শেয়ার বাজার

সরকারের ‘ছায়ামন্ত্রী’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চমক থাকছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চমক  থাকছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চারবার ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এবার চোখ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এই কমিটির সভাপতি অনেকটা ছায়ামন্ত্রীর মতোই। নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি, তদারকি ও কাজে গতিশীলতা আনতে সংসদীয় কমিটি করার রেওয়াজ আছে সংসদে। আট থেকে ১৫ সংসদ সদস্যের ওই কমিটিতে একজন থাকেন সভাপতি। আর স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাধারণত হন সাবেক মন্ত্রী বা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য।

নির্বাচনের পর নতুন সরকার ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাছে রেখেছেন তিন মন্ত্রণালয়। বাকি ২৫টিতে মন্ত্রী ও ১১টিতে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে মূলত চলবে মন্ত্রণালয়। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাজের তদারকি করবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদের দফা (১)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদ (ক) সরকারি হিসাব কমিটি, (খ) বিশেষ অধিকার কমিটি এবং (গ) সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে নির্দিষ্ট অন্যান্য স্থায়ী কমিটি গঠন করবে।

নির্বাচনের পর নতুন সরকার ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাছে রেখেছেন তিন মন্ত্রণালয়। বাকি ২৫টিতে মন্ত্রী ও ১১টিতে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে।

দফা (২)-এ সংসদীয় কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলির বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কমিটি সংবিধান ও অন্য কোনো আইন সাপেক্ষে (ক) খসড়া বিল ও অন্যান্য আইনগত প্রস্তাব পরীক্ষা করতে পারবে; (খ) আইনের বলবৎকরণ পর্যালোচনা এবং অনুরূপ বলবৎকরণের জন্য ব্যবস্থাদি গ্রহণের প্রস্তাব করতে পারবে; (গ) জনগুরুত্বসম্পন্ন বলে সংসদ কোনো বিষয় সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করলে সে বিষয়ে কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজ বা প্রশাসন বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে পারবে।

কোনো মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি সংগ্রহ এবং প্রশ্নাদির মৌখিক বা লিখিত উত্তর লাভের ব্যবস্থা করতে পারবে। এবং (ঘ) সংসদ কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে সব কমিটির কাজের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংসদীয় কমিটি আছে ৫০টি। এরমধ্যে ৩৯টি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। বাকিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কার্যউপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালি বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, পিটিশন কমিটি, লাইব্রেরি কমিটি, সংসদ কমিটি, বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে কারা আসছেন, এ নিয়েও এখন আলোচনা হচ্ছে। অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়।

কারা হচ্ছেন ছায়ামন্ত্রী?

এবারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন মোহাম্মদ সাদিক বা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বা জাহিদ আহসান রাসেল। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আসতে পারেন। সাবেক মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আসতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই কমিটিগুলো করেন সংসদ নেতা নিজেই। চিফ হুইপ বা স্পিকার সংসদ নেতার অনুমোদনক্রমে এগুলো সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা গ্রহণ করে সংসদ। স্বভাবতই সাবেক মন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ অথবা জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বা প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু আসতে পারেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকই থাকছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে ফের আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি রওশান আরা মান্নান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু আসতে পারেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বা টিপু মুনশি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বা উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন বর্তমান সভাপতি শাজাহান খান বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে দেওয়া হতে পারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমানকে। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বা কাজী কেরামত আলী। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার হতে পারেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকতে পারেন বর্তমান সভাপতি বেনজির আহমেদ বা বর্তমান কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার হতে পারেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে বর্তমান সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম বা সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অথবা মুজিবুল হককে রাখা হতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন এম এ লতিফ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সাহাদারা মান্নান বা উম্মে কুলসুম স্মৃতি। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন অ্যাডভোকেট আবু জাহির। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হতে পারেন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
Dummy Ad 1

চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্বে সভাপতি তৌহিদ, সম্পাদক সোহাগ, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মহিন উদ্দিন স্বপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪

চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্বে সভাপতি তৌহিদ, সম্পাদক সোহাগ, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মহিন উদ্দিন স্বপন

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের আয়োজনে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে চৌদ্দগ্রামের একটি হোটেলে এক সাধারণ সভায় উক্ত কমিটি গঠিত হয়। কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের কলামের সম্পাদক ও প্রকাশক তৌহিদ মাহমুদ অপুকে সভাপতি এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বাধীন ভোরের সম্পাদক’ মোঃ সোহাগ মিয়াজীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক জনকন্ঠের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ও কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক মীর শাহ আলম। চৌদ্দগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক এমএ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক জগলুল কবির নাসির, মীর মাজহারুল হক রণি, নাসির উদ্দিন, আরিফুর রহমানসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

২১ সদস্যের কমিটির অন্য পদে নির্বাচিতরা হলেন সহ-সভাপতি এম এ মান্নান, আবদুল মমিন ভূঁইয়া মীরু, আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রুবেল মজুমদার, এমএ আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন মজুমদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন ফারুক, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মহিন উদ্দিন স্বপন, দপ্তর সম্পাদক আবদুর রউফ, সহ দপ্তর সম্পাদক সবুজ খন্দকার, অর্থ সম্পাদক আতাউর রহমান রিপন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিউল আলম, সহ প্রচার সম্পাদক খুশি কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশিকুর রহমান। 

কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন, এম এ কুদ্দুস, জগলুল কবির নাসির, মীর মাজহারুল হক রণি, আরিফুর রহমান মজুমদার, আকতার হোসেন সাদ্দাম, শরিফুল ইসলাম মজুমদার । 

উল্লেখ যে, চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের কমিটির মেয়াদ ৬মাস আগে শেষ হওয়ায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২৯/০২/২০২৪ইং তারিখে চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের এক সাধারণ সভা অনুষ্টিত হয়। উক্ত সাধারণ সভায় সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় ১৯শে মার্চ-২০২৪ তারিখে পূনরায় একটি সাধারণ সভা অনুষ্টিত হবে এবং সেই সভায় নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ (১৯ মার্চ) মঙ্গলবার জরুরী এক সাধারন সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে উক্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পূর্বে চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের বিপুল সংখক নেতৃবৃন্দ স্ব পরিবারে দিন ব্যাপী একটি বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করেন। নতুন কমিটির নের্তৃত্বে চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্ত করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।


বিডিআর বিদ্রোহ
'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

'অল্প দিনের মধ্যেই' চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

JlecBD ডেস্ক: পনেরো বছর আগে ঘটা বিডিআর বিদ্রোহ সংক্রান্ত বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, “অল্প দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে।”

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা অর্পন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, “রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেডকোয়ার্টার্স (প্রাক্তন বিডিআর হেডকোয়ার্টার্স ) ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে কোনো ধরনের গাফিলতি নেই।”

“চূড়ান্ত বিচার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। এটা সম্পূর্ণই বিচারিক কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে;” তিনি যোগ করেন।

গত ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলার সময়, পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলস এর (বর্তমান বিজিবি) কয়েকশ সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।

বিএনপির উদ্বেগ

পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহের সময় নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

পরে মঈন খান বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি; কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে? আর, ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন?

''এছাড়া, ২০১১ সালে একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনো বিলম্বিত হচ্ছে?” তিনি প্রশ্ন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে 'অনেকে জড়িত'

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন যে অনেকে এখানে (পিলখানা হত্যাকাণ্ড) জড়িত ছিলো। এগুলোর তদন্ত শেষ করা একটা বিরাট কর্মকাণ্ড। কাজগুলো শেষ হয়েছে। প্রাথমিক বিচারও হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় বনানীর সামরিক কবরস্থানে তিন বাহিনীর প্রধান, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের নিকটজন উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্রোহের একদিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে। সেই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে, বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা হয়।

হত্যা মামলার বিচারে, ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া, ২৭৭ জন অভিযুক্ত ব্যক্তি খালাস পান।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত, বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

অন্যদিকে, বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।


১৫টি কবরের ওপরের মাটি সরানো, ভেতরের দৃশ্যে এলাকায় তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪

১৫টি কবরের ওপরের মাটি সরানো, ভেতরের দৃশ্যে এলাকায় তোলপাড়

পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কালের হদিস মিলছে না। স্থানীয়দের ধারণা কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার খাস আমিনপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এই ঘটনা ঘটে। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে বিষয়টি স্থানীয়রা টের পান। এরপর থেকেই কবরস্থানে স্বজনেরা ভিড় করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

চুরি হওয়া এক লাশের স্বজন মাসুদ রানা বলেন, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মহাসড়কের পাশে এই কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের দাবি, পুলিশ দ্রুত এই ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

আরেক স্বজন জাহিদ হাসান বলেন, এতদিন আমরা দেখে আসছি আমাদের দেশে বেঁচে থাকা অবস্থায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখন দেখছি মরে গেলেও মানুষের লাশেরও নিরাপত্তা নেই।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, সকালে স্থানীয়রা কবরস্থানে গেলে এ ঘটনা জানতে পারে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ওসি আরও বলেন, কবরস্থানের কবরগুলোর উপরের মাটি সরানো। সেখানে কোনো মরদেহ নেই। কিন্তু চুরি হয়েছে কিনা এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে কঙ্কালগুলো হারিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।