শেয়ার বাজার

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি’কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি’কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ

JlecBD ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে দাগনভূঁঞা থানায় যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আবুল হাসিম দাগনভূঁঞা থানায় যোগদানের পর থেকেই থানাধীন এলাকায় চুরি-ছিনতাই ইফটিজিং কিশোর গ্যাং মাদকসেবন ও মাদক ক্রয়- বিক্রয়ের সাথে জড়িত এবং  পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারসহ নানান অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন । 

তারাই ধারাবাহিকতায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোনাগাজী সার্কেল  দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম এর সার্বিক তত্তাবধানে এসআই/মোঃ ফখরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অদ্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২৪ ইং রাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ০৪টি সিআর সাজা প্রাপ্ত যাবৎ আত্নগোপনে থাকা আসামি মর্ডান ব্রীক ফিল্ডের মালিক মোঃ ছালেহ উদ্দিন ছালু’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় দাগনভূঁঞা থানা পুলিশের একটি চৌকস ট্রিম। 

এই বিষয়ে দাগনভূঁঞা থানার ওসি আবুল হাসিম সাংবাদিকদের জানান গ্রেফতারকৃত আসামি সাজা এড়াতে দীর্ঘদিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে আছেন।গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক অদ্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২৪ ইং বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে।

Dummy Ad 1

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা;
অভিযুক্তদের গ্রেফতারে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৪

অভিযুক্তদের গ্রেফতারে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ভিক্টোরিয়া পার্ক ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ ঘুরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে দাঁড়িয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন। এসব দাবি বাস্তবায়নে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিভ বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকা অসাধারণ শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানান বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে জবি শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে মুক্তির জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে অবন্তিকাও নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাকে নানান ধরনের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। এরপরও তিনি পিছপা হননি। কিন্তু তারই এমন করুণ পরিণতি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। বিষয়টির সঙ্গে যারা জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সব ভাই-বোনদের জন্য নিরাপদ করে তুলবো আমরা। আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের বোনের এমন পরিণতির জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে, অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকিকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা, দ্রুত সিন্ডিকেট ডেকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার, ভুক্তভোগীর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নিপিড়ন সেল কার্যকর করতে হবে।

এর আগে শনিবার সকালে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টর ও শিক্ষকতা থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অভিযুক্ত রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জানা গেছে, ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।



মিরপুরে পঙ্গ সাঈদের ক্ষতিপূরণের পাওনা টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ, ২০২৪

মিরপুরে পঙ্গ সাঈদের ক্ষতিপূরণের পাওনা টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ।

কুষ্টিয়া মিরপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিদ্যুৎ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুল তথ্যে বৈদ্যুতিক শকে দুই হাত হারানো  পঙ্গু সাঈদের ক্ষতিপূরণের পাওনা টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। 

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার  বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের মিলন মালিথার ছেলে সাঈদ আহম্মেদ (২৪) গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একই উপজেলা বহলবাড়িয়া গ্রামের সাহাবুলের ছেলে বিদ্যুৎ এর সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের কন্ট্রাক্টর অপুর মালিকানাধীন নোভায়ন কোম্পানীতে মাসে ১৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরির উদ্দেশ্যে  চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া এলাকায় যায় এবং  সাঈদ আহাম্মেদ  তার সুপারভাইজার বিদ্যুৎ এর হুকুম মোতাবেক সব কাজ করতে থাকেন।

গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুপারভাইজার বিদ্যুৎ সাঈদকে কুতুবদিয়া এলাকার একটি বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের জন্য খাম্বায় তুলে দেন এবং জানান যে কাজের জন্য এখন বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করা আছে কিন্তু ঐ সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু থাকায় বিদ্যুতের খাম্বায়  উঠার সাথে সাথে সাঈদ আহমদ বিদ্যুতের শখ খেয়ে বিদ্যুতের লাইনের তারের সাথে ঝুলতে থাকে একপর্যায়ে লাইন বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে পরে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হয় এবং তার দুই হাত কেটে ফেলা হয় চিকিৎসক জানান বৈদ্যুতিক শখের কারণে সাঈদ আহাম্মেদের  দুই পা ও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সে সময় সাব-কন্ট্রাক্টর  বিদ্যুৎ দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা সাঈদ আহাম্মেদকে সকল ধরনের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের  আশ্বাস প্রদান করেন। 

দুর্ঘটনার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সাব-কন্ট্রাক্টর  বিদ্যুত এখন পর্যন্ত তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করায়  চিকিৎসা শেষে দুই হাত হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে সাঈদ আহাম্মদে তার নিজ বাড়িতে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে।

তিনি জানান বহলবাড়িয়া গ্রামের সাহাবুল বা তার ছেলে বিদ্যুৎ তার পুনর্বাসনের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহন করছেনা এমনকি তার ফোনও রিসিভ করছেনা।


কেশরহাটে অনুমোদনহীন সমিতির উচ্চ সুদে সর্বশান্ত অনেক পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৪

কেশরহাটে অনুমোদনহীন সমিতির উচ্চ সুদে সর্বশান্ত অনেক পরিবার

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে অনুমোদনহীন ব্যবসায়িক সমিতির আড়ালে চলছে উচ্চ হারে সুদের রমরমা ব্যবসা। সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে চালানো হচ্ছে এই সুদের কারবার। বড় অংকের সুদের কারণে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের দিনমজুরেরা হচ্ছেন সর্বশান্ত ।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, কেশরহাট পৌরসভার গোপইল গ্রামের সাজ্জাদ মাষ্টারের ছেলে রাজু। একসময় ছিলেন মুদি দোকানদার। মুদি ব্যবসার আড়ালে তিনি ফেন্সিডিলের ব্যবসাও করতেন এবং নকল সিগারেট ও ফেন্সিডিল’সহ বেশ কয়েকবার আটকও হয়েছিলেন মোহনপুর থানায়।

এরপর তিনি কোন সনদপত্র না নিয়েই কেশরহাটে ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সুদ বইয়ের মাধ্যমে রাজু তার অবৈধ দাদন ব্যবসাকে বৈধ দেখিয়ে মোহনপুর-কেশরহাটের সাধারন মানুষদের প্রতারিত করছেন। সাধারণ মানুষ প্রতারিত হলেও দিন দিন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে রাজু।

অতিরিক্ত সুদ আদায় এবং সরকারি আইন ভঙ্গ করলেও স্থানীয় সমবায় অফিস কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এবং অতিরিক্ত সুদ প্রদানের মাধ্যমে সর্বশান্ত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুদ কারবারিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেশরহাট বাজার সংলগ্ন মসজিদ মার্কেটে নামবিহীন অফিস খুলে সুদের ব্যবসা চালাচ্ছে এই ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’।

আরোও জানা যায়, সাফল্য সমবায় সমিতির পরিচালক রাজু মোড়া অংকের লাভে ও ব্যাংক চেকের বিনিময়ে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা দেন। সুদের ব্যবসা করে এখন সে কোটিপতি। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সাধারণ মানুষের কাছে সুদে দেওয়া রয়েছে তার।

ঋণ প্রদানে সমবায় সমিতির পরিচালক রাজু সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প ও ব্ল্যাক চেক বইয়ের পাতা এবং স্বাক্ষর করা ফাঁকা ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প রেখে দিচ্ছেন টাকা দেন তিনি। টাকা পরিশোধ করার পরও চেক বইয়ের পাতায় নিজেদের ইচ্ছা মত টাকা বসিয়ে আদালতে মামলা করে গ্রাহক হয়রানির বহু অভিযোগ রয়েছে এ সমিতির বিরুদ্ধে।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচালক রাজু দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ সমবায় অধিদপ্তরের সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করেই সদস্যদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুদ আদায়, সাদা চেক ও স্ট্যাম্প এর বিপরীতে ঋণ প্রদান করেন, এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

তথ্যনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার সমবায় অফিসের অধীনে নামে বেনামে অনেক সমিতি রয়েছে, এছাড়া সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত আরও শতাধীক সমিতি রয়েছে। যাদের অধিকাংশই চড়া সুদে ঋণ বিতরণ করে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম কেশরহাটে রাজুর ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান। সমবায় সমিতি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন না নিয়েও সমবায় অধিদপ্তরের কোন আইন কানুনই মানছে না প্রতিষ্ঠানটি।

কেশরহাট বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ‘সাফল্য সমবায় সমিতি’এর পরিচালক রাজু লাভের ওপর এককালীন টাকা দিয়ে মাত্র এক মাস বা তিন মাস মেয়াদে ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য করেন । এতে ঋণ নিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন সাধারণ অসহায় মানুষ।

আরোও এক ব্যবসায়ী কান্নাস্বরে জানান, রাজুর কাছে সুদে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা তাকে লাভ দিতেন। টাকা না দেওয়ার কারনে ওই সুদ ব্যবসায়ী তাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী এখন অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। ব্যবসা বন্ধ করে নিজের জমি জমা বিক্রি করে ওই সুদ ব্যবসায়ীর টাকা দিতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে।

শুধু তাই নই, রাজশাহীর সাহেব বাজারের আরোও এক ব্যবসায়ীর সাথেও প্রতারনা করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা চিট করে নিয়েছে এই সাফল্য সমবায় সমিতির পরিচালক রাজু। এরপর সেই ভুক্তভোগী কেশরহাট পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিছা দেলোয়ারা আঞ্জু জানান, কেশরহাটে ‘সাফল্য সমবায় সমিতির’ কোন নিবন্ধন নাই। যেহেতু নিবন্ধন নাই সেহেতু কেউ যদি তার কাছে প্রতারিত হয় তাহলে এর জন্য আমরা দায়ী নই।

মোহনপুর উপজেলার ইউএনও আয়েশা সিদ্দিকা জানান, আমার এ বিষয়ে জানা ছিলোনা। বিস্তারিত আমি খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে দেখবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হরিদাস মন্ডল জানান,এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ জানান, সাফল্য সমবায় সমিতির কোন ট্রেড সনদপত্র নেই। এ বিষয়ে আমি যতটুকু জানি রাজু একজন চিট। তার নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তির মোটা অংকের টাকা প্রতারনা করে নেওয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় তাকে আমি ডেকে এনে সময় সাপেক্ষে

পৌরসভাতেই মিমাংসা করে দেই। এই রাজুর খপ্পরে পরে যেন আর কেউ প্রতারিত না হয় সেইদিকে আমি খেয়াল রাখব।

এ বিষয়ে সাফল্য সমবায় সমিতির পরিচালক রাজুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।