JlecBD: জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ফোন করে এক প্রতারক বলেন, ‘আমি এনএসআইর ডিডি (ডেপুটি ডিরেক্টর) হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আছি। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংক্রান্ত ইস্যুতে কাজ করছি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি কয়েকজনকে বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এরই মধ্যে কয়েকজনের মনোনয়নের বিষয়টি আমি নিশ্চিত করছি।
মোবাইল ফোনে এমন পরিচয়ে কথা বলে পরে আস্থা অর্জনের পর ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতাকে ওই প্রতারক বলেন, ‘আপনার মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এজন্য ৫০ লাখ টাকা নগদ দিতে হবে। এরপর ভুক্তভোগীকে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল নামে একজন নারী কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয় চক্রের সদস্যরা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের টার্গেট করে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দেশব্যাপী সক্রিয় হয়। এর ধারাবাহিকতায় চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের টার্গেট করে।
এভাবে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদে পা দেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে আওয়ামলী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী দীপক কুমার রায় (৬৩)। প্রতারকের ফাঁদে পড়ে ৫০ লাখ টাকা খোয়ান তিনি। পরে গত ২৬ নভেম্বর মনোনয়নপত্রের তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হলে সেখানে তার নাম না থাকায় ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এরপর ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেফতাররা হলেন নুরুল হাকিম (৩১), হাসানুল ইসলাম জিসান (২২) ও মো. হারুন অর রশিদ (২৯)।