরকারি,আধা-সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল ১৭ই মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি  জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন মহোদয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি মহোদয় এর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আগমন উপলক্ষ্যে  গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক ভিভিআইপি ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত ব্রিফিং প্যারেডে সভাপতিত্ব করেন সুযোগ্য পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা পিপিএম । 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)(প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)(ক্রাইম এন্ড অপস্), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল), সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল), সহকারী পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্), গোপালগঞ্জসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অফিসার-ফোর্সগণ।


বিডিআর বিদ্রোহ
'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

JlecBD ডেস্ক: পনেরো বছর আগে ঘটা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, “অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে।”

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা অর্পন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, “রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেডকোয়ার্টার্স (প্রাক্তন বিডিআর হেডকোয়ার্টার্স ) ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি নেই।”

“চূড়ান্ত বিচার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণই বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে;” তিনি যোগ করেন।

গত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলার সময়, পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলস এর (বর্তমান বিজিবি) কয়েকশ সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।

বিএনপির উদ্বেগ

পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহের সময় নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

পরে মঈন খান বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি; কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে? আর, ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন?

''এছাড়া, ২০১১ সালে একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনো বিলম্বিত হচ্ছে?” তিনি প্রশ্ন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে 'অনেকে জড়িত'

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন যে অনেকে এখানে (পিলখানা হত্যাকাণ্ড) জড়িত ছিলো। এগুলোর তদন্ত শেষ করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড। কাজগুলো শেষ হয়েছে। প্রাথমিক বিচারও হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় বনানীর সামরিক কবরস্থানে তিন বাহিনীর প্রধান, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের নিকটজন উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্রোহের একদিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে। সেই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে, বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা হয়।

হত্যা মামলার বিচারে, ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া, ২৭৭ জন অভিযুক্ত ব্যক্তি খালাস পান।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত, বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

অন্যদিকে, বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।