শেয়ার বাজার

ডিজিটাল ভূমি জরিপ কিভাবে হবে? পুরনো জরিপ বাতিলের অর্থ কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল ভূমি জরিপ কিভাবে হবে? পুরনো জরিপ বাতিলের অর্থ কী?

বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল জরিপ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সংসদে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবে। এই ডিজিটাল জরিপ কিভাবে হবে? তাছাড়া পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবার অর্থ কী?

ভূমিমন্ত্রী দাবি করছেন, ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা কমে আসবে। ফলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও হয়রানিও কমবে। ডিজিটাল পদ্ধতি বা ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ভূমির জরিপ পরিচালনাকে ডিজিটাল সার্ভে বলা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে খুব সহজেই জমি পরিমাপ করা যাবে এবং একই সাথে জমির মালিকানা ও মাপের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এই অঞ্চলে প্রথম ভূমি জরিপ শুরু হয়েছিল ১৮৮৮ সালে কক্সবাজার জেলার রামু থেকে। ওই জরিপের নামকরণ করা হয় সিএস জরিপ। এই জরিপ শেষ হয় ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায়। এরপর ধাপে ধাপে আরএস, এসএ, পিএস এবং সবশেষ বিএস জরিপ সম্পন্ন হয়। পুরনো পদ্ধতির জরিপে ফিতা টেনে দিয়ে জমির মাপ নিয়ে ম্যাপ তৈরি করা হতো।বেশ কয়েকটি জরিপ পরিচালনার পরও ভূমির জটিলতা কাটেনি।

মঙ্গলবার সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল, ২০২৩’ পাশের আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সার্ভে পর্যায়ক্রমে হবে, এগুলো আসবে। আর ইতোমধ্যে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে সব বাতিল। এটা আমি সংসদে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করতে চাই।’ ফলে চলমান বিএস জরিপ যে অবস্থায় রয়েছে সেই অবস্থাতেই বাতিল হবে কী-না সে বিষয়টি মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়নি। তবে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, যখন কোন জমির ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হবে, তখন আগের জরিপ বাতিল হয়ে যাবে। ডিজিটাল জরিপ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে জরিপ চলেছে সেটা বহাল থাকবে।

ইতোমধ্যে পটুয়াখালী ও বরগুনাতে ডিজিটাল জরিপের পাইলট প্রোগ্রাম চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ধামরাইয়ে এই ডিজিটাল জরিপের কাজ চলছে বলে অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সফল হলে এই জরিপের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে ডিজিটাল জরিপের সক্ষমতা অর্জনে গত বছর এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ বছর মেয়াদি ডিজিটাল সার্ভের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত জমির মানচিত্র ও রেকর্ড সমন্বয় করা হবে। এতে ভূমি মালিক ওয়েবসাইটে গেলে ম্যাপ ও খতিয়ান দুটি একসাথে পেয়ে যাবেন। এজন্য ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হচ্ছে। সকল ডাটা ক্লাউড বেইজ সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোন উড়িয়ে জমির পূর্ণ ছবি ধারণ করা হবে। স্যাটেলাইট ইমেজিং-এর মাধ্যমে জমির অবস্থান ও মাপ নিশ্চিত করা হবে।

স্যাটেলাইট ইমেজ কিনে সেটা মৌজা ম্যাপের সাথে সমন্বয় করে ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি করা হবে। এর ফলে কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় ও বনভূমি রক্ষাসহ জমির পরিকল্পিত ব্যবহার করাও সম্ভব হবে। এছাড়া ইটিএস এর মাধ্যমে জমির নির্ভুল পরিমাপ করতে বা প্লট ভাগ করা হবে। প্লট টু প্লট জরিপ সম্পন্ন হলে সরকারি ও বেসরকারি মালিকানার তথ্যটি সহজেই জানা যাবে।এ ধরণের জরিপে জমির পরিমাণ, জমির আইলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, আকার ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ মাপ সম্পর্কে জানা যাবে এবং পরিমাপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। জরিপ অধিদপ্তর বলছে, একবার ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হলে প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরনের ভূমির বিচ্যুতি ছাড়া মাঠে গিয়ে বার বার জরিপ করার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান একসাথে পাওয়া যাবে।

ভূমি জরিপ অধিদপ্তর আশা করছে এতে ভূমি ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন হবে, আদালতের মামলা কমবে, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে ভূমি জরিপ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত কোন এলাকায় ডিজিটাল জরিপ শুরু করার আগে সেখানকার পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে না হলে মাইকিং করে এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হয় এবং ব্যাপক জনসংযোগ করা হয়। এর মাধ্যমে মূলত সেখানকার জমির মালিকদের জানানো হয়। তারা যে নিজ নিজ জমির সীমানা চিহ্নিত করেন এবং জমির মালিকানার কাগজপত্র যেমন - দলিল, নামজারি ও খাজনা পরিশোধ কাগজপত্র হালনাগাদ অবস্থায় কাছে রাখেন। এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির জমির তথ্য যাচাই বাছাই করা হবে। কোন সমস্যা না থাকলে মালিকানার তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করা হবে। পুরনো পদ্ধতির জরিপে দেখা যেতো একটি খতিয়ানের একাধিক মালিক রয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেই সুযোগ আর থাকছে না।

Dummy Ad 1

এস আলমের পোড়া চিনি-কেমিক্যাল পড়ে দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি,মরছে মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ, ২০২৪

এস আলমের পোড়া চিনি-কেমিক্যাল পড়ে দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি,মরছে মাছ

চট্টগ্রামের এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে আগুনে পুড়ে যাওয়া চিনি ও কেমিক্যাল ফেলা হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও কাঁকড়া।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এস আলম সুগার মিলের নালা দিয়ে পোড়া বর্জ্য আসছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে নদীর পানি তামাটে রং ধারণ করেছে। নদীর তীরে মাছ কুড়াচ্ছে শত শত মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে ফেলা কেমিক্যাল বর্জ্য কর্ণফুলী নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে নদীর পানির রং পরিবর্তনের পাশাপাশি মারা যাচ্ছে মাছ, চিংড়ি-কাঁকড়াসহ নানান জলজ প্রাণী।

শুধু কর্ণফুলী নদীতেই ফেলা হচ্ছে না চিনি মিলের পোড়া বর্জ্য। কারখানার আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়ও যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

দুুপুর ১২টার দিকে এস আলম সুগার মিলের সামনের রাস্তায় চলাচলরত শিক্ষার্থীদের সমস্যা পোহাতে দেখা যায়। মিল থেকে পোড়া বর্জ্য ট্রাকে করে ফেলা হচ্ছে রাস্তার পাশে ও খোলা জমিতে।

ইছানগর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘এসব কারখানার বর্জ্য নিয়মিতই নদীতে ফেলা হয়। এখন রাস্তাঘাট ও জমিতে ফেলছে, এতে আমাদের পরিবার ও স্বজনরা অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত থেকে নদীতে মরা মাছ ভেসে আসছে। এছাড়া নানান জাতের মাছ কূলে আসছে, এলাকার মানুষ তা সংগ্রহ করছে।

জাহেদুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে নদীতে মাছ ভেসে আসার খবরে এখানে এসেছি। এখানে কেউ জাল দিয়ে আবার কেউ হাতেই মাছ ধরছে। চিনিকলের বর্জ্যে নদীর পানির রং নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক মাছ এরই মধ্যেই মারা গেছে। কিছু দুর্বল হয়ে জালে আসছে।’


অনেকের মতো নদীতে মাছ ধরতে এসেছে শিশু নাহিদ। সে জানায়, কেমিক্যালের কারণে মাছ মারা যাচ্ছে শুনে নদীতে আসা। অনেকেই মাছ ধরছে নদীতে। দুই ঘণ্টায় এক কেজির কাছাকাছি মাছ পেয়েছে সে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনির দাহ্য পদার্থ যখন ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে তখন বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নেয়। আর সেখানে পানি ছাড়া হলে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কার্বন তৈরি হয়। যে কারণে কারখানায় পোড়া চিনি বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নিয়ে নদী দূষণ করছে। যার কারণে নদীর মাছসহ সব ধরনের জলজ প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নদী গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া জাগো নিউজকে বলেন, পুড়ে যাওয়া চিনি বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নিয়েছে। এতে পানির কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে পানিতে অক্সিজেনের শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এ কারণে পানিতে থাকা জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে নদীর মাছ মারা যাচ্ছে। এতে কর্ণফুলী নদীর পানি এবং জীববৈচিত্র্যের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হলো।

ড. ইদ্রিস আলী বলেন, শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আগে ডাম্পিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখার প্রয়োজন ছিল। এটি না করায় কারখানা থেকে পোড়া বর্জ্য পড়ে কর্ণফুলী নদী দূষিত করে তুলছে। যাতে ক্ষতি হবে মৎস্য সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য। এতে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তা আর পূরণ হবে না। এজন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও সজাগ হওয়া উচিত ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় পুড়ে যাওয়া চিনি নালার মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল। এখন আমরা ট্রাকে জমিতে পুঁতে ফেলছি।’

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে ফেলার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তদন্ত পরবর্তীসময়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে সংবাদকর্মীদের খবর সংগ্রহে মিলে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
আগামী ৪ মে শুরু ভোটগ্রহণ, চলবে চার ধাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আগামী ৪ মে শুরু ভোটগ্রহণ, চলবে চার ধাপে

JlecBD ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। সারাদেশে চার ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। আগামী ৪ মে প্রথম ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে তা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে ২৭তম কমিশন সভা শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।

ইসি সচিব জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা, পবিত্র রমজান মাস ও বর্ষাকাল— এ তিনটি বিষয় নিয়ে ভাবছে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন উপযোগী উপজেলার সংখ্যা ৪৫২টি। চার ধাপে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ তথা শেষ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক হয়।

ইসি সচিব আরও জানান, প্রথম ধাপে ৪ মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত তফসিল ও উপজেলার নাম জানানো হবে।

দেশে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ। পাঁচ ধাপের ওই ভোট শেষ হয় গত বছরের জুন মাসে।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চলতি বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ আরও কিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন করতে হবে ইসিকে। সারাদেশে উপজেলা পরিষদ রয়েছে ৪৯৫টি। সাধারণত সব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন করা হয় না। একাধিক ধাপে এ নির্বাচন হয়। এবারও ধাপে ধাপে নির্বাচন করার চিন্তা করছে ইসি।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। বর্তমানে দেশে ৪৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপযোগী হয়ে আছে। জুনের মধ্যে এসব উপজেলায় নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া আগামী মার্চের মধ্যে অল্পসংখ্যক ছাড়া প্রায় সবগুলো উপজেলা নির্বাচন উপযোগী হবে।


মেডিকেল ভর্তির ফল প্রকাশ, প্রথম তানজিম মুনতাকা সর্বা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মেডিকেল ভর্তির ফল প্রকাশ, প্রথম তানজিম মুনতাকা সর্বা

JlecBD ডেস্ক: উত্তীর্ণদের মধ্যে ৫ হাজার ৩৮০ জন দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে প্রথম হয়েছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা।

এক ঘণ্টা সময়ের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৯২ দশমিক ৫ নম্বর। ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

গত শুক্রবার সকালে দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি ভেনুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা হয়। এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিল।

তাদের মধ্যে পাস নম্বর ৪০ বা তার বেশি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

উত্তীর্ণদের মধ্যে ৫ হাজার ৩৮০ জন দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে মেধা কোটার ৫০৭২টি আসনের মধ্যে ২ হাজার ১৯৪ জন ছাত্র এবং ২ হাজার ৮৭৮ জন ছাত্রী।

এর বাইরে ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ করা হবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম ও পছন্দের ভিত্তিতে।

যারা ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা https://result.dghs.gov.bd/mbbs ওয়েবসাইট থেকে রোল নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারবেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের https://dgme.portal.gov.bd/ ওয়েবসাইটেও ফলাফলের তথ্য প্রকাশ করা হবে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী ১৮ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে।