গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের সেই আলোচিত আদম ব্যপারী আল-আমিন কাজীর স্ত্রীর মোহসিনা আক্তারের দেওয়া মিথ্যা মামলার শিকার সৌদি আরবের মদিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফ কাজী সহ তার পরিবারের লোকজন।
সরেজমিনে গণমাধ্যম কর্মীদের এক ছায়া তদন্তে পাওয়া যায়। মহোসিনা আক্তার বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার স্বামী আল-আমিন কাজী, বিদেশে আনা-নেওয়া ও প্রতারনার দায়ে গোপালগঞ্জ আদালত তাকে জেলে প্রেরণ করেন। স্বামীর জেলে যাওয়াটা মেনে নিতে না পেরে এই মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলার দেওয়া ৫নং আসামী হাসিবুর কাজী সৌদি প্রবাসী। গোপালগঞ্জ আদালতে যখন মামলাটি হয় তখন হাসিবুর সৌদি অবস্থান করছিলেন। মামলার পরে সে বাংলাদেশে আসেন।
এ ব্যপারে সৌদি প্রবাসী হাসিবুর কাজী বলেন, আমি সৌদি আরবে চাকরি করি আমি ছুটিতে বাড়ি এসে শুনলাম আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি বিদেশে থেকেও আল-আমিন কাজীর স্ত্রীর দেওয়া মামলায় ভুগছি এটা কোন আইন।
এ ব্যপারে মোহসিনা আক্তারে আপন চাচাতো দেবর আব্দুর রহমান কাজী, সামাদ কাজী ও আল-আমিন কাজী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এখানে কোথাও কোন গন্ডগোল হয় নাই তারা যে মামলা করেছে সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট আর মামলার পাঁচ নং আসাসী হাসিবুর মামলা হবার পর বিদেশ থেকে এসেছে।
কিছুদিন পূর্বে এই মামলার বাদী মোহসিনা আক্তারে স্বামীর বিরুদ্ধে আদম ব্যাপারী ও মানব পাঁচারকারী মো. ওহাব কাজীর ছেলে মো. আল-আমিন কাজীর বিরুদ্ধে বিদেশ পাঠানোর নামে ও সৌদি লোক নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণারসহ নানারকম হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তারই ফলশ্রুতিতে সে জেল খেটে বের হয়। ধারনা করা হচ্ছে তার স্বামীর জেলে যাওয়াকে মেনে নিতে না পারায় এই মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপকক্ষকে হেও প্রতিপন্ন কারাই মূল উদ্দ্যেশ। গ্রামবাসীরা এই মামলার সাথে জড়িত বাদি সহ সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী জানান।