শেয়ার বাজার

দিনাজপুরে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নারীকে দীর্ঘদিন ‘ধর্ষণ’, আ.লীগ নেতা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

দিনাজপুরে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নারীকে দীর্ঘদিন ‘ধর্ষণ’, আ.লীগ নেতা আটক

দিনাজপুর হিলি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হিলিতে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় হিলি মুন্না মটরস এর মালিক মুশফিকুর রহমান মুন্না (৪২)কে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আজ শনিবার (১৬ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার বোয়ালদাড় গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে।

হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ দুলাল হোসেন বলেন, কৌশলে বিয়ের নাটক সাজিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় আসামি, হিলি মুন্না মটরস এর মালিক মুশফিকুর রহমান মুন্না (৪২) কে আজ শনিবার ভোররাতে তার নিজ বাড়ি বোয়ালদাড় থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামির বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানার মামলা নং ১৫ তারিখ-১৬/০৩/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২০ এর ৯(১) তৎসহ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৮(১) ও ৮(৩) ধারা রুজ্জু করিয়া আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Dummy Ad 1

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মোদীর চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ মার্চ, ২০২৪

বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মোদীর চিঠি

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শনিবার (২ মার্চ) ঢাকায় ভারতের হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

চিঠিতে ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আন্তরিক শোক প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদী বলেন, এই দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত। একই সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনা ও প্রার্থনা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে থাকবে।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যাতায়তে রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রি বাস।

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যাতায়তে রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রি বাস।

রাংগুনিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় রাঙ্গুনিয়ার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও  রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরামের প্রধান পৃষ্টপোষক ড. হাছান মাহমুদ এমপি'র তত্ত্বাবধানে ফ্রি বাস সাভিস চালু করা হয়েছে।  

বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় রাঙ্গুনিয়া থেকে ভর্তি পরীক্ষায় যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের পথের দূর্ভোগটা কমবে।’

শনিবার (২ মার্চ) সকালে  “রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্ট ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়” সংগঠনের উদ্যোগে এ. বি.সি.ও ডি. ইউনিটে ৪ দিনের ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করা হয়। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন “রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্ট ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়” সংগঠনের সহযোগিতায় প্রতিদিন বাস সার্ভিস রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজারহাট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যাবে।

কয়েক বছর ধরে রাঙ্গুনিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য সেবাটি চলছে। বাস সার্ভিস উদ্বোধনীতে  উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের শাখার সভাপতি বি. কে লিটন চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতি রাসেল রাসু,রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্ট'স ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোস্তফা আজিজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিনা চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি মুহাম্মদ আবু মোকাররম দস্তগীর, সাধারণ সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া প্রমুখ। বাসটি ৪৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীও অভিভাবককে নিয়ে ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন করে।


ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪

ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা

ঢাকার ৮০ শতাংশ রেস্তোরাঁ যেন বোমা তৈরির কারখানা। নগরীর ৫ হাজার রেস্তোরাঁর মধ্যে অগ্নিনিরাপত্তা সনদ আছে হাজারখানেকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি বহুতল ভবনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ রেস্তোরাঁ থাকার কথা থাকলেও মানছে না কেউ। 

ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইনপিক ভবনটি পরোটাই ঠাসা রেস্তোরাঁ দিয়ে। ওঠা-নামার একমাত্র পথ লিফট। ভেতরে দুটি সিড়ি থাকলেও একটি বন্ধ গোডাউনে, অন্যটি দখলে সিলিন্ডারে। বারান্দা থাকলেও তা কাচে ঢাকা। এ যেন পুরোই বোমার কারখানা।

টুইনপিক ভবনের নকশা করেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। বেইলি রোড ট্রাজেডির পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে ভবনটি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান এই স্থপতি। নিজের সৃষ্টির এমন অবস্থা দেখে বিষ্মিত তিনি। দাবি করেন, অফিসের জন্য করা ভবন রেস্তোরাঁ বানিয়ে সব কিছুই পাল্টে ফেলেছেন ভবন মালিক ও ব্যবস্যায়ীরা।

মুস্তাফা খালিদ পলাশ বলেন, এটি ডিজাইন করেছিলাম বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে। আমি কোনোভাবেই সেটি কেমিক্যাল গুদাম হিসেবে ডিজাইন করেনি।

একই অবস্থা ধানমন্ডিসহ রাজধানীর বেশিরভাগ ভবনের। রাজধানীতে প্রকৃত অর্থে কেমন ভবন নির্মাণ হওয়া উচিত? এ প্রশ্নে এই স্থপনি জানান, সর্বোচ্চ ১০ ভাগ রেস্তোরাঁ থাকতে পারবে একটি সুউচ্চ বানিজ্যিক ভবনে।

তিনি বলেন, ভবনে রেস্টুরেন্ট দেয়ার ক্ষেতে একটি মাত্রা নিদির্ষ্ট করে দেয়া উচিত। ১০০ পার্স্টেন্ট কোনোভাবেই নয়। এই কালাচার আমি কোথাও দেখিনি। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। 

তাহলে এগুলো দেখবে কারা? সরকারের কয়েকটি সংস্থা এর তদারকির দায়িত্বে থাকলেও শুধু খাবারে ভেজালবিরোধি অভিযানেই সারা। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি ব্রি.জে. আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ বলছেন, সরকারি সংস্থার উদাশীনতা ও আইন না মানার প্রবনতা বাড়াচ্ছে সংকট।

রাজধানীর ৫ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁ থাকলেও ফায়ার সার্টিফিকেট আছে হাজার খানিকের। অন্যান্য সংস্থার অনুমোদনের ধারধারে না কেউ।