শেয়ার বাজার

কিশোর গ্যাং
দুইদিনে গ্রেফতার ৭৫ জামিনে সুপারিশ করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

দুইদিনে গ্রেফতার ৭৫ জামিনে সুপারিশ করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে গত দুদিনে ৭৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি বলছে, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে বর্তমানে ধনীর সন্তানরাও জড়িয়ে যাচ্ছে। তারা মারামারিসহ হত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। কিশোর গ্যাংবিরোধী ধারাবাহিক অভিযান চলবে। তাদের জামিনের বিষয়ে কেউ সুপারিশ নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, দুদিনে ৭৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্বের কারণে সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাই, ইভটিজিং, হুমকি দেওয়া, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা পরিস্থিত সৃষ্টি করে। এ কাজগুলো তারা দলবদ্ধ হয়ে করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা নামে প্রভাব বিস্তার করে আসছে তারা।

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়োং স্টার, বিগবস, ডিস্কো বয়েজ, বন্ধুমহল, শীল বিষু গ্যাং, পারভেজ গ্রুপ, রুস্তম গ্রুপ, ইয়োং স্টার গ্রুপ, নাইনএমএম গ্রুপ, নাইন স্টার গ্রুপ, রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বল গ্রুপের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো মাদক, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছে। তাদের কিছু বড় ভাইয়ের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এমনকি তারা চুরি-ছিনতাই করে আসছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গত দুই বছরে ৩৪ জন কিশোর নিহত হয়েছে।


হারুন অর রশীদ আরও বলেন, একসময় মনে করতাম ভাসমান ও নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানরা কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িত হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যবিত্ত, ধনীদের আলালের ঘরে দুলালরাও কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের পোশাক, চুলের কাটিং চলাফেরা সবই ভীতিকর। এসব ধনীর সন্তানরা প্রথমে মাদকসেবন, পরে মাদক বিক্রিতেও জড়িয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তারা এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক বড় ভাই আবার কখনো কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে থেকে তারা হত্যার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরদের ছত্রচ্ছায়ার অভিযোগ রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিন ৭৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সবাই কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িত থাকার কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।

কিশোর গ্যাং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, এখন যে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে। এসব কিশোর স্কুলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে মাদকসেবনের মতো উশৃঙ্খল জীবন-যাপন করছে। গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। তবে আমি মনে করি অভিভাকদের উচিত তার সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে তার খোঁজ রাখা। পাশাপাশি মা-বাবার উচিত সন্তানদের সময় দেওয়া। গ্রেফতার করে কিশোর গ্যাং দমন করা যাবে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।

কিশোর গ্যাংয়ের আশ্রয় দেওয়া বড় ভাইদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক বড় ভাইয়ের নাম পেয়েছি। এসব নাম তদন্ত করে দেখবো কারা কারা কিশোর গ্যাং সদস্যদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তবে আমি মনে করি এসব কিশোর গ্যাংয়ের নানা অপরাধ করার তথ্যতো কাউন্সিলররা জানেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা কিন্তু বড় বা রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি করে। মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ করে। কিশোর গ্যাংয়ের এমন দৌরাত্ম্যের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পরিবারের সদস্যদের কিশোর গ্যাং দমনে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর গ্যাংবিরোধী ধারাবাহিক অভিযান চলবে। এ বিষয়ে কেউ সুপারিশ নিয়ে এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Dummy Ad 1

বিডিআর বিদ্রোহ
'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

JlecBD ডেস্ক: পনেরো বছর আগে ঘটা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, “অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে।”

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা অর্পন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, “রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেডকোয়ার্টার্স (প্রাক্তন বিডিআর হেডকোয়ার্টার্স ) ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি নেই।”

“চূড়ান্ত বিচার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণই বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে;” তিনি যোগ করেন।

গত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলার সময়, পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলস এর (বর্তমান বিজিবি) কয়েকশ সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।

বিএনপির উদ্বেগ

পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহের সময় নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

পরে মঈন খান বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি; কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে? আর, ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন?

''এছাড়া, ২০১১ সালে একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনো বিলম্বিত হচ্ছে?” তিনি প্রশ্ন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে 'অনেকে জড়িত'

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন যে অনেকে এখানে (পিলখানা হত্যাকাণ্ড) জড়িত ছিলো। এগুলোর তদন্ত শেষ করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড। কাজগুলো শেষ হয়েছে। প্রাথমিক বিচারও হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় বনানীর সামরিক কবরস্থানে তিন বাহিনীর প্রধান, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের নিকটজন উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্রোহের একদিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে। সেই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে, বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা হয়।

হত্যা মামলার বিচারে, ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া, ২৭৭ জন অভিযুক্ত ব্যক্তি খালাস পান।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত, বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

অন্যদিকে, বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।


এস আলমের পোড়া চিনি-কেমিক্যাল পড়ে দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি,মরছে মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৬ মার্চ, ২০২৪

এস আলমের পোড়া চিনি-কেমিক্যাল পড়ে দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি,মরছে মাছ

চট্টগ্রামের এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে আগুনে পুড়ে যাওয়া চিনি ও কেমিক্যাল ফেলা হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও কাঁকড়া।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এস আলম সুগার মিলের নালা দিয়ে পোড়া বর্জ্য আসছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে নদীর পানি তামাটে রং ধারণ করেছে। নদীর তীরে মাছ কুড়াচ্ছে শত শত মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে ফেলা কেমিক্যাল বর্জ্য কর্ণফুলী নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে নদীর পানির রং পরিবর্তনের পাশাপাশি মারা যাচ্ছে মাছ, চিংড়ি-কাঁকড়াসহ নানান জলজ প্রাণী।

শুধু কর্ণফুলী নদীতেই ফেলা হচ্ছে না চিনি মিলের পোড়া বর্জ্য। কারখানার আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়ও যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

দুুপুর ১২টার দিকে এস আলম সুগার মিলের সামনের রাস্তায় চলাচলরত শিক্ষার্থীদের সমস্যা পোহাতে দেখা যায়। মিল থেকে পোড়া বর্জ্য ট্রাকে করে ফেলা হচ্ছে রাস্তার পাশে ও খোলা জমিতে।

ইছানগর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘এসব কারখানার বর্জ্য নিয়মিতই নদীতে ফেলা হয়। এখন রাস্তাঘাট ও জমিতে ফেলছে, এতে আমাদের পরিবার ও স্বজনরা অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত থেকে নদীতে মরা মাছ ভেসে আসছে। এছাড়া নানান জাতের মাছ কূলে আসছে, এলাকার মানুষ তা সংগ্রহ করছে।

জাহেদুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকালে নদীতে মাছ ভেসে আসার খবরে এখানে এসেছি। এখানে কেউ জাল দিয়ে আবার কেউ হাতেই মাছ ধরছে। চিনিকলের বর্জ্যে নদীর পানির রং নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক মাছ এরই মধ্যেই মারা গেছে। কিছু দুর্বল হয়ে জালে আসছে।’


অনেকের মতো নদীতে মাছ ধরতে এসেছে শিশু নাহিদ। সে জানায়, কেমিক্যালের কারণে মাছ মারা যাচ্ছে শুনে নদীতে আসা। অনেকেই মাছ ধরছে নদীতে। দুই ঘণ্টায় এক কেজির কাছাকাছি মাছ পেয়েছে সে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনির দাহ্য পদার্থ যখন ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে তখন বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নেয়। আর সেখানে পানি ছাড়া হলে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কার্বন তৈরি হয়। যে কারণে কারখানায় পোড়া চিনি বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নিয়ে নদী দূষণ করছে। যার কারণে নদীর মাছসহ সব ধরনের জলজ প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নদী গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া জাগো নিউজকে বলেন, পুড়ে যাওয়া চিনি বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নিয়েছে। এতে পানির কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে পানিতে অক্সিজেনের শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এ কারণে পানিতে থাকা জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে নদীর মাছ মারা যাচ্ছে। এতে কর্ণফুলী নদীর পানি এবং জীববৈচিত্র্যের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হলো।

ড. ইদ্রিস আলী বলেন, শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আগে ডাম্পিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখার প্রয়োজন ছিল। এটি না করায় কারখানা থেকে পোড়া বর্জ্য পড়ে কর্ণফুলী নদী দূষিত করে তুলছে। যাতে ক্ষতি হবে মৎস্য সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য। এতে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তা আর পূরণ হবে না। এজন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও সজাগ হওয়া উচিত ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় পুড়ে যাওয়া চিনি নালার মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল। এখন আমরা ট্রাকে জমিতে পুঁতে ফেলছি।’

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে ফেলার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তদন্ত পরবর্তীসময়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে সংবাদকর্মীদের খবর সংগ্রহে মিলে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।



রাউজানের পুর্বগুজরায় পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে খাদ্যপন্য বিক্রয় চলমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ, ২০২৪

রাউজানের পুর্বগুজরায় পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে খাদ্যপন্য বিক্রয় চলমান

পবিত্র মাহে রমজানে রাউজানবাসীর সুবিধার্থে রাউজানের এমপি জননেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির পৃষ্ঠপোষকতায় সূলভ মূল্যে মহিষের মাংস,ডিম,দুধ বিক্রয় করা হয়েছে। 

৩১ (মার্চ) রবিবার সকাল ১১ ঘটিকা ১০ নং পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে যৌথ ব্যবস্হাপনায় পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন অলিমিয়াহাট স্হায়ী কার্যালয়ে সুলভ মূল্যে এই খাদ্যপন্য বিক্রয় করা হয়। 

এতে মুটোফোনে বক্তব্যের  মাধ্যমে এই খাদ্য পন্য বিক্রয় এর শুভ উদ্বোধন করেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। 

এছাড়াও ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিদারুল আলম এর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব,পূর্বগুজরা ইউপি সচিব ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ,থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম বাহাদুর ,  দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন , সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মফজ্জল হোসেন , থানা কৃষকলীগের সভাপতি আজগর চৌধুরী, কৃষকলীগ নেতা রিটন চৌধুরী , ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রুবিনা ইয়াসমিন রুজি, ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী  , ইউপি সদস্য বিশ্বজিত চৌধুরী , মোহাম্মদ বাবুল , উজ্জল বড়ুয়া , সজল মহাজন, বকুল বড়ুয়া, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বিনা চৌধুরী , আওয়ামীলীগ নেতা স্বপন  চৌধুরী, ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক  রেজাউল করিম,  থানা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য  সালাউদ্দিন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য মাসুদ হাসান , আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল কবির , সমাজ সেবক নুরুল কবির প্রমুখ