শেয়ার বাজার

বঙ্গবন্ধু ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক ভিভিআইপি ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

বঙ্গবন্ধু ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক ভিভিআইপি ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসাবে উদযাপিত হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপনে আগামীকাল দেশের সকল সরকারি,আধা-সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল ১৭ই মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি  জনাব মোঃ সাহাবুদ্দিন মহোদয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি মহোদয় এর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আগমন উপলক্ষ্যে  গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে এক ভিভিআইপি ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত ব্রিফিং প্যারেডে সভাপতিত্ব করেন সুযোগ্য পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা পিপিএম । 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)(প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)(ক্রাইম এন্ড অপস্), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল), সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল), সহকারী পুলিশ সুপার( ক্রাইম এন্ড অপস্), গোপালগঞ্জসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অফিসার-ফোর্সগণ।

Dummy Ad 1

কুমিল্লায় ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুমিল্লায় ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি

১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কুমিল্লায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা একমিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়।

শহরের টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমান বাবলু, জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হাবিবুর আল-আমিন সাদী, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান,কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কুমিল্লার সভাপতি আইউব মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. আশিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে উপাচার্য প্রফেসর ড.এএফএম আবদুল মঈনসহ অন্যান্যরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকারী প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

জেলার সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে আজ থেকে ৭২ বছর আগে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির।


সরকারের ‘ছায়ামন্ত্রী’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চমক থাকছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চমক  থাকছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চারবার ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এবার চোখ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এই কমিটির সভাপতি অনেকটা ছায়ামন্ত্রীর মতোই। নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি, তদারকি ও কাজে গতিশীলতা আনতে সংসদীয় কমিটি করার রেওয়াজ আছে সংসদে। আট থেকে ১৫ সংসদ সদস্যের ওই কমিটিতে একজন থাকেন সভাপতি। আর স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাধারণত হন সাবেক মন্ত্রী বা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য।

নির্বাচনের পর নতুন সরকার ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাছে রেখেছেন তিন মন্ত্রণালয়। বাকি ২৫টিতে মন্ত্রী ও ১১টিতে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে মূলত চলবে মন্ত্রণালয়। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের তদারকি করবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদের দফা (১)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদ (ক) সরকারি হিসাব কমিটি, (খ) বিশেষ অধিকার কমিটি এবং (গ) সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে নির্দিষ্ট অন্যান্য স্থায়ী কমিটি গঠন করবে।

নির্বাচনের পর নতুন সরকার ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাছে রেখেছেন তিন মন্ত্রণালয়। বাকি ২৫টিতে মন্ত্রী ও ১১টিতে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে।

দফা (২)-এ সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলির বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কমিটি সংবিধান ও অন্য কোনো আইন সাপেক্ষে (ক) খসড়া বিল ও অন্যান্য আইনগত প্রস্তাব পরীক্ষা করতে পারবে; (খ) আইনের বলবৎকরণ পর্যালোচনা এবং অনুরূপ বলবৎকরণের জন্য ব্যবস্থাদি গ্রহণের প্রস্তাব করতে পারবে; (গ) জনগুরুত্বসম্পন্ন বলে সংসদ কোনো বিষয় সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করলে সে বিষয়ে কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজ বা প্রশাসন বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে পারবে।

কোনো মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি সংগ্রহ এবং প্রশ্নাদির মৌখিক বা লিখিত উত্তর লাভের ব্যবস্থা করতে পারবে। এবং (ঘ) সংসদ কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে সব কমিটির কাজের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংসদীয় কমিটি আছে ৫০টি। এরমধ্যে ৩৯টি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কার্যউপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালি বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, পিটিশন কমিটি, লাইব্রেরি কমিটি, সংসদ কমিটি, বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে কারা আসছেন, এ নিয়েও এখন আলোচনা হচ্ছে। অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়।

কারা হচ্ছেন ছায়ামন্ত্রী?

এবারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন মোহাম্মদ সাদিক বা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বা জাহিদ আহসান রাসেল। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আসতে পারেন। সাবেক মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আসতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বা প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আসতে পারেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকই থাকছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে ফের আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি রওশান আরা মান্নান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু আসতে পারেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বা টিপু মুনশি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বা উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি শাজাহান খান বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে দেওয়া হতে পারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমানকে। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বা কাজী কেরামত আলী। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার হতে পারেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকতে পারেন বর্তমান সভাপতি বেনজির আহমেদ বা বর্তমান কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার হতে পারেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম বা সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অথবা মুজিবুল হককে রাখা হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন এম এ লতিফ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাহাদারা মান্নান বা উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন অ্যাডভোকেট আবু জাহির। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন মহিউদ্দিন আহমেদ।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাক্রম-

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাক্রম-

JlecBD ডেস্ক: ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২ মিনিট: পিলখানায় দরবার শুরু। দরবারে মোট উপস্থিত ছিলেন দুই হাজার ৫৬০ জন।

৯টা ২৬ মিনিট: ডিজির বক্তব্য চলাকালে মঞ্চের বাম দিকের পেছন থেকে দুজন বিদ্রোহী অতর্কিত মঞ্চে প্রবেশ করেন। এদের একজন ছিলেন সশস্ত্র। বিদ্রোহ শুরু হয়।

৯টা ৩০ মিনিট: ডিজি নিজে প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে দ্রুত সেনা হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান।

১০টা ১৫ মিনিট: র‌্যাবের একটি দল পিলখানার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ফটকে পৌঁছায়।

১০টা ৩০ মিনিট: বিদ্রোহীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে দরবার হলে ঢোকেন এবং কর্মকর্তাদের বের হয়ে আসার নির্দেশ দেন। ওইসময় ডিজিকে বৃত্তাকারে ঘিরে কর্মকর্তারা মঞ্চের পেছন দিক থেকে বের হয়ে আসেন।

আনুমানিক ১০টা ৩৫ মিনিট: ডিজির নেতৃত্বে কর্মকর্তারা এক সারিতে দরবার হল থেকে বের হয়ে মাত্র সিঁড়িতে কয়েক পা দিয়েছেন, তখনই বাইরে দাঁড়ানো মুখ বাঁধা সৈনিকরা ব্রাশফায়ার করে। মুহূর্তে ঢলে পড়েন ডিজিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

বেলা ১১টা: বিদ্রোহীরা ম্যাগাজিন ভেঙে গুলি-বারুদ সংগ্রহ করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র লুট করেন তারা। ১১টা নাগাদ সেনাবাহিনীর একটি দল ধানমন্ডির মেডিনোভা ক্লিনিকের সামনে অবস্থান নেয়। বিদ্রোহীরা ১৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। বাইরে থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।

দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পিলখানায় বিদ্রোহীদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছাড়া হয়। এসময় হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। হেলিকপ্টারে ছয়টি গুলি লাগে।

১২টা ৩০ মিনিট: ৩ নম্বর ফটকের সামনে বিডিআরের পক্ষে শতাধিক মানুষের একটি মিছিল হয়। এরপর বিদ্রোহীরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। তারা মাইকে জানান, আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একা আসতে হবে।

১টা ৩০ মিনিট: আলোচনার মাধ্যমে বিদ্রোহীদের নিরস্ত্রীকরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাদা পতাকা নিয়ে ৪ নম্বর ফটকের সামনে যান প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সরকারি দলের হুইপ মির্জা আজম।

বিকেল ৩টা: প্রতিমন্ত্রী নানক, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস ও হুইপ মির্জা আজমের সঙ্গে ফটকের সামনে অবস্থানরত বিডিআর বিদ্রোহীরা কথা বলতে রাজি হন। তারা বিদ্রোহীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে রাজি করান।


৩টা ৪০ মিনিট: তারা ১৪ সদস্যের বিডিআর প্রতিনিধিদলকে নিয়ে সরকারি অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। যমুনায় তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তখন যমুনায় তিন বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের নেতা তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যা ৬টা: আলোচনা শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানক অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, বিডিআর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহী সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন এবং অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

৬টা ৪৫ মিনিট: যমুনা থেকে বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে নানক ও মির্জা আজম পিলখানায় ফেরেন।

সন্ধ্যা ৭টা: প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণাকে গেজেট আকারে প্রকাশের দাবি করেন এবং আগের মতো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন জওয়ানরা।

রাত ৮টা: ধানমন্ডির হোটেল আম্বালা-ইনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে বিদ্রোহীদের আরেকটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক শুরু। নানক ও মির্জা আজম, পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজি, গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ছিলেন।

এর আগে সন্ধ্যার পর পিলখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্মকর্তাদের মরদেহ সরানো শুরু ও পুঁতে ফেলা হয়।

২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১টা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী ও আইজিপি পিলখানার ভেতরে যান এবং বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

রাত ১টা ৩০ মিনিট: বিদ্রোহীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কিছু অস্ত্র সমর্পণ করেন।

২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১০ মিনিট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আটকে পড়া ১৫ জন জিম্মিকে বের করে আনেন।

সকাল সাড়ে ৯টা: মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সংসদ সদস্য তাপস বিডিআর সদর দপ্তরের ৪ নম্বর ফটকে উপস্থিত হন।

সকাল ১০টা: যমুনায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ ও মহাজোটের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠক শুরু।

বেলা ১১টা ৩০ মিনিট: প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিট: সংসদ সদস্য মাহবুব আরা ও সেগুফতা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধিদল পিলখানায় যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা তিন সেনা কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের বের করে আনেন। একই সময়ে হোটেল আম্বালায় মতিয়া চৌধুরী ও এরশাদসহ অন্যদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের বৈঠক ভেঙে যায়।

বিদ্রোহীদের দুপুর ২টার মধ্যে সব অস্ত্র জমা দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। পিলখানার মূল ফটকে জওয়ানদের আবার গুলিবর্ষণ।

দুপুর ২টা ৩০ মিনিট: সরকারের ১২ সদস্যের মধ্যস্থতাকারী কমিটি গঠন। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে এই কমিটি পিলখানায় যায়। কমিটি বিদ্রোহীদের সঙ্গে হোটেল আম্বালায় আবার বৈঠক করে।

টেলিভিশন ও বেতারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার। বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ভাষণের পর বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন।

বিকেল ৪টা: হোটেল আম্বালায় অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের বৈঠক। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নানক ও মির্জা আজম পিলখানার ভেতরে যান।

বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ শুরু।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট: সমর্পিত অস্ত্র হেফাজতে নিতে পিলখানায় পুলিশের প্রবেশ। রাতে পুলিশ পিলখানায় অবস্থান নেয়।

রাত ৮টা ৩০ মিনিট: পিলখানা থেকে বেরিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা—পরিস্থিতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মামলার রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন

২০০৯ সালের বর্বরোচিত এ ঘটনার পর দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এরমধ্যে বিস্ফোরক মামলাটির শুনানি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে ৮৫০ আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জনকে খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার আগেই মারা যান চার আসামি।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিপরীতে আসামিরা উচ্চ আদালতে যান। শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ৫৫২ জনকে বিচারের আওতায় এনে বাকি ২৮৩ জনকে খালাস দেন আদালত।

উচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালে আরও ১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট ৮৩৫ জনের বিরুদ্ধে শুনানি হয় আলোচিত এ মামলায়।

নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। আটজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এরপর আসামিদের অনেকেই আপিল বিভাগে আপিল করেন, যার শুনানি এখনো শুরু হয়নি। আর বিস্ফোরক মামলাটির বিচার এখনো চলছে নিম্ন আদালতেই।

বিডিআর পুনর্গঠন ও বিজিবি গঠন

পিলখানায় এ বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যায়। শুরু হয় বিডিআর পুনর্গঠনের কাজ। বিডিআরের নাম, পোশাক, লোগো ও সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করা হয়। জাতীয় সংসদে ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০’ পাস হয়। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি বাহিনীর সদরদপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন এবং মনোগ্রাম উন্মোচন করেন। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ বাহিনীর নতুন পথচলা।