শেয়ার বাজার

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে; মুজিবুল হক এমপি’র শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে; মুজিবুল হক এমপি’র শুভেচ্ছা

JlecBD: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কৃতিসন্তান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তাঁর বাড়ি উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বিজয়করা গ্রামে।

গত বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছয়জন উপদেষ্টাও নিয়োগ দেওয়া হয়। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ছাড়া অন্য পাঁচজন আগেও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন। নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রুলস অব বিজনেসের ক্ষমতাবলে এসব উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন। উপদেষ্টারা মন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতনভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

নতুন করে নিয়োগ পাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা, চৌদ্দগ্রামের কৃতিসন্তান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মুজিবুল হক মুজিব।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আবু তাহের, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম. তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Dummy Ad 1

ডিজিটাল ভূমি জরিপ কিভাবে হবে? পুরনো জরিপ বাতিলের অর্থ কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ডিজিটাল ভূমি জরিপ কিভাবে হবে? পুরনো জরিপ বাতিলের অর্থ কী?

বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল জরিপ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সংসদে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবে। এই ডিজিটাল জরিপ কিভাবে হবে? তাছাড়া পুরনো জরিপ বাতিল হয়ে যাবার অর্থ কী?

ভূমিমন্ত্রী দাবি করছেন, ডিজিটাল জরিপ কার্যকর হলে ভূমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা কমে আসবে। ফলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও হয়রানিও কমবে। ডিজিটাল পদ্ধতি বা ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ভূমির জরিপ পরিচালনাকে ডিজিটাল সার্ভে বলা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে খুব সহজেই জমি পরিমাপ করা যাবে এবং একই সাথে জমির মালিকানা ও মাপের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। এই অঞ্চলে প্রথম ভূমি জরিপ শুরু হয়েছিল ১৮৮৮ সালে কক্সবাজার জেলার রামু থেকে। ওই জরিপের নামকরণ করা হয় সিএস জরিপ। এই জরিপ শেষ হয় ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায়। এরপর ধাপে ধাপে আরএস, এসএ, পিএস এবং সবশেষ বিএস জরিপ সম্পন্ন হয়। পুরনো পদ্ধতির জরিপে ফিতা টেনে দিয়ে জমির মাপ নিয়ে ম্যাপ তৈরি করা হতো।বেশ কয়েকটি জরিপ পরিচালনার পরও ভূমির জটিলতা কাটেনি।

মঙ্গলবার সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল, ২০২৩’ পাশের আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সার্ভে পর্যায়ক্রমে হবে, এগুলো আসবে। আর ইতোমধ্যে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে সব বাতিল। এটা আমি সংসদে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করতে চাই।’ ফলে চলমান বিএস জরিপ যে অবস্থায় রয়েছে সেই অবস্থাতেই বাতিল হবে কী-না সে বিষয়টি মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়নি। তবে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, যখন কোন জমির ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হবে, তখন আগের জরিপ বাতিল হয়ে যাবে। ডিজিটাল জরিপ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে জরিপ চলেছে সেটা বহাল থাকবে।

ইতোমধ্যে পটুয়াখালী ও বরগুনাতে ডিজিটাল জরিপের পাইলট প্রোগ্রাম চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ধামরাইয়ে এই ডিজিটাল জরিপের কাজ চলছে বলে অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সফল হলে এই জরিপের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে ডিজিটাল জরিপের সক্ষমতা অর্জনে গত বছর এক হাজার তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ বছর মেয়াদি ডিজিটাল সার্ভের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত জমির মানচিত্র ও রেকর্ড সমন্বয় করা হবে। এতে ভূমি মালিক ওয়েবসাইটে গেলে ম্যাপ ও খতিয়ান দুটি একসাথে পেয়ে যাবেন। এজন্য ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হচ্ছে। সকল ডাটা ক্লাউড বেইজ সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড্রোন উড়িয়ে জমির পূর্ণ ছবি ধারণ করা হবে। স্যাটেলাইট ইমেজিং-এর মাধ্যমে জমির অবস্থান ও মাপ নিশ্চিত করা হবে।

স্যাটেলাইট ইমেজ কিনে সেটা মৌজা ম্যাপের সাথে সমন্বয় করে ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি করা হবে। এর ফলে কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় ও বনভূমি রক্ষাসহ জমির পরিকল্পিত ব্যবহার করাও সম্ভব হবে। এছাড়া ইটিএস এর মাধ্যমে জমির নির্ভুল পরিমাপ করতে বা প্লট ভাগ করা হবে। প্লট টু প্লট জরিপ সম্পন্ন হলে সরকারি ও বেসরকারি মালিকানার তথ্যটি সহজেই জানা যাবে।এ ধরণের জরিপে জমির পরিমাণ, জমির আইলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, আকার ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ মাপ সম্পর্কে জানা যাবে এবং পরিমাপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। জরিপ অধিদপ্তর বলছে, একবার ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হলে প্রাকৃতিক কারণে বড় ধরনের ভূমির বিচ্যুতি ছাড়া মাঠে গিয়ে বার বার জরিপ করার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান একসাথে পাওয়া যাবে।

ভূমি জরিপ অধিদপ্তর আশা করছে এতে ভূমি ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন হবে, আদালতের মামলা কমবে, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে ভূমি জরিপ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত কোন এলাকায় ডিজিটাল জরিপ শুরু করার আগে সেখানকার পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে না হলে মাইকিং করে এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হয় এবং ব্যাপক জনসংযোগ করা হয়। এর মাধ্যমে মূলত সেখানকার জমির মালিকদের জানানো হয়। তারা যে নিজ নিজ জমির সীমানা চিহ্নিত করেন এবং জমির মালিকানার কাগজপত্র যেমন - দলিল, নামজারি ও খাজনা পরিশোধ কাগজপত্র হালনাগাদ অবস্থায় কাছে রাখেন। এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির জমির তথ্য যাচাই বাছাই করা হবে। কোন সমস্যা না থাকলে মালিকানার তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করা হবে। পুরনো পদ্ধতির জরিপে দেখা যেতো একটি খতিয়ানের একাধিক মালিক রয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেই সুযোগ আর থাকছে না।


প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আ’লীগসহ অঙ্গ সংঘঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আ’লীগসহ অঙ্গ সংঘঠন

JlecBD: সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা, চৌদ্দগ্রামের কৃতিসন্তান ড. কামাল আবদুল নাছের চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। 

১৪ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী’লীগ কার্যালয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী’লীগরে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু এবং উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহারের নেতৃত্বে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আবু তাহের, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন,উপজেলা আওয়ামী’লীগরে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ভিপি ফারুক আহমেদ মিয়াজী, সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন পাটোয়ারী, এনামুল হক খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কামরুল আলম মোল্লা, উপজেলা আ’লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক আলমগীর হোসেন বিপ্লব,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাশেম, আ’লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মজুমদার, কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য এমরানুল হক কামাল, ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি মাহবুব হোসেন মজুমদার, জানে আলম, কাজী ফখরুল আলম ফরহাদ, মাঈন উদ্দিন, আবু তাহের, গোলাম মোস্তফা, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মহিন উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মোল্লা বাবলু, পৌর প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী, কাজী বাবুল, সাইফুল ইসলাম শাহিন, মফিজুর রহমান, কামাল হোসেন, শরিফ ইমাম, মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগ নেতা মহিন উদ্দিন স্বপন, মাছুম বিল্লাহ প্রমুখ।

এসময় নেতৃবৃন্দ চৌদ্দগ্রামের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাছের চৌধুরীকে আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অভিনন্দন জানান।


"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪

"কাচ্চি ভাই" ও ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়েন এ আদালত পরিচালনা করেন। তার সঙ্গে আছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

এদিকে, এসময় একই অভিযোগে ধানসিঁড়ি নামে আরেকটি রেস্তোরাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া সিঁড়ির সামনে মালামাল রাখায় সেভা হাউজ নামে একটি ভবনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই ভবনটি সাততলা।

দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত গুলশান-২ নম্বর এলাকায় অভিযান চলে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে অভিযানে নেমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বেইলি রোডে বন্ধ থাকা সুলতানস ডাইন ও নবাবী ভোজ নামের রেস্টুরেন্ট দুটি সিলগালা করে রাজউক। এছাড়া স্কাই ভিউ নাইটেঙ্গল টাওয়ার নামের ৮ তলা রেস্টুরেন্ট ভবন পরিদর্শন করেন তারা। সেখানে তারা দেখতে পান ৩ মিটার সিঁড়ির বদলে সেখানে রয়েছে ৩ ফিট সিঁড়ি। সঙ্গে রয়েছে ছোট্ট একটি লিফট। এছাড়া ভবনটিতে কোনো ফায়ার এক্সটিংগুইসার দেখা যায়নি। পরে সেখানে ফায়ার সার্ভিস ‘ভবনটি অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ লিখে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়।

এছাড়া সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত রেস্টুরেন্টে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। এসব অভিযানে বেশকিছু রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ১৬ জনকে আটক এবং ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে করা কয়েকটি রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলাও হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত, যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা।